somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চাকরি নিয়ে "টেনশিত" ভাই বোনদের জন্য কিছু আশার বানী! :)

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বাতাসে একটা গুজব সবসময়ই থাকে যে, যোগাযোগ না থাকলে নাকি জব হয়না। কথাটা শুধুমাত্র আংশিক সত্যি, পুরো সত্যি না। আমি এখনও অনেক ফোন পাই, অজানা অচেনা কেউ আমাকে ফোন করে বলে ভাই একটু ব্যবস্থা করেন বা একটু দেখেন। আমি বিনয়ী মানুষ, তাই কারও মুখের উপর বলতে পারি না যে ভাই নিজের যোগ্যতা না থাকলে যোগাযোগ দিয়েও কিছু হয় না। আর যদি সত্যিই যোগ্যতা থাকে, তাহলে কারোরই কোন সাহায্য আপনার দরকার নাই এমনিতেই আপনি পারবেন। আমি শুধুমাত্র তাকেই রেকমেন্ড করতে পারি যাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি এবং তার যোগ্যতা সম্পর্কে জানি। যারা জব নিয়ে চিন্তায় আছেন, তাঁদের জন্য ইম্পরট্যান্ট কয়েকটা পয়েন্ট বলছি-

১. সবার উপরে নিজের যোগ্যতা, রেজাল্ট ভালো হওয়া আবশ্যক! মনে আছে ইউনি লাইফে অনেকে বলেছে যে রেজাল্ট দিয়ে কি হয়? জিনিসটা জানলেই হল। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে জিনিসটা জানতে হলে আপনাকে পড়তেই হবে, আর পড়লে রেজাল্ট ভালো না হওয়ার কোন কারন নাই। সব কোম্পানির HR চাইবে একটা ভালো ছাত্র/ছাত্রী কে নিতে, কারন রেজাল্ট দিয়ে বোঝা যায় যে সেই ক্যান্ডিডেট ইউনি লাইফে পড়াশুনা নিয়ে কতটা সিরিয়াস ছিল, এবং এ থেকে বোঝা যায় যে সে জব এ কতটা Responsible হবে। এরকম যদি কেউ থাকে যার রেজাল্ট ভালো না কিন্তু সে “জ্ঞানী”, তাহলে তার ব্যাডলাক...সে তার “জ্ঞান” দেখানোর সুযোগই পাবে না, কারন সে রিটেন টেস্ট এর জন্যই ডাক পাবে না রেজাল্ট খারাপ হবার কারনে।

২. “লিংক” না থাকলেও জব হয়; কারন কোম্পানিগুলা কাজ চায়, আত্মীয় না। কাজ করার জন্য ভালো ছেলেমেয়ে দরকার, তাই আপনি যদি নিজেকে প্রমান করতে পারেন কেউ আপনাকে আটকাতে পারবে না। কিছু কিছু “আত্মীয়” ঢুকে যাবেই, কিন্তু সবসময়ই কাজ করতে পারবে এমন ছেলে মেয়েদের নেয় সবাই। যদি ৪ টা ভ্যাকেন্সি থাকে, আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন এর মধ্যে অন্তত ২ জনকে নেওয়া হবে তাঁদের পারফরম্যান্স এর কারনে। তাই আপনার সুযোগ থাকছেই। :)

৩. ছোটোখাটো (আমার মত) লেভেলের কাউকে ধরে খুব একটা লাভ নাই, ধরলে একেবারে রাঘব বোয়াল ধরেন। এই যেমন চেয়ারম্যান বা এমডি বা জিএম...নিদেনপক্ষে ম্যানেজার লেভেল, বহুত ফায়দা হবে তাহলে!

৪. রিটেন টেস্ট এর আগে মোটামুটি একটা পড়াশুনা তো করা উচিৎ। খুব বেশী ক্রিটিক্যাল কিছু রিটেন টেস্ট এ থাকে না সাধারণত, বেসিক জিনিস সব। আপনি যে সেক্টরেই কাজ করেন না কেন, একেবারে অপ্রস্তুত অবস্থায় কোথাও চাকরীর জন্য যাওয়া আর না যাওয়া একই কথা।

৫. ভাইবা এর সময় ছেলে হলে টাই পড়া ভালো, জব হয়ে যাবার পর আর নাই পড়লেন! মেয়েদের একটু ফরমাল লুকে আসা উচিৎ, নট লাইক ইউ আর গোয়িং টু এ ওয়েডিং। কনফিডেন্ট থাকবেন, যা বলবেন জোর দিয়ে বলবেন, ভুল শুদ্ধ ব্যাপার না। মনে রাখবেন এখন ইনফরমেশন পাওয়া একেবারেই সহজ, একটা মাত্র ক্লিকের মামলা। কিন্তু স্মার্টনেস বা কনফিডেন্স ক্লিক করলে আসবে না, আর সবাই এটাই চায়।

৬. ইন্টারভিউ বোর্ড এ গিয়ে ওভারস্মার্ট হলেও সমস্যা, চেষ্টা করবেন “কুল” থাকতে (কুল আফটার শেভ আর বডি স্প্রে মারতে পারেন) :P। কারন মাঝে মাঝে বোর্ডের সদস্যরা খামাখাই আপনাকে একটা স্ট্রেস কন্ডিশন এ ফেলে দিবে আপনার টেম্পারমেন্ট দেখার জন্য, সো মাথা ঠাণ্ডা। আর বেয়াদবি করা যাবে না, আপনি যদি তাঁদের সাথে কোন বিষয়ে একমত নাও হন, উত্তেজিত হয়ে কিছু বলার চেষ্টা না করাই ভালো... এমন হতে পারে যে তারাই ঠিক, কারন তাঁদের অভিজ্ঞতা অনেক। চেষ্টা করবেন হাসিখুশি থাকতে, তাই যাওয়ার আগে দাঁত ভালো করে ব্রাশ করাও আবশ্যক!

৭. আমার জবটা খুব বেশী দরকার এই ধরনের কিছু বলা উচিৎ না, আপনি ইন্টারভিউ দিতে আসছেন মানেই আপনার এটা দরকার, আলাদা করে না বললেও হয়। এমন একটা সিচুয়েশন তৈরি করতে হবে যে, ওদেরকে আপনার যতটুকু দরকার তাঁর চেয়ে আপনাকে তাঁদের বেশী দরকার।

৮. যে কোম্পানিতে গেছেন যাওয়ার আগে অবশ্যই সেই কোম্পানি সম্পর্কে একটা আইডিয়া নিয়ে যাবেন। তাঁদের প্রোডাক্ট বা ধরন/কাজ নিয়ে কিছু জেনে যাবেন। এ গুলো নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে, এছাড়া ভাইভা এর শেষে একটা কমন প্রশ্ন থাকে যে “আপনার কি আমাদের সম্পর্কে কোন প্রশ্ন আছে”? এতে যদি আপনি একটা ভালো প্রশ্ন করতে পারেন তাহলে আপনার সম্পর্কে তাঁদের ইম্প্রেশনই চেঞ্জ হয়ে যাবে।

সবচেয়ে ভালো বুদ্ধি হচ্ছে জব না করে নিজের স্বাধীন কিছু করা। আমার সেটা করার মত সাহস নাই (এই মুহূর্তে) বলে চাকরী করতে হচ্ছে! হতাশ না হয়ে ধৈর্য ধরেন, কেউই জীবনে এক যায়গায় আটকে থাকে না। এই সবগুলো পয়েন্টই আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেওয়া, কাজে লাগবে আশা করি। বেষ্ট অফ লাক!
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×