আমরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিই না। আমরা গণজাগরণ মঞ্চের ইতিহাস ঘাটলে দেখতে পাই বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়ে ইমরান এইচ সরকারের মন্তব্য, সিদ্ধান্ত গ্রহণে তার একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা, দল গঠনের চিন্তা, আর্থিক লেনদেন নিয়ে অস্পষ্টতা গণজাগরণ মঞ্চে ভাঙন ধরাতে সহায়তা করেছে। আর এই বিষয়গুলো ব্যবহার করেই আড়ালে থেকে ভাঙন ত্বরান্বিত করার সুযোগ পেয়েছিল ছাত্রলীগ।
ঠিক তেমনটি আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে । সমন্বয়কদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা, ব্যক্তিগত আক্রোশ, সাধারণ মানুষকে হয়রানি, জোর করে ফোন চেক করা, ছবি তুলতে বাধা দেওয়া, সাংবাদিকতা চর্চায় বাধা দেওয়া, অপরাজনীতির অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়া এবং অস্পষ্ট আর্থিক লেনদেন সহ বিভিন্ন বিষয় খুব মহামারী আকার ধারণ করেছে। কিন্তু এসবের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া ছাড়া কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক কমিটির আর কোনো পদক্ষেপ অতো স্পষ্টভাবে দেখা যায়নি।
এই তীব্র নিন্দা কিন্তু স্বৈরাচারী সরকারও জানাতো। সময় থাকতেই কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের উচিত এসব তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েই ক্ষান্ত না হয়ে এই স্বৈরাচারী মনোভাব পোষণ করা সমন্বয়কদের লাগাম টেনে ধরা । নাহয় এরাই একটা সময় গিয়ে স্বৈরাচারী রাক্ষস হয়ে হয়ে উঠবে। যা দেশের ও দেশের জনগণের জন্যে হুমকির কারণ হবে। এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পতন ও ব্যর্থতার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:৩৫