somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তাহের ও জিয়া: বিপরীত স্রোতের যাত্রী

২৮ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশেষ সামরিক আদালতে কর্নেলতাহেরের মৃত্যুদণ্ডের রায় চ্যালেঞ্জ করে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ের পর ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের ঘটনাটি ফের আলোচনায় এসেছে। কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের লেখায় এই ঘটনার প্রধান দুই কুশীলব আবু তাহের ও জিয়াউর রহমানের ভূমিকার ওপর আলো ফেলা হয়েছে।

গোপন বিচারে কর্নেল আবু তাহেরের ফাঁসিকে হত্যাকাণ্ড বলে অভিহিত করে হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন এবং এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে জেনারেল জিয়ার সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। স্মরণযোগ্য, ১৯৭৬-এ সেই গোপন বিচার সংঘটিত হওয়ার কিছু আগে দেশের জটিল রাজনৈতিক মুহূর্তে মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকা বন্দী জেনারেল জিয়াকে এই কর্নেল তাহেরই উদ্ধার করেছিলেন। বাংলাদেশের ইতিহাসের গতিপথ নির্ধারণে কর্নেল তাহের এবং জেনারেল জিয়ার পারস্পরিক সম্পর্কের ভূমিকাটি কৌতূহলোদ্দীপক। তাহের ও জিয়া উভয়ের পেশাগত যাত্রা শুরু সেনাবাহিনীতে, উভয়েই একপর্যায়ে বাংলাদেশের রাজনীতির অন্যতম কুশীলব হয়ে উঠেছিলেন এবং উভয়েরই মৃত্যু হয় অপঘাতে। ওপরতলে এই আপাত মিল থাকলেও ভেতরতলে এই দুজন ছিলেন সম্পূর্ণ ভিন্ন স্রোতের যাত্রী। তার পরও এই দুই বিপরীত স্রোত ইতিহাসের এক ক্রান্তিকালে এক বিন্দুতে এসে মিলেছিল এবং জন্ম দিয়েছিল এক ব্যাপক রাজনৈতিক ঝড়ের। যার পরিণতি এই দুজনের ব্যক্তিগত জীবনে এবং সেই সূত্রে গোটা জাতির ইতিহাসে হয়েছিল সুদূরপ্রসারী। তাহেরের জীবন এবং কর্মকাণ্ডের ওপর দীর্ঘদিনের গবেষণার ভিত্তিতে লেখা আমার ক্রাচের কর্নেল বইয়ে এ প্রসঙ্গের বিস্তারিত বিবরণ আছে। সংক্ষেপে এ বিষয়ে কিছু পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ করব।
উল্লেখ্য, তাহের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়েই সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। তাহের ছিলেন মার্ক্সবাদে দীক্ষিত তরুণ, যিনি সেনাবাহিনী থেকে আহরিত জ্ঞান ব্যবহার করে সশস্ত্র সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পরিকল্পনা করেছিলেন। সেই ভাবনার সূত্রে ১৯৬৯ সালে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত অবস্থায়, সে সময়ের বাম আন্দোলনের সশস্ত্র ধারার নেতৃত্বদানকারী সিরাজ শিকদারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মিয়ানমারের (বার্মা) কমিউনিস্ট পার্টির সহযোগিতায় অভ্যুত্থানের চেষ্টা তিনি করেছিলেন। সেই চেষ্টা সফল হয়নি এবং তাঁকে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে বদলি করা হয়। এরপর পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টরের দায়িত্ব নিয়ে তাঁর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের বিপ্লবী রাজনীতিতে উদ্বুদ্ধ করে যুদ্ধটিকে ভিয়েতনামের মতো দীর্ঘমেয়াদি জনযুদ্ধের দিকে নিতে চেয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের অধিনায়ক হিসেবে সেনাবাহিনীর ঔপনিবেশিক কাঠামো ভেঙে সেনাসদস্যদের গ্রামীণ কৃষি, স্বাস্থ্যবিষয়ক নানা রকম কর্মকাণ্ডে যুক্ত করে পিপলস আর্মির মডেল তৈরির চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেনাবাহিনীতে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয় এবং তাঁর ব্রিগেডকে ‘লাঙল ব্রিগেড’ বলে ঠাট্টা করা হয়। একপর্যায়ে ক্যান্টনমেন্টের অ্যাকটিভ কমান্ড থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হলে তাহের স্বাধীনতার এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ করেন। সে সময় নানা ধারা-উপধারায় বিভক্ত বাংলাদেশের বাম আন্দোলনের প্রধান সব নেতার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে বৈঠক করেন তাহের এবং অবশেষে তৎকালীন সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের ডাক দেওয়া নতুন কিন্তু শক্তিশালী দল জাসদে যোগ দেন। ঘটনাপরম্পরায় একপর্যায়ে তাহেরের নেতৃত্বে জাসদ এবং বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার পাটাতনে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের অভ্যুত্থানটি সংঘটিত হয়। এই অভ্যুত্থান ব্যর্থ হলে তাহের বন্দী হন এবং তাঁকে অবৈধ বিচারের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। লক্ষণীয় যে, ধারাবাহিক রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়েই জীবনযাপন করেছেন তাহের।
পক্ষান্তরে জিয়া, বাবার চাকরি সূত্রে যাঁর জীবনের অধিকাংশ সময় মূলত কেটেছে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন নিষ্ঠাবান অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। বিশেষ সন্ধিক্ষণে পক্ষ ত্যাগ করে তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। তাহেরের নেতৃত্বে সংঘটিত ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের অভ্যুত্থানের পর তাহের জিয়াকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করলে ঘটনাচক্রে তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক মঞ্চের একজন প্রধান কুশীলব হিসেবে আভির্ভূত হন। বলা বাহুল্য, পঁচাত্তরের ওই নাটকীয় ঘটনা পর্বের আগে সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামোর বাইরে জিয়ার জীবনে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের নজির নেই। তবে সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত না থাকলেও মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্ন থেকেই জিয়া নানাভাবে আলোচিত হয়ে ওঠেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় সেক্টর কমান্ডার হিসেবে কর্মরত আরও একাধিক বাঙালি সামরিক অফিসার থাকলেও জিয়ার নামটি বিশেষভাবে আলোচনায় আসে কাকতালীয়ভাবে যুদ্ধের সূচনালগ্নে বেতারে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে। চট্টগ্রামে অবস্থিত স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক বেলাল মোহাম্মদ তাঁর ভাষ্যে জানিয়েছেন কী করে ঘোষণাটি পাঠ করানোর জন্য একজন সামরিক ব্যক্তিকে খুঁজতে গিয়ে ঘটনাচক্রে সেখানে অবস্থিত মেজর জিয়াকে তাঁরা পেয়ে যান। এরপর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন জিয়াকে বেশ কয়েকটি বিতর্কে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানীর নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করে ‘সামরিক পরিষদ’ গঠনের প্রস্তাব করলে ক্ষুব্ধ ওসমানী পদত্যাগের উদ্যোগ নেন, যা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের মধ্যস্থতায় নিষ্পত্তি হয়। একপর্যায়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে জিয়া নিজের নামে ‘জেড ফোর্স’ গঠন করলে মুক্তিযুদ্ধের আরেক সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের সঙ্গেও তাঁর দ্বন্দ্বের সূচনা হয়। পরে ‘কে ফোর্স’ এবং ‘এস ফোর্স’ গঠনের মাধ্যমে তার নিষ্পত্তি হয়। মইদুল হাসানের মূলধারা ’৭১ (১৯৯৪) এবং মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর (২০০৯) বইয়ে মুক্তিযুদ্ধের সহ-অধিনায়ক এ কে খন্দকারের ভাষ্যে সে সময়ের অনুপুঙ্খ বিবরণ আছে।
এমন প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়ে ১১ নম্বর সেক্টরের দায়িত্ব নেন তাহের। ওসমানীর নেত্বত্বে যে প্রচলিত ধারার যুদ্ধকৌশলে মুক্তিযুদ্ধ চলছিল, সে ব্যাপারে আপত্তি ছিল তাহেরের। যুদ্ধে সনাতন-প্রক্রিয়ায় ব্রিগেড তৈরির বদলে গেরিলাযুদ্ধ এবং সাধারণ মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণের পক্ষে ছিলেন তাহের। বলা যায়, তাহের ও জিয়ার ভেতর পারস্পরিক যোগাযোগের প্রাথমিক ক্ষেত্রটি তৈরি হয় ওসমানী বিষয়ে দুজনেরই এই অসন্তুষ্টির পরিপ্রেক্ষিতে। সেনাবাহিনীতে জিয়া তাহেরের সিনিয়র। ওসমানী ও খালেদের সঙ্গে বৈরীর প্রেক্ষাপটে জিয়া তাহেরের প্রস্তাবকে সমর্থন করেন। তাঁর সমর্থনের সূত্র ধরে তাহের তেল ঢালায় জেড ফোর্সের হেডকোয়ার্টারে একাধিকবার জিয়ার সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপচারিতা করেন। তাহের এসব সাক্ষাতে মূলত সম্মুখযুদ্ধের তীব্রতা বাড়িয়ে, সেক্টর কমান্ডারদের হেডকোয়ার্টার বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতরে স্থানান্তর করার ব্যাপারে জিয়াকে প্রস্তাব করেন। তবে জিয়ার এ ব্যাপারে বিশেষ আগ্রহ দেখা যায় না। তিনি বরং প্রচলিত ধারায় ব্রিগেড গঠনই অব্যাহত রাখেন। যুদ্ধের আদর্শিক প্রশ্নে নয়, সেক্টর কমান্ডারদের প্রভাব বলয়ের অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েনের পরিপ্রেক্ষিতেই জিয়া তাহেরের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী বলে প্রতীয়মান হয়। একপর্যায়ে তাহের নিজেই সম্মুখযুদ্ধে অবতীর্ণ হন এবং শেলের আঘাতে একটি পা হারান।
স্বাধীনতার পর তাহের ছিলেন সেনাবাহিনীর অ্যাডজ্যুটেন্ড জেনারেল আর জিয়া কুমিল্লা ব্রিগেডের কমান্ডার। জিয়ার ব্যক্তিগত অসন্তোষ ছিল সিনিয়র হওয়া সত্ত্বেও তাঁর বদলে সফিউল্লাহকে সেনাপ্রধান করায়। একপর্যায়ে জিয়াকে উপসেনাপ্রধান করে ঢাকায় বদলি করা হয় এবং কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাহেরকে। তাহের জিয়ার কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার প্রাক্কালে কিছুদিন একত্রে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে কাটান। তাহেরের পারিবারিক সূত্র থেকে জানা যায়, দেশের সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতির নানা উদ্বিগ্নতা নিয়েই তখন কথা বলেছেন তাঁরা। তাহের সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ করার সময় রাষ্ট্রপ্রধান শেখ মুজিবের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে বাংলাদেশ ভয়াবহ বিপদের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন। পারিবারিক সূত্র থেকে জানা যায়, তাহের তাঁর পদত্যাগের সিদ্ধান্তের বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে জিয়ার সঙ্গে আলাপ করেছিলেন এবং পরবর্তীকালে তিনি যে রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন, সে কথাও তাঁকে জানিয়েছিলেন।
সে সময় মুজিব সরকারের বিরুদ্ধে নানা রকম শক্তি ক্রিয়াশীল হতে শুরু করলেও মূলত দুটি শক্তি সংগঠিতভাবে এই বিরোধিতায় অগ্রসর হয়। একটি প্রকাশ্য, অন্যটি গোপন। প্রকাশ্যভাবে এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিরোধিতা করে বাম রাজনীতিতে উদ্বুদ্ধ জাসদ, যারা সরকারবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করতে থাকে। সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ করে এই জাসদেরই বেসামরিক সশস্ত্র শাখা গণবাহিনী এবং সামরিক বাহিনীর অভ্যন্তরীণ শাখা বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার নেতৃত্বের দায়িত্ব নেন তাহের। অন্যদিকে গোপনে এবং ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সরকার উৎখাতের আর একটি পরিকল্পনা চলে অতি ডানপন্থী ধারার খোন্দকার মোশতাক, ফারুক, রশীদ প্রমুখের ভেতর। উপসেনাপ্রধান হিসেবে ঢাকায় স্থানান্তরিত হওয়ার পর দেখা যায় জিয়া সরকারবিরোধী প্রকাশ্য এবং গোপন সেই দুই শক্তির সঙ্গেই যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। তাহেরের মাধ্যমে জিয়া পেতেন সে সময়ের সবচেয়ে শক্তিশালী বিরোধী রাজনৈতিক স্রোত জাসদের খবরাখবর। পক্ষান্তরে তিনি ফারুক ও রশীদের কাছ থেকে শুনেছেন মুজিববিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রের খবরটিও। ফারুক, রশীদ প্রমুখ সরকার উৎখাতে তাঁদের সম্ভাব্য সহযোগী হিসেবে একজন অসন্তুষ্ট সেনা অফিসার জিয়াকে পাবেন তেমন প্রত্যাশা করতেন। অন্যদিকে আদর্শিক সঙ্গী না হলেও পারস্পরিক সুসম্পর্কের সূত্র ধরে সম্ভাব্য বিপ্লবী পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীতে শক্তি সংহত করতে জিয়ার কৌশলগত সহযোগিতার সম্ভাবনা দেখেছিলেন তাহের। বাংলাদেশের রাজনীতির অস্ট্রেলীয় গবেষক ডেনিস রাইট মন্তব্য করেছেন, ‘যখন ফলাফল অস্পষ্ট, তখন খানিকটা নিরাপদ দূরত্বে থেকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সব রকম পথ খোলা রাখা জিয়ার স্বভাবের একটি বৈশিষ্ট্য।’ (হাবীব জাফারুল্লাহ সম্পাদিত দি জিয়া এপিসোড ইন বাংলাদেশ পলিটিকস, সাউথ এশিয়ান পাবলিশার, ১৯৯৬) সম্পর্কের এই ত্রিমুখী বিপজ্জনক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের রাজনীতি এক নাটকীয় মোড় নেয়।
শাহাদুজ্জামান: কথাসাহিত্যিক; শিক্ষক, ব্র্যাক স্কুল অব পাবলিক হেলথ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:৫৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিচার চাই? না ভাই, আমরা "উল্লাস" চাই

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৩৭





দীপু চন্দ্র দাস একটি পোশাক শিল্প কারখানায় চাকরি করতো। সম্প্রতি দীপু দাস তার যোগ্যতা বলে সুপার ভাইজার পদে প্রমোশন পেয়েছিলো।

জানা যায়, সুপারভাইজার পজিশনটির জন্য আরও তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×