somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইমাম এবং কোরআনের বাণীর প্রয়োগিক বিশ্লেষণ

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

খেলাফতের চার খলীফা যারা রাজত্ব চালাতেন ধর্মের আলোকে অনুসরণে । একাধারে তারাই ছিলেন ইমাম এবং তাদের ইমামতিতে মুসলমানরা নামাজ আদায় করতেন ।
তারা যেমন কোরআনের আলোকে শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করতেন । তেমনি তারা ধর্মের কোরআনের নানা দিকের প্রয়োগিক ব্যবহার করতে পারতেন । তারা কোরআনকে শুধু দোযখ বেহেস্তে যাওয়ার মাধ্যম করে রাখেন নাই । তারা সমাজ এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় কোরআনের বাণীর প্রয়োগের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন জীবনে সমাজে কোরআনের ভূমিকা কি এবং কতটা গুরুত্বপূর্ণ । খেলাফত শাসনের সময় ইসলামের স্বর্ণ যুগ তা প্রমাণ করে। পৃথিবীর আর কোন আসমানী কিতাব বা অন্য কোন ধর্মীয় কিতাবের এই ইতিহাস নাই । একমাত্র কোরআনের মাধ্যমেই খলীফারা যুগ যুগ ধরে সাফল্যের সাথে রাজত্ব পরিচালনা করেছেন।

যে সাহাবীরা ধর্ম প্রচারে পৃথিবীর নানা প্রান্তে গেছেন তারা একটি নতুন অঞ্চলে ছিলেন মুসাফিরের মত । তাদের আচরণ ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষকে প্রভাবিত করে ধর্ম প্রচার করেছেন । মানুষ ইসলামকে স্বাগত জানিয়েছে কোন সন্দেহ নাই , সাহাবীরা সফল তাও ঠিক ।কিন্তু মূলত প্রয়োজন ছিল ধর্মের বা কোরআনের সামাজিক প্রয়োগের দিকে বেশী গুরুত্ব দেয়া ।

যেহেতু সাহাবীরা নতুন অঞ্চলে মুসাফির ছিলেন স্বাভাবিকভাবেই তারা ছিলেন খুবই সাধারণ । সমাজ বা দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তারা ছিলেন না ফলে তারা চাইলেও কোরআনের সামাজিক প্রয়োগ সম্ভব ছিলনা । ফলে ধর্ম বা কোরআন বিষয়টা হয়ে যায় অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থের মতই কিছু শান্তির বাণী সহ সুন্দর একটি গল্পগ্রন্থ । কিন্তু আমরা কোরআনকে বুঝতে এবং বোঝাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ ।এর জন্য মূল দায়ী ধর্ম বা কোরআন নিয়ে যারা থাকেন বা কাজ করেন অর্থাৎ ইমাম , মাওলানা , ক্কারি সহ ধর্মীয় কাজে জড়িত প্রতিটি ব্যক্তি।
বিশেষ করে যে মাদ্রাসাগুলো ধর্মীয় শিক্ষা দিচ্ছে এরাই মূলত দায়ী ধর্মকে বিকলাঙ্গ করে উপস্থাপনের জন্য । এবং এই সকল মাদ্রাসা থেকে যারা বের হচ্ছে তারাও ধর্ম বা কোরআনের কোন প্রয়োগিক দিক দেখাতে পারেনা । আমার মনে হয় এরা এই মাদ্রাসা বা মাদ্রাসার শিক্ষক বা পরিচালনা কমিটি হয়ত জানেইনা কোরআনের প্রয়োগিক দিক থাকতে পারে । অথচ এই কোরআন দিয়েই খলীফারা অর্ধ পৃথিবী শাসন করেছেন ।

এরা সমাজের কাছে কোরআনকে উপস্থাপন করে কেবল দোযখ বেহেশত আর পাপ পুন্যের গ্রন্থ হিসেবে । পাপ পুণ্য দোযখ বেহেশত জীবনের পরের বিষয় অজু করে মসজিদে ঢুকে নামজ পড়তে গেলে ওইটুকু সময় এই পাপ পুণ্য , দোযখ , বেহেশত খুব ভালো লাগে কিন্তু মসজিদের বাইরে পা রাখতেই জীবনের বাস্তবতার কাঠিন্যের সামনে ওগুলো সব কেবল গল্প হয়ে যায় । আর কেবল সুন্দর গল্পে জীবন চলেনা।

কোন মসজিদের ইমাম কখনো তার খুতবায় কোরআন কিভাবে দেশ রাষ্ট্র চালানোর কথা বলা আছে তা কি বলে ? অর্থনীতির কি ব্যখ্যা ইসলামে আছে তা বলে ? রাষ্ট্রনীতির ব্যখ্যা বলে ? কোরআনে এবং কোরআনের ব্যখ্যা হাদিসে রাষ্ট্রনীতি , সমাজ নীতি , অর্থ নীতি সকল কিছু বিশদ বিবরন ব্যখ্যা আছে । অনেক ইসলামী চিন্তাবিদ এ নিয়ে বিশদ ব্যখ্যা দিয়ে বই লিখেছেন । কিন্তু মাদ্রসার ঐ সকল বোর্ডে এই বই পাঠ্য করা হয়না । এরা হাদিস কোরআন এবং তাদের মন মত কিছু বই পাঠ্য করে রাখে । কোরআন হাদিসের সঠিক ব্যখ্যা এরা কখনই ছাত্রদের কাছে তুলে ধরতে পারেনা । যার প্রমাণ মসজিদের ইমামরা এরা কোরআনে পাপ পুণ্য দোযখ বেহেশত ছাড়া আর কিছুই জানেনা ।

আপনি রাষ্ট্র সমাজ নিয়ে ইমামের কাছে যান সে তেমন কোন কিছুই জানেনা বলতে পারবেনা । নিজের মন গড়া কিছু কথা বলবে । কারণ মাদ্রাসা বা যারা তাকে ইমামতির লাইসেন্স দেয় তারা তাদের ঐ শিক্ষা দেয়নি । কোরআনে ইসলামে সমাজ রাষ্ট্রের বিশদ বিবরণ মাদ্রাসা তাদের শেখায়না।

ফলে দিনে দিনে ইসলাম মানুষের কাছ থেকে দূরে যাচ্ছে। অন্য ধর্মের মতই সপ্তাহের নির্দিষ্ট একটি দিন বা বছরের নির্দিষ্ট একটি দিন প্রার্থনা করা পর্যন্তই ইসলামের বা কোরআনের কার্যকারিতা থাকছে । অথচ এই কোরআন দিয়ে অর্ধ পৃথিবী শাসিত হয়েছে।
মাদ্রসাগুলোকে তাদের পাঠ্য সূচিতে নতুন বিষয় বা প্রয়োগিক দিক গুলো অন্তর্ভুক্ত করতে বললেও তারা তা মেনে নেয়না । তাদের এই গোঁয়ার্তুমির কারণে ইসলামের কি অপূরনীয় ক্ষতি করা হচ্ছে তা এরা বুঝেনা।

এই বিষয়টির অবশ্যই পরিবর্তন প্রয়োজন। সর্ব প্রথম পরিবর্তন আনতে হবে মসজিদের ইমাম নিয়োগে এটি কেবল মাদ্রাসা বা মসজিদ ভিত্তিক রাখা যাবেনা।একজন ইমাম একটি এলাকার সমাজে অনেক ভূমিকা রাখে তাকে অবশ্যই ইসলামের আইন , রাষ্ট্র নীতি , সমাজ নীতি , অর্থনীতি এসব বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হবে। একজন ইমাম পারেন কোরআনকে ইসলামকে মানুষের কাছে তার প্রয়োগিক দিক তুলে ধরতে। তাহলেই কেবল ইসলাম তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে। ইসলাম কোরআনের প্রয়োগিক দিক তুলে ধরাই হবে ইমামের মূল লক্ষ্য।পূর্বে প্রত্যেক খলীফা ছিলেন ইমাম তাদের নেতৃত্বে সমাজ রাষ্ট্র চলেছে ।

আজ ইমামদের রাষ্ট্র পরিচালনার জ্ঞান বহুদূরের বিষয় মসজিদের কমিটি পর্যন্ত চালাতে হয় আলাদা কমিটি করে এলাকার গন্যমান্য মানুষদের দিয়ে।একটি ইমামের যোগ্যতা নাই যে মসজিদ কমিটি চালাতে পারে কি আশ্চর্য ! অথচ এক সময় একজন ইমাম ছিলেন রাষ্ট্র প্রধান আর এটাই ইসলামের শিক্ষা। ইমাম সাহেবের কাজ পাঁচ বেলা নামাজ পড়ানো , মিলাদ পড়ানো মিলাদ শেষে ১০০টাকার নোট হাসি মুখে গদ গদ করে পকেটে নিয়ে বাড়িতে ফেরা। বড় জোর ঢিলা কুলুপ কিভাবে আরও সঠিক উপায়ে নেয়া যায় তার প্রয়োগ শেখানো । এই হল আজকের প্যাকেজ ইমাম। কিন্তু এই প্যাকেজ ইমাম দিয়ে ধর্ম চলবেনা।তাদের যোগ্যতা থাকতে হবে সমাজে নেতৃত্ব দেয়ার।

মক্কার যিনি ইমাম সাহেব তার কাজ খুতবা পর্যন্তই শেষ সমাজ বা রাষ্ট্র পরিচালনায় তার কোন ভূমিকা নেই । কিন্তু ইসলামের ইতিহাস কি বলে ইসলামের শিক্ষা কি ? একজন ইমাম রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন অথবা যিনি রাষ্ট্র প্রধান তিনি ইমামতি করবেন । যার একটিও সৌদি আরবে পালন করা হয়না। আরও ভয়ঙ্কর বিষয় তারা কোরআন হাদিসের বিরুদ্ধে বা বিপরীত মতে দেশ বা রাষ্ট্র পরিচালনা করে। খেলাফত শাসন , কোরআন , হাদিসের কোথাও রাজ পরিবার বা রাজতন্ত্র বলতে কোন শব্দ নেই। নির্দিষ্ট ইজমা কেয়াসের মাধ্যমে সকলের মিলিত সিদ্ধান্তে রাষ্ট্র প্রধান নির্বাচিত হবে। কিন্তু সৌদি আরব , কুয়েত , আরব আমিরাত সহ বহু দেশে রাজতন্ত্র চলছে যা কখনই ইসলাম সমর্থন করেনা। খেলাফতের কোথাও আমিরের ছেলে আমির ছিলনা , রাজার ছেলে রাজা হয়নি। ইজমা কেয়াস অর্থাৎ সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও নাগরিকরা আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করতেন রাষ্ট্র প্রধান ।

মাদ্রাসা থেকে ইমামমের জন্য নির্বাচিত করা হবে ঠিক আছে । কিন্তু সরকার তাদের জন্য আলাদা প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করবে। সেখানে অবশ্যই ইংরেজি, বিজ্ঞান , রাষ্ট্রবিজ্ঞান , সমাজ বিজ্ঞান , অর্থনীতি বিশেষ করে আইন বিষয়ে অবশ্যই প্রশিক্ষণ দিতে হবে । কেউ কেউ কোরআনকে বিজ্ঞানের সাথে তুলনা করে যা আসলে খুব বড় একটি ভুল । এই ভুলের জন্য মূলত দায়ী কোরআনের একটি আয়াতের ভুল অনুবাদ বা ব্যখ্যা

আল কোরানুল হাকিম – কোরআন জ্ঞানময় ।

জ্ঞান এবং বিজ্ঞানের মধ্যে বিশাল ফারাক। যেমন-বুদ্ধ একজন জ্ঞানী ব্যক্তি , কন ফুসিয়াস একজন জ্ঞানী ব্যক্তি আর জগদিস চন্দ্র বসু একজন বিজ্ঞানী, নিউটন একজন বিজ্ঞানী । বুদ্ধ , কনফুসিয়াস সমাজের পরিবর্তনে গভীর ভূমিকা রেখেছেন। সমাজে তাদের বাণী আজও অমর । তাদের অনুসারীরা যুগ যুগ ধরে তাদের বাণী অনুসরণ করছে। কিন্তু নিউটন বা জগদিস চন্দ্র বসুর একটি সূত্র বা আবিস্কার মানুষ স্বাগত জানায় তা নিয়ে গবেষণা করে কিন্তু তাদের জীবন অনুসরণ করেনা তাদের বাণী সমাজে কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই । কেবল তাদের আবিস্কার টুকুই গৌণ। কিন্তু পুরো মানুষটা নয় । এখানেই জ্ঞানী এবং বিজ্ঞানী বা জ্ঞান এবং বিজ্ঞানের পার্থক্য। জ্ঞান অনেক বিশাল গভীর একটি বিষয় কিন্তু বিজ্ঞান নয় ।

বিজ্ঞানের পরিধি সীমিত যা কেবল প্রযুক্তি বা বস্তুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ কিন্তু মানুষের মন জগতে তার কোন স্থান নেই।মন বিজ্ঞান বলতে একটি বিষয় আছে তাতে আদৌ কোন যুক্তি সঙ্গত মনের ব্যখ্যা নাই সেখানে মন খারাপ বা বিষণ্ণতার জন্য ঔষধ দেয়া হয় । অর্থাৎ মনকেও বিজ্ঞান বস্তু বা প্রযুক্তির মধ্যে টেনে আনছে। জ্ঞানীর মূল স্থানই হচ্ছে মানুষের মন বা মনস্তাত্তিক জগত। এই সহজ বিষয়টা অনেকেই বুঝতে পারেনা ।

বিজ্ঞান নিজে নিজেকে চিরন্তন সত্য বলেনা।কারণ চিরন্তন সত্য অর্থই এই সত্যের আর পর নেই এই সত্যই শেষ । যেমন – সূর্য পূর্ব দিকে উঠে এটি চিরন্তন সত্য এর আর পর নেই । সুতরাং এটি থেকে নতুন কোন তথ্য বা নতুন কিছু বের হবেনা। কিন্তু বিজ্ঞান কখনই একটি জায়গায় থেমে থাকেনা এটি সদা পরিবর্তনশীল। নতুন তথ্য বা নতুন আবিষ্কারই , নতুন উন্নত প্রযুক্তি যার মূল কথা। কিন্তু বাণী বা বিধান চিরন্তন আর কোন পরিবর্তন নেই । বুদ্ধের বাণী , কনফুসিয়াসের বাণী যা বলে গেছেন তাই থাকবে তার কোন পরিবর্তন হবেনা। ঠিক কোরআনের বাণীও তাই ।

আল কোরানুল হাকিম – কোরআন জ্ঞানময় । যার অর্থ জ্ঞান কিন্তু কখনই বিজ্ঞান বা প্রযুক্তি বোঝানো হয়নি । কিন্তু কিছু অতি উৎসাহী এই জ্ঞানকে বিজ্ঞানের সাথে গুলিয়ে কোরআনকে বিতর্কিত অবস্থানে নিয়ে যায় ।

আমি নবী (সঃ) কথা না বলে বুদ্ধ বা কনফুসিয়াসের উদাহরণ দিলাম এই জন্য যে ধর্মের বা বাণীর ব্যপকতা গভীরতা সকল ধর্ম বা বাণীর ক্ষেত্রেই এক । ধর্মান্ধ বলে ভুল না করেন তাও এই উদাহরনের অন্যতম কারণ ।

তাহলে দেখুন একটি বাণীর কেবল একটি শব্দের ভুল ব্যখ্যা আমাদের কতটা ভুলের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে কোরআনের সকল বাণী বা আয়াতের সঠিক ব্যখ্যা বের করা আসলে কতটা ভাবনার বিষয় !

আমি ইমাম প্রশিক্ষণের বিষয়গুলোতে আইনের বিষয়টি বাধ্যতামুলক করতে বলেছি । কারণ কোরআন একটি জীবন বিধান । আপনি যদি তুলনা করতে চান তাহলে একটি বিধানের সাথে আরেকটি বিধানের তুলনা করবেন । বিজ্ঞান কোন বিধান নয় একটি প্রযুক্তির বিষয় যা প্রমাণ বা ফলে বা কারণে বিশ্বাসী। সমাজের বিধানে যার কোনই ভূমিকা নেই । যদিও আমরা বলি সমাজ বিজ্ঞান আসলে কিন্তু তা একটি বিধান । সুতরাং একজন ইমাম যখন আইন বিষয়ে ভাল জানবেন রাষ্ট্র নীতি , সমাজ নীতি , অর্থ নীতি বিষয়ে জানবেন তখন কোরআনের হাদিসের এই বিষয়গুলো ব্যখ্যা করা তার জন্য আরও সহজ হবে । মানুষের কাছে ধর্মের প্রয়োজনীয়তা ধর্মীয় বিধানের সঠিক গুরত্ত তুলে ধরতে পারবেন।

আরও একটি বিষয় অবশ্যই করতে হবে তা হচ্ছে ছোট হোক বড় হোক প্রতিটি মসজিদে একটি লাইব্রেরী করতে হবে । যেখানে ধর্মীয় বইয়ের পাশাপাশি রাষ্ট্র নীতি , সমাজ বিজ্ঞান , অর্থনীতি এবং আইনের বই থাকবে।এতে মুসল্লিরা তাদের নানা জিজ্ঞাসার উত্তর নিজেরাই বের করে নিতে পারবে । যা ইসলামকে মানুষের আরও কাছে নিয়ে যেতে ভূমিকা রাখবে । কোরআনের সমাজে তার অনস্বীকার্য ভূমিকা প্রমানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অবশ্যই লাইব্রেরি সকল ধর্মীয় মানুষের জন্য উম্মুক্ত থাকবে ।প্রতি সপ্তাহে বা মাসে অন্তত একবার সেই লাইব্রেরিতে আলোচনা সভা করলে তা আরও ভালো হয় যেখানে সমাজের সকল স্তর সকল ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণ থাকবে।

কোরআন ইসলামকে যতটা সম্ভব মানুষের কাছে খুলে দিতে হবে । সহজ বোধ্য করতে হবে কোরআনের ইসলামের বিধান । শুধু নির্দিষ্ট কিছু বিষয় পাপ পুণ্য দোযখ বেহেশত এই পর্যন্ত ইসলামকে রেখে দিলে অন্য ধর্মের মতই কোরআন হয়ে যাবে একটি সুন্দর গল্পের বই যাতে অনেক মহান কথা আছে কিন্তু কোন প্রয়োগ নেই । যা আজকের অন্য সকল ধর্মের ক্ষেত্রে বাস্তব সত্য। তাই আসুন কোরআন ইসলামকে মানুষের সামনে তুলে ধরি । সহজবোধ্য করে মানুষের সামনে উপস্থাপন করি।

২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×