somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্লিজ, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদককে বাঁচতে দিন................

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আর কতটা রক্তক্ষয় হলে থামবে রিমান্ড সংস্কৃতি? ছেলের অপেক্ষায় বৃদ্ধা মা’র চোখের পানি কি আলোর সন্ধান পাবে না? প্রিয় সহধর্মিণীর বুকফাটা আর্তনাদ কি আনন্দের বন্যায় ভাসবে না? রাজনৈতিক মেরুকরণের বাহিরে সহস্রাধিক ভক্তের মুখে কি অট্টহাসি ফুটবে না? নাকি কারাগারের প্রকোষ্ঠেই বন্ধী থাকতে হবে বুয়েট পড়ুয়া মজলুম আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে?

দীর্ঘদিন দফায় দফায় অত্যাচার-নির্য়াতন শেষে জেলগেটে আবারও শোন অ্যারেস্ট! কি আছে মাহমুদুর রহমানের মাঝে? কেনইবা তাকে নিয়ে এতো ভয়?

সুদিন আসবে বলে তার দুখিনী মা দরজার পাশে দাঁড়িয়ে হয়ত আজও প্রহর গুনছে। ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ে ভাবছে ‘রাত পোহাবার আর কত দেরি পাঞ্জেরী’? অমাবস্যার রাত কি সহসাই কাটবে? নাকি রাত-দিন দুটো সমান-ই থেকে যাবে? নাকি গর্ভধারিনী মা ও স্ত্রীর নীরব কান্না পুরান ঢাকার নাজিউদ্দিন রোডের আকাশে-বাতাসে ঘুরে বেড়াবে?

ইতিহাস একদিন কথা বলবে! মিথ্যাকে লাথি মেরে সত্য একদিন বেরিয়ে আসবেই। এক-এগারোর সময় দেশের অধিকাংশ পত্রিকার সম্পাদক যেখানে মঈন-ফখরুদ্দিনের বন্দুকের নলের সামনে দিনে-দুপুরে আদর্শ-মতাদর্শ বিসর্জন দিয়েছে! ব্যতিক্রম শুধু একজন। কোমর সোজা করে দাঁড়িয়ে ছিলেন আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। একাই ২৪ ঘন্টা কলম চালিয়েছেন ক্যান্টনমেন্টের বিরুদ্ধে। পাশে ছিলেন নিউ এইজ সম্পাদক ও জাবির প্রাক্তন শিক্ষার্থী জনাব নুরুল কবীর।

ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে! প্রবাদটা বাস্তবেও দেখা গেল। অকতোভয় এই কলম সৈনিক জেলে বসেই লিখেছেন ‘মুসলমানদের মানবাধিকার থাকতে নেই’। ব্যাপক সাড়া জাগানো বইটি এখনো পড়লে প্রতিনিয়ত পুলকিত হই। নেপোলিয়ান স্টাইলে তার একটি বক্তব্যে খুব উজ্জীবিত হই- ‘আমাকে ১২০০ পিএইচডিধারী দেশপ্রেমিক দাও, মাহাথির মোহাম্মদের মতো স্বপ্নের বাংলাদেশ বানিয়ে দিব (মোডিফাইড)’।

সেই ২০০৯ সালের কথা। এডমিশন কোচিং করতে ঢাকায় এসেছি। যথারীতি ফার্মগেটের কনকর্ড টাওয়ারে কোচিং শেষে বাসায় ফিরছিলাম। খামারবাড়ির মোড়ে এসে হঠাৎ-ই থমকে গেলাম! কলমরাজা মাহমুদুর রহমানের কলাম! এসব বলে চিল্লাইয়া চিল্লাইয়া পত্রিকা বিক্রি করছে এক হকার! কে এই মাহমুদুর রহমান?পাবলিকের এতো ডিমান্ড কেন তার প্রতি?

কৌতূহল বেড়ে গেল! সেই অগত্যা কিউরিসিটি থেকে আজও দেখে চলেছি প্রিন্ট মিডিয়ার উজ্জ্বল নক্ষত্র সাহসী কলমবাজ মাহমুদুর রহমানকে.....

এখনো মাঝে মাঝে বাড়ি গেলে বাবা চুপি চুপি জিজ্ঞাস করে, কি জানি একটি পত্রিকার মালিক, ঐ যে মাহমুদুরের কি খবর? জেল থেকে কি হে ছাড়া পাইছে? সরকার কি তারে মাইরা ফালাইব নাকি? আমি নীরব, নীস্তব্ধ। টেনশনে পড়ে যাই! বাবা তো লেখাপড়া জানে না! উনাকে চিনে কিভাবে? তাও আবার মফস্বল এলাকায় থাকে...................... আর কতটা রক্তক্ষয় হলে থামবে রিমান্ড সংস্কৃতি? ছেলের অপেক্ষায় বৃদ্ধা মা’র চোখের পানি কি আলোর সন্ধান পাবে না? প্রিয় সহধর্মিণীর বুকফাটা আর্তনাদ কি আনন্দের বন্যায় ভাসবে না? রাজনৈতিক মেরুকরণের বাহিরে সহস্রাধিক ভক্তের মুখে কি অট্টহাসি ফুটবে না? নাকি কারাগারের প্রকোষ্ঠেই বন্ধী থাকতে হবে বুয়েট পড়ুয়া মজলুম আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে?

দীর্ঘদিন দফায় দফায় অত্যাচার-নির্য়াতন শেষে জেলগেটে আবারও শোন অ্যারেস্ট! কি আছে মাহমুদুর রহমানের মাঝে? কেনইবা তাকে নিয়ে এতো ভয়?

সুদিন আসবে বলে তার দুখিনী মা দরজার পাশে দাঁড়িয়ে হয়ত আজও প্রহর গুনছে। ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ে ভাবছে ‘রাত পোহাবার আর কত দেরি পাঞ্জেরী’? অমাবস্যার রাত কি সহসাই কাটবে? নাকি রাত-দিন দুটো সমান-ই থেকে যাবে? নাকি গর্ভধারিনী মা ও স্ত্রীর নীরব কান্না পুরান ঢাকার নাজিউদ্দিন রোডের আকাশে-বাতাসে ঘুরে বেড়াবে?

ইতিহাস একদিন কথা বলবে! মিথ্যাকে লাথি মেরে সত্য একদিন বেরিয়ে আসবেই। এক-এগারোর সময় দেশের অধিকাংশ পত্রিকার সম্পাদক যেখানে মঈন-ফখরুদ্দিনের বন্দুকের নলের সামনে দিনে-দুপুরে আদর্শ-মতাদর্শ বিসর্জন দিয়েছে! ব্যতিক্রম শুধু একজন। কোমর সোজা করে দাঁড়িয়ে ছিলেন আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। একাই ২৪ ঘন্টা কলম চালিয়েছেন ক্যান্টনমেন্টের বিরুদ্ধে। পাশে ছিলেন নিউ এইজ সম্পাদক ও জাবির প্রাক্তন শিক্ষার্থী জনাব নুরুল কবীর।

ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে! প্রবাদটা বাস্তবেও দেখা গেল। অকতোভয় এই কলম সৈনিক জেলে বসেই লিখেছেন ‘মুসলমানদের মানবাধিকার থাকতে নেই’। ব্যাপক সাড়া জাগানো বইটি এখনো পড়লে প্রতিনিয়ত পুলকিত হই। নেপোলিয়ান স্টাইলে তার একটি বক্তব্যে খুব উজ্জীবিত হই- ‘আমাকে ১২০০ পিএইচডিধারী দেশপ্রেমিক দাও, মাহাথির মোহাম্মদের মতো স্বপ্নের বাংলাদেশ বানিয়ে দিব (মোডিফাইড)’।

সেই ২০০৯ সালের কথা। এডমিশন কোচিং করতে ঢাকায় এসেছি। যথারীতি ফার্মগেটের কনকর্ড টাওয়ারে কোচিং শেষে বাসায় ফিরছিলাম। খামারবাড়ির মোড়ে এসে হঠাৎ-ই থমকে গেলাম! কলমরাজা মাহমুদুর রহমানের কলাম! এসব বলে চিল্লাইয়া চিল্লাইয়া পত্রিকা বিক্রি করছে এক হকার! কে এই মাহমুদুর রহমান?পাবলিকের এতো ডিমান্ড কেন তার প্রতি?

কৌতূহল বেড়ে গেল! সেই অগত্যা কিউরিসিটি থেকে আজও দেখে চলেছি প্রিন্ট মিডিয়ার উজ্জ্বল নক্ষত্র সাহসী কলমবাজ মাহমুদুর রহমানকে.....

এখনো মাঝে মাঝে বাড়ি গেলে বাবা চুপি চুপি জিজ্ঞাস করে, কি জানি একটি পত্রিকার মালিক, ঐ যে মাহমুদুরের কি খবর? জেল থেকে কি হে ছাড়া পাইছে? সরকার কি তারে মাইরা ফালাইব নাকি? আমি নীরব, নীস্তব্ধ। টেনশনে পড়ে যাই! বাবা তো লেখাপড়া জানে না! উনাকে চিনে কিভাবে? তাও আবার মফস্বল এলাকায় থাকে......................
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×