লেখার একটা নাম না দিলে নেহায়েত চলেই না। তাই এই নাম। আসলে কেউ ফিরে আসে না। আসতে পারেই না। আজ অনেকদিন পর, বলতে গেলে অনেক বছর পর সামুতে এলাম। মাঝখানে সময় কেটে গেছে। রাত। দিন। ঘোরে বেঘোরে। চৈতন্যে বা ঘুমে। ঝড়ে। শীতের শান্ত রাতে। চাদেঁর সাথে। জোসনায়। আলো আঁধারে!!
এই সময়ে বারবার দুহাতে দূরে ঠেলতে চেয়েছি 'শিক্ষা'। আমি শিখতে চাই না। তবু শুধু মনে হয় শেখানোর জন্যই আমাকে হাত-পা বেঁধে সমুদ্রে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আমাকে শিখতেই হয়েছে! ঘৃণা করতে করতে শিখেছি। শিখেছি জীবনের নিঃষ্ঠুর গীতি- মানুষ বদলে যায়। বদলে যায়!! তাই আর কারো ফেরা হয় না।
অনেক দিন পর আসাতে আগের কোনো এক পোস্ট থেকে একটা কবিতা নিয়ে বান্ধবীকে পাঠালাম। "বলতো এটা কার লেখা!পড়তে তো ভালই লাগছে। এটা কি আমি লিখেছি দোস্ত? আমি? লিখেছিলাম!!"
আয়নার সামনে দাঁড়াই। (বলে রাখি, আয়নাকেও ঘৃণা করতে শুরু করব মনে হয়। তুচ্ছতম দাগগুলোও সে চোখে আঙুল দিয়ে দেখায় আজকাল।) আয়নার সামনে দাঁড়াই। এই কি আমি!! চোখে চশমা। শরীরে মেদ। অসংখ্য বয়সী ভাজ। শান্ত মরে যাওয়া দুটি চোখ। একদম শান্ত!! অথচ আমার মনে পড়ে শুধু একটা চঞ্চল ঝরনার কথা।
সেই ভালবাসার গল্পগুলো উল্টে পাল্টে দেখি। পড়ি। আমি ভালবাসতাম। ভালবাসতাম? কাকে? ভালবাসা কি?
আমার চাওয়াগুলো সামনে এসে বুক চিতিয়ে দাঁড়ায়। বলে দ্যাখ। আমি কি দেখব! কাউকেই আর চিনতেই পারি না। চিনতেই পারি না।
আমার দিকে তেড়ে আসে অতীতের সকল দুশ্চিন্তা। বলে মনে আছে? আমি দেখি, অবাক হয়ে দেখি, সবগুলো সত্যি হয়েছে। সব হারিয়েছি আমি। সবাইকে হারিয়েছি আমি। হারাচ্ছি।
অথচ কি দারুণ সত্য- এখনো বেঁচে আছি। কি নির্মমভাবে বেঁচে আছি!
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:০৬