আমার পশু হতে ইচ্ছা করে।যখন দেখি একজন ধর্ষককে মানুষের আইনে বিচার করা হচ্ছে, তখন আমার পশু হতে ইচ্ছে করে। যখন দেখি সেই ধর্ষকদের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে কিছু সুশীল ভদ্র লোক ,মেয়েদেরকেই শুধু দোষারোপ করছে , তখন আমার পশু হতে ইচ্ছে করে। যখন দেখি ধর্ষনের কারন হিসেবে নারীর পোষাককেই শুধু দ্বায়ী করা হচ্ছে, তখন আমার পশু হতে ইচ্ছে করে। যখন শুনি নারীরা উত্তেজনাকর পোষাক পরে বলেই তারা ধর্ষিত হয় তখন আমার পশু হতে ইচ্ছে করে।
পশু হওয়াই ভালো, পশুর বিবেক বলে কিছু থাকেনা। নিজের অপারগতার জন্য নিজেকে নগন্য মনেহয় না।আমি চাইনা সেই মানুষের জীবন যারা দশ বছরের এক ফুলের মত শিশুকে ধর্ষন করে। আমি চাইনা বাবা নামের সেই মানুষ হতে যার হাতে নিজের মেয়েও অনিরাপদ। আমি চাইনা সেই মানুষ হতে যে তার নিজ বান্ধবীকে ধর্ষণ করে। আমি চাইনা সেই মানুষ হতে, যে এইসব দেখেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে,আর বলে আমরা অন্তত ওদের চেয়ে ভালো আছি। আমি চাইনা সেই মানুষ হতে যে বলে ওই মেয়েরই তো দোষ , ও কেন গেলো?
পুরুষ হিসেবে নিজেকে ঘেন্না লাগে যখন শুনি আমার ছোট বোনের বা মায়ের বয়সি একটা মহিলাকে কিছু পুরুষ ধর্ষন করে মেরে ফেলেছে। মানবিকতা তার জন্য যে মানুষ। আমি শুয়োরের সাথে মানবতা দেখাবো না। আর যদি তারা মানুষ হয় তবে আমি চাইনা মানুষের জীবন,আমি পশুই হতে চাই। আমার লেখাতে যদি কেউ নারীদের পর্দা বিরোধীর কনো গন্ধ পান তাহলে বলবো আপনি হয়তো বুজতে পারেন নাই অথবা আমি ব্যার্থ।
একটা জরীপে বলা হয় যে...
1. South Africa: প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ১১৯৫ জন ধর্ষিত হয়।
2.Australia: প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ৭৭৭ জন ধর্ষিত হয়।
3. Canada: প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ৭৩৩ জন নারী ধর্ষিত হয়।
4. Zimbabwe: প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ৪৫৭ জন নারী ধর্ষিত হয়।
5. U.S.A: প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ৩০১ জন নারী ধর্ষিত হয়।
অপর দিকে
1. Saudi Arabia: এখানে প্রতি ১০লক্ষ নারীতে ২ জন ধর্ষিত হয়। শরিয়া আইন এ চলে। মেয়েদের পর্দা না করে বের হওয়া মানা।
2. Azerbaijan: প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ৩ জন ধর্ষিত হয়। মেয়েদের পর্দা আবশ্যক।
3. Yemen: প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ৪ জন ধর্ষিত হয়। মেয়েদের পর্দা আবশ্যক।
4. Indonesia: প্রতি ১০লক্ষ নারীতে ৫ জন ধর্ষিত হয়। মেয়েদের পর্দা আবশ্যক ।
5. Oman: প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ১৮ জন ধর্ষিত হয়। মেয়েদের পর্দা আবশ্যক ।
আমি বিশ্বাস করি পর্দা করলে এই ধর্ষণের হার কমে যাবে, কিন্তু আমার প্রশ্ন “যে ধর্ষণের কারন হিসাবে শুধু মেয়েদের পোশাককেই কেন দায়ী করা হবে,আর এই ধর্ষণকারীর বিচার কেন মানুষের মতো হবে, যদি মেয়েদের পর্দাই একমাত্র সমাধান হয়ে থাকে তাহলে সাত বছরের ঐ মেয়েকে কোন পর্দার আড়ালে রাখবেন, মেয়েকে তার বাবার কাছ থেকে কোন পর্দার আড়ালে রাখবেন ??”
বিঃদ্রঃ আত্ম-সমালোচনাই ছিল আমার মূল উদ্দেশ্য।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩১