আমাদের দেহ প'ড়ে আছে গলির পাশে
জীবাশ্ম সাথে নিয়ে
গতকাল যে দেখা হল দৃক-এ
তাতে, আমরা যে তাকালাম
পরস্পরের দিকে
তা, পোস্টার হয়ে ঝুলছে
ডিজিটাল দেয়ালে
থাকবে কিছুক্ষণ, বা কয়েক বেলা
(তারপর)
ঘুম থেকে উঠে বিষণ্ন লাগলো
খুব
যেনবা কতদিন আমাদের
দেখা হয় নাই_
দুইজনার অতীতের ভেতর ঢুকতে ঢুকতে
মনে হল_
কতমুখ, কতহাত, কতঠোঁট
কত আলিঙ্গনই না গেছে
এই দেহের উপর দিয়ে__
এই আস্ত পুস্তকের কোন পাতায়
যে ছিলাম আমরা_
তা খুঁজতে যেয়ে দেখলাম
ঘোলা ঘোলা লাগছে
কিছুতেই পাওয়া যাচ্ছে না_
পরিষ্কার পাতার নম্বর
আমরা হাতরাচ্ছি পরস্পর
স্নায়ুগুলো জড়িয়ে যাচ্ছে ইন্টারনেটের
তারগুলোর মতোন
এত তার জড়িয়ে আছে পরস্পর
ধূপখোলা মাঠে সেই যে সঙ্গমরত
সাপেদের ধস্তাধস্তি__
যা-দেখে হেসেছিলাম খুব
তাদের মত জড়াজড়িগুলো
আমরা কি পারবো খুলতে?
আমরা কি পারবো করতে?
এই যে প্রত্নতাত্বিক খোঁজ
তা পেলে কোন মিউজিয়ামে সাঁজিয়ে রাখবো আমরা?
বা, কোন এ্যালবামে?
আমাদের জীবাশ্মগুলো হয়ে উঠবে
কাদের আর্টিফ্যাক্ট?
তোমার খোলাচুল, কানের দুল
আমার মেদ
এই যে গ্রহণ করল পরস্পরকে
তা কি, সাম্য নয়? বল
যা ভেবেছিলাম এতদিন
যা বিভাজন__তাতো একই
ফলে ঠেউতোলা নতুন প্রজন্মের
দিকে
আমরা তাকিয়ে থাকতে পারি
জীবাশ্মপনা মেনে নিয়েছি খুব
তাই টের পাই বাতাসেই
দেহের ইতিহাস
----স্নেহ জাগে
মনে হয় হাত বুলিয়ে দেই,
আর ভাবি বুড়োদের আঙুল কেন
এত পরম কোমল লাগে?
আমার জীবাশ্মগুলো কি
একদিন
এমনি পরম কোমল হবে?
শরৎ চৌধুরী, ২৯শে জানুয়ারি ২০২৩, ঢাকা।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩৭