নববর্ষের উপহার

আমি এই সময়ের সবচেয়ে বড় কপি। কবিদের চামচামি করে নকল করেই তো কপি হতে হয় তাই না? আমার কপিতা শুধু কপিতা, বাকিদেরটা কবিতা। আমি একটা ভর্তি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক এবং এই কারনে আমি ভাংলা খুব ভাল জানি। মানুষের লেখাকে কবিতা অকবিতা আর বানানরীতি শব্দের চয়ন ভুল ঘোষণা দেয়ার অলিখিত টেন্ডার হাতিয়ে নিয়েছি।

আমার কয়েকটা কপি আর অকবিতা আছে বাজারে মানে ফেসবুকে। সেগুলোকে রোজ বারবার তুলে আনি নর্দমা থেকে, ওয়ালপোষ্ট করি, মানুষকে একটাই কবিতা রোজ মুখস্ত করাই। অনেকে আমার ফ্রেন্ডলিস্টেররা আমাকে ব্লক আনফ্রেন্ড হাইড করে রেখেছে। বড়ই মর্মান্তিক বিষয়।

আওয়ামী লীগ আমলে আমি মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি, বলি স্বাধীনতার স্বপক্ষের কথা। কিন্তু আওয়ামী লীগ আমলের তিনবছর শেষ হতেই ফেসবুকে ঘরের কোণে লুকিয়ে দেয়া দুর্বার স্ট্যাটাস আর দেই না। স্ট্যাটাস দেয়ার জন্যই ছাত্রলীগের সোনার ছেলেদের ছত্রছায়ায় চলেছি। আর যখন তারা ভয় দেখালো এমন করলে শিবির পুন্দাবে ব্যস আওয়ামী লীগ আমলের চারবছরের মাথায় এখন খুঁজি ছাত্রদলের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। খুঁজি মুক্তিযোদ্ধা বীরবিক্রম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানে মুক্তিযুদ্ধের প্রান।

“দেশ গড়েছে শহীদ জিয়া,
নেত্রী মোদের শেখ হাসিনা।“

আমি আমার ফ্রেন্ডলিস্টে পোন্দকদের রাখি না। সবাইইইইইইইই ব্লক। কেউ থাকলে সবাই আমার পুটু মেরেই ব্যাতা করবে। উহ!!! এখন ব্যাতা যায় না। আমার লিস্টে বেশিরভাগই আবালিকা। আমি আবালিকা খুব পছন্দ করি। সাথে একগাদা দিনাজপুর হাসিমপুর প্রাইমারী বিদ্যালয়ের কিছু গেলমান। তারা ছড়াকে কপিতা বলবে এইকারনে। আবার সব কপিতাই আবালিকাদের নিয়ে। আবালিকাআআআআআআআআআআআ!!!! আমি কপিতা লেখি শুধু তুমাদের পটাইয়া। তোমাদের পটাই, ঠকাই আর মনে আনন্দ পাই।

আবালিকাআআআআআআআআআআআআ!!!
তোমাদের জন্য কপিতা লেখি তোমাদের পটাইয়া,
তোমাদের ঠকাইয়া মন করে ঝাকানাকা।

কিছু বিকৃত মস্তিস্কের মানুষ আমার ছড়ার বিকৃতি ঘটায়। আর আমার যৌনবিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক যখন লেখে আমি কাম্রাজ্যবাদি ধ্বজভঙ্গ তখন আমি নিজেই নিজের চটি পড়ে অর্গাজম আনন্দ লাভ করি। আমি এতোই বিকার যে লেখেই ফেলি চটি তোমার মণিকোঠায়, তোমার যোনিকোঠায়। ইস কেন যে এখানে সুশিল কুশিলেরা থাকে। নাহলে তোমার যোনি কোথায় খুঁজে পাচ্ছি না নগদে লিখেই ফেলতাম। আহা!!! আমার তরল বেরিয়ে গেলো লেখতে লেখতে। আবালিকাআআআআআআআ!!!!!!!! কপিতা দিয়ে কত আবালিকা ঠকাইছি হিসাব নাই। সমস্যা হল আমার কাছে সাবালিকাও আসে না, নাবালিকাও আসে না। আসবে আবালিকা। কি আর করার আবালিকাই যখন ভরসা। ফেসবুকে কিন্তু আমি ব্যাপক নারীবাদি, বাস্তবে মাগিবাদ। একটা শের হয়ে যাবে----

“ফেসবুকে আমি নারিবাদি,
বাস্তবে করি মাগিবাজি।“
আমার আবালিকাআআআআআআআআআআআআআআআআ!!!!!!!!

“আমার কাছে সাবালিকাও আসবে না, নাবালিকাও আসবে। আমার কাছে আসবে আবালিকা।“ বত্রিশপাটির হাসি বত্রিশপাটির হাসি

“সকল বাঁধা ভেঙ্গে দিব,
তোমার পর্দা ফাটিয়ে দিব
সাবান নিয়া বাথরুমে যাব
তোমার কথা মনে করে অর্গাজম আনন্দ লাভ করব।“

একেই বলে কিন্তু পর্দা ছেঁড়ার স্পর্ধা, খুপ খেয়াল কইরা। আচ্ছা পরিমল জয়ধর কোথায়? সে কিন্তু আমার বড়ভাই। সে না থাকায় আমার চরম লাভ হইসে। তার বিনা ফাঁকা মাঠে পর্দা ফাটাইতে পারুম। ঠান্ডা লাগে। ট্যাকা নাই পকেটে। থাকলে একটা কম্বল কিনতাম। কিন্তু কম্বল ছাড়া ঠান্ডা লাগে আর ঘুমের সময় আবালিকার কথা মনে পড়ে। হে আবালিকা তুমিহীনাই আমার পানি যায় পইড়া। রাত যতই বাড়তে থাকে ঠান্ডা যতই লাগতে থাকে। ইসসসসসস!!!!! আবালিকাহীনা ঠান্ডাআআআআআআআআআআআ!!!!!!!! জায়গায় জায়গায় আমার সাথে আবালিকাদের ছবি তুলে ফেসবুকে আপ্লোড দেই আর সুযোগ বুঝে হাত মারি। আহা!!! সেদিনও এক আবালিকার সাথে ইডেনের সামনে দেখা করে হাত মেরে আসলাম।

কি আমাকে নিয়ে কে জানি ট্রল করে? এখন ছাত্রলীগের…………………………………………………

আমি করসি তোরে নিয়া কি করবি? আমি গেস্টরুমের র‍্যাগ দিসি ক্যাম্পাসেও র‍্যাগ দিসি উদ্যানের ভিতরেও র্যা্গ দিসি। আমার লগে লাগতে আইলে লাত্থি মাইরা ঐপারে পাঠামু ৩০ কেজি ওজনের বাঞ্চোদ।

সবাইকে শুভ ইংরেজি নববর্ষ ওরফে Happy New Year.