বহু বছর আগে বাসে এক ভদ্রলোকের দেখা পেয়েছিলাম। কোন কারনে বাসের হেলপারের সাথে তার বচসা হয়েছে। তিনি প্রচণ্ড রাগ পেলেন। তারপর শুরু করলেন গালিগালাজ। আমি হকচিয়ে গেলাম গালির ভাষা শুনে।তার উপমার নমুনা শুনে আমি অবাক। না, যদি ভেবে থাকেন তিনি কুৎসিত গালিগালাজ করেছেন তাহলে ভুল করবেন। তিনি গালি দিচ্ছিলেন, এ্যাই গরু, এ্যাই গরু, পাঠা একটা…. কি তার পরিমিতি বোধ! কি তার সংযম। আমি সেদিন অবাক হয়ে ছিলাম, দারুন অবাক হয়েছিলাম।
ইংরেজি ভাষার দারুন একটা ব্যাপার হলো সে ভাষায় স্টুপিড, ননসেন্স টাইপ কিছু ভদ্র গালি আছে যা দিয়ে ভদ্রলোকগণ কাজ চালিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু বাংলা ভাষায় তা একটু মুশকিল। কাওকে নির্বোধ, বোকা, গাধা বললে ঠিক যাকে বলা হবে সে ফিক করে হেঁসে দিবে। সম্পর্ক স্থাপন করা ছাড়া আমাদের গালি হয় না। বেশি আগ্রহ হচ্ছে অন্যের মা বোন!! অন্যের মা বোন আমাদের খুব পছন্দ, লিস্টে এক নাম্বার। আপত দৃষ্টিতে যে সহজ সরল গালি শালা আমরা দিয়ে থাকি খুব সহজে তাও ওই আরেকজনের বোনের সাথে সম্পর্ক যুক্ত করেই।নারী কে হেয় করে কেন জানি আমাদের বেশির ভাগ গালিগালাজ। ঘুরে ফিরে কেন জানি নারীর ঘাড়েই গিয়ে পরে সব গালি।
তারপরেই আমাদের পছন্দ হচ্ছে নারী পুরুষ বাছ বিচার না করে, সাম্যের গান গেয়ে অন্যের পশ্চাতদেশ। নানা উপাদান সহযোগে আমরা তা ব্যবহার করতে ইচ্ছুক। কড়কড়ে বালু বা মবিল নামক লুব্রিকেন্ট সবেতেই আগ্রহ চরম অন্যের পশ্চাতদেশের বেলায়। এগুলাই হচ্ছে গালি আমাদের।
তবে সব অপূর্ণতা পূরণ করে রেখেছে আমাদের ভাষায় একটা শব্দ।একাই একশ যাকে বলে। হিন্দি চুল ইংরেজিতে পিউবিক হেয়ার!! যদিও এটাও ইডিয়ট, ষ্টুপিডের মত ভদ্রলোকের গালিগালাজ না। তবে এটাই একটা শব্দ যা কারো সাথে বিশেষ সম্পর্ক স্থাপন না করে বা করার ইচ্ছা পোষণ না করে অবলীলায় দিয়ে যাচ্ছে সবাই। বেঁচে থাক....
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৪