somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গুটিকয়েক বাঙালী সমর্থকের কথা

১১ ই জুন, ২০১০ সকাল ৮:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী – কথাটা সবসময় শোনা গেলেও বিশ্বকাপ ফুটবল এলেই এটার তাৎপর্য টের পাই।প্রতি চার বছর পরপর ফুটবলের গুটিকয়েক মানুষের ভালবাসা উথলে উঠে।গত ১ মাসে রাস্তাঘাট, বাড়িঘর আর ভার্সিটিতে “কোন দলের সাপোর্টার?” প্রশ্নটা আমাকে অসংখ্যবার শুনতে হয়েছে।একটা উত্তর দিলেই বিপদ।অন্য দলের সাপোর্টারদের কটাক্ষপাত,টিটকারি শুরু হয়ে যায়।আবার “কোন দলকে সাপোর্ট করি না, যারা ভালো খেলে তাদেরকেই সাপোর্ট করি” – এই কথা বললেও বিপদ।ধান্দাবাজ,সুবিধাবাদী সহ আরো নানা উপাধি জুড়ে যায় নামের সাথে।আমি সবার কথা বলছি না।হাতে গোনা কয়েকজন সমর্থকের কথা বলছি।বাকি সাড়ে তিন বছর কোন খবর না থাকলেও এই সময়টাতে কয়েকজনের ফুটবলপ্রীতি মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে চলে যায়।বাড়িতে পতাকা টানানো, মিষ্টি বিতরণ করা শুরু হয়।আর জার্সি কেনা তো আছেই।সেটা হোক।কোন একটা খেলা নিয়ে উন্মাদনা নতুন কিছু নয়।আর এরকম একটা মহাযজ্ঞ শুরু হলে তো উন্মাদনা শুরু হবেই।কিন্তু সেটা যেন বাড়াবাড়ি পর্যায়ে না চলে যায়।সামান্য একটা খেলার বিষয় নিয়ে হাতাহাতি,মারামারি করা তো মূর্খতা ছাড়া আর কিছু নয়।কয়েকজনের ফুটবলজ্ঞান তো ঈর্ষা করার মতো (!!!)কয়েকদিন আগে এক আর্জেন্টিনার সমর্থকের কাছে আর্জেন্টিনের বর্তমান একজন খেলোয়াড়ের নাম জানতে চাইলে উত্তর আসে ম্যারাডোনা।গুটিকয়েক ব্রাজিল সমর্থককে এই প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করলে উত্তর আসে রোনালদো।আর জার্মানির কয়েকজনের অবস্থা তো আরো করুণ।বেকেনবাওয়ারের নাম পর্যন্ত বলতে শুনেছি একজনকে।গ্রুপে আর কে কে আছে জিজ্ঞেস করলে ২-১ জন বলে “কোন গ্রুপে পরছে তাতে কি আসে যায়?প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন,সেটা কোন ব্যাপার না।আমরাই সেরা।”
সবশেষে গতকালের একটি ঘটনার কথা বলি,
“ইংল্যান্ডের তো এইবার অবস্থা খুব খারাপ।”
“কেন?”
“বেকহাম নাই।গোলকিপার না থাকলে কি নিয়া খেলবে?

সবশেষে ঐ গুটিকয়েক সমর্থকের প্রতি অনুরোধ, এই পোস্টটিকে কেউ নিজের প্রতি আঘাত হিসেবে নিবেন না।একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখুন তো,শেষ পর্যন্ত তো এটা একটা খেলাই।এইরকম তুচ্ছ একটা বিষয় নিয়ে মারামারি করার কোন মানে হয়?

আজ বিশ্বকাপের পর্দা উঠছে।এই লোডশেডিং এ খেলা দেখা একটু কঠিন হয়ে পড়লেও সকলের প্রতি শুভকামনা রইল।সবাই বিশ্বকাপের প্রত্যেকটি খেলা উপভোগ করুন – এই কামনা রইল।
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৩:০৬

অবশেষে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। এবং প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিবি জানিয়েছে সে ছোটবেলা থেকেই বদমাইশ ছিল। নিজের বাপকে পিটিয়েছে, এবং যে ওষুধের দোকানে কাজ করতো, সেখানেই ওষুধ চুরি করে ধরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×