somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তসলিমা নাসরিনের ''লজ্জা'' পড়লাম এবং দুটো কথা লিখলাম।

৩১ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১১:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথমেই বলে রাখি লজ্জা বইটি যারা পড়েননি তারা প্রথমে বই পড়ুন তারপর মন্তব্য করুন। বই না পড়ে মন্তব্য করলে আমাকে হয়ত ভুল বুঝতে পারেন। আক্রমণাত্মক মন্তব্যও করে বসতে পারেন।

লজ্জা বইটির ডাউনলোড লিংক Click This Link
হুমায়ুন আজাদের ''পাক সার জমিন সাদ বাদ'' এর লিংক Click This Link


তসলিমা নাসরিনের অনেক গুলো বই ইতিমধ্যে আমার পড়া হয়েছে। তাই বলে ভাববেন না আমি তসলিমা নাসরিনের ভক্ত। ওর বই পড়ি নতুন কি বির্তক সৃষ্টি করল তা জানার জন্য। ওর লেখার বিষয় বস্তু বা লেখার স্টাইল কোনটাই আমার ভাল লাগে না। উস্কানিমূলক ও অশ্লীল লেখা তো আরো একটি কারণ। ব্লগে অনেকেই তসলিমা নাসরিনকে ফিরিয়ে আনার জন্য লিখে থাকে। আমি বলি তসলিমা নাসরিনকে ফিরিয়ে আনা খুব গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজ নয়। তসলিমা দেশের সম্পদ নয়, বোঝা। তসলিমা মানেই অশান্তি। সুতরাং ও দেশের বাইরে থাকলেই দেশের জন্য ভাল।

আসল কথায় আশা যাক। তসলিমা নাসরিনের পরিচয়ই লজ্জা বইটি দিয়ে। লজ্জা নিষিদ্ধ হওয়ার আগে তাকে কজন চিনত তা গবেষণার বিষয়। তবে দুঃখের বিষয় তসলিমা নাসরিনের লজ্জা বইটি নিষিদ্ধ হয়ছে কি কারণে তা আজো আমার অজানা। বইটি পড়ার জন্য অনেক খুঁজেছি কিন্তু কোথাও পাইনি। দিনের পর দিন নেটে সার্চ দিয়েছি তাও পাইনি। ৫/৬ দিন আগে ব্লগে জনৈক ব্লগার লজ্জা বইটির লিংক দিয়েছিল। সাথে সাথে বইটি ডাউনলোড করলাম এবং আজ শেষ করলাম। মজার ব্যপার হলো তসলিমার যত বই পড়েছি তার মধ্যে লজ্জা বইটিই আমার ভাল লেগেছে। এবং আমি ভেবে পেলাম না বইটি কেন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কোন বই নিষিদ্ধ করার সময় নিশ্চয় কারণটিও জানানো হয়। লজ্জা নিষিদ্ধ করার কারণ কারো জানা থাকলে আমাকে জানাবেন দয়া করে।

তসলিমা নাসরিন সাধারণত সব বইতে যা করে থাকেন তা হলো ইসলামের অবমাননা, হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে অশ্লীল ও অরুচিকর মন্তব্য এবং পর্নোগ্রাফি টাইপের স্থুল রুচির লেখা। কিন্তু বিশ্বাস করুন, এই বইতে ইসলামকে কোথাও কটাক্ষ করেনি, হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর অবমাননা তো দূরের কথা নামও কোথাও লেখেনি, পর্নো টাইপের কোন লেখাও লেখেনি। বইটির মূল বিষয়বস্ত হলো সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিপক্ষে। ভারতে বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার পরে সংগঠিত ঘটনাবলী তার লেখাতে উঠে এসেছে। বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার পর ভারতে যেমন হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা হয়েছিল তেমনি বাংলাদেশেও হয়েছে। বাংলাদেশের হাজার হাজার হিন্দু তাদের সর্বস্ব হারিয়েছিল, নির্যাতিত হয়েছিল এমনকি হিন্দু মেয়েরা ধর্ষিত হয়েছি। বইটিতে তসলিমা বুঝাতে চেয়েছিল বসনিয়ায় কোন মুসলমান যদি খ্রীষ্টান হত্যা করে তার জন্য যেমন বাংলাদেশের মুসলমান দায়ী নয় তেমনি ভারতে বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার জন্য বাংলাদেশের হিন্দুরা দায়ি নয়। অথচ প্রায় একই বিষয় নিয়ে হুমায়ুন আযাদ ''পাক সার জমিন সাদ বাদ'' লিখেছিলেন। যারা ''পাক সার জমিন সাদ বাদ'' বইটা পড়েছেন তারা যদি সুস্থ রুচির হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই স্বীকার করতে বাধ্য হবেন যে বইটির অন্তত ২০ ভাগ লেখা রগরগে অশ্লীল লেখায় ভরপুর ছিল। তবে বইটিতে হুমায়ুন আজাদ কিছু অপ্রিয় সত্য কথাও বলেছিল যা জামায়াত বা ধর্ম ব্যবসায়ী দল গুলোর পছন্দ হওয়ার কথা না। আর সেই কারণেই হুমায়ুন আজাদকে তাদের হাতে রক্তাক্ত হতে হয়েছিল।

তসলিমার এবং হুমায়ুন আজাদের বই দুটি পড়ে আমার যা মনে হয়েছে তা হলো লজ্জা যদি একবার নিষিদ্ধ হয় ''পাক সার জমিন সাদ বাদ'' একহাজার বার নিষিদ্ধ হওয়া উচিত।

লজ্জা বইটির লিংক দিলাম যার কারণে বিস্তারিত রিভিউ দিলাম না।

দয়া করে বই দুটি পড়ে মন্তব্য করুন।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১১:৩৬
৪৭টি মন্তব্য ৪৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মৃত্যু কাছে, অথবা দূরেও নয়=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



©কাজী ফাতেমা ছবি
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিয়ে বলি, আমারও সময় হবে যাবার
কি করে চলে যায় মানুষ হুটহাট, না বলে কয়ে,
মৃত্যু কী খুব কাছে নয়, অথবা খুব দূরে!
দূরে তবু ধরে নেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের চার খলিফার ধারাবাহিকতা কে নির্ধারণ করেছেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৭




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব)... ...বাকিটুকু পড়ুন

×