আমাদের এলাকায় একটা পাগলি ছিল। প্রায় ১৫/১৬ বছর আগের কথা। সারাদিন ঘুরে বেড়াত এদিক সেদিক। কখন ভিক্ষা করত, কখনো কারো কাজ করে ১ বেলা খাবার চাইতো।
একসময় দেখা গেল পাগলিটা প্রেগনেন্ট!!!!
কেউ কেউ জানতে চায় এমন হলো কি করে।
সে বলে আমি কি করে বলব! (এলাকার তথাকথিত কয়েকজন নেতার নাম বলল, যাদের দেখে সম্মানে মাথা নুয়ে আসে) ওরা একদিন আমাকে বাগানের ভিতর নিয়ে যায়। আর সবাই বলে তোকে মজা দিব, তুই কথা বলিসনা, কাউকে বলিসনা। তারপর সবাই আমাকে নেংটা করে ফেলল। আর একজন একজন করে মজা দিল। তারপর দেখি আমার পেট বড় হইতেসে। মজা দিলে কি পেট বড় হয়?
অবোধ পাগলীর কথা শুনে কিছু নির্বোধ মানুষ হাসে! মজা পায়। আর কিছু মানুষ নিরবে কষ্ট পায় কিন্তু কিছু বলতে পারেনা। পাগলীর জন্য কিছু বললে হয়ত মানুষ তাকে নিয়ে হাসবে। আর প্রতিবাদ তো করাই যাবেনা। সমাজের ভদ্রবেশী কীটপতঙ্গ, কুকুর, হায়েনা অথবা তার চেয়ে ভয়ানক ঘৃণ্য প্রাণীর লোভাতুর দৃষ্টি যাদের, তাদের বিরুদ্ধে এই দেশে কেউ এগিয়ে আসতে পারেনা।
এমন পশুত্বের নির্মম ক্ষুধা যদি একটা বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর সম্ভ্রম কেড়ে নেয়, এমন যৌবন এমন পুরুষত্ব যদি ভুলিয়ে দেয় কে সন্তান, কে বোন, কে ছাত্রী, কে অসহায় এক নারী, কে শিশু...... আমি এক লজ্জিত কলঙ্কিত পুরুষ। নতমাথা এক পাপের অংশীদার। ক্ষমা করো মা! ক্ষমা করো বোন। ক্ষমা করো হে প্রিয়তমা..... তোমাদের ভালবাসা পাবার যোগ্য আমি নই। আজীবন ঘৃনা করে যাও। ছি পুরুষ! ছি পুরুষ! ছি পুরুষ!
ছি! হে বিকৃত রুচির জঘন্য সৃষ্ঠি।
শুনেছি তার কিছু দিন পর পাগলিটা মারা যায়। জানিনা বাচ্চাটার কি হয়েছিল।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫২