ঘরে চোর এসেছিল। চোর সব লুটে পুটে খাচ্ছিল। ঠিক এমন সময় ডাকাত এসে উদ্ধার করলো। আল্লাহ বাচাইসে।
১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত চরে চুরি কইরা গেসে। উর্দু গিলায়সে। বাবাগিরি করসে।
দাদা এসে ওদের পিটায়া খেদাইসে। এর পর হিন্দি গিলায়তেসে। ফেনসিডিল গিলায়তেসে। ভুডভূডি মার্কা ডেমু ট্রেন আর ভলবো গাড়ি গিলায়তেসে। আমরা গিলতেসী। আহা কি অমৃত সুধা।
আমরা তো চাটাচাটির মধ্যেই আছি। পা চাটা কুত্তার মত।
কেউ পাকি চাটি কেউ ইন্ডি চাটি। কেউ উর্দু রাজাকার কেউ হিন্দি রাজাকার।
তাহলে এত চেতনাবাজি দেখানোর কি আছে? যার যেটা ভালো লাগে সে সেটা কর না বাবা।
শুধু শুধু ৫২, ৬৯, ৭১'এ এত গুলা মানুষ মরসে। এত আবেগ দেখায়া কি লাভ হইলো? উনাদের জন্য আফসোস লাগতেসে।
অবশ্য লাভ যে একেবারে হয়নি তা কিন্তু না।
উনারা যে পরিমান দেশ প্রেমিক সাহসী আর মহান ছিলেন। দেশের এই অবস্থায় উনারা থাকলে মনে হয় আত্মহত্যা করে মারা যাইতেন।
আশার কথা এই যে বাংলাদেশ এখনো পুরোপুরি পরাধীন হয়নি। কেবলমাত্র ভাষা, সংস্কৃতি, চিত্য বিনোদন, গান, নাটক-মুভি, কাচা বাজার, কসমেটিক বাজার, যানবাহন, আর রাজনীতিতে হালকা পাতলা একটু ইন্ডিয়ান প্রভাব আছে। ব্যপার না।
শহীদগণের আত্মা শান্তিতে থাকুক।