somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সামনে বিপুল, বিশাল চ্যালেঞ্জঃ মোকাবেলায় কতটুকু সক্ষম বিএনপি?

১৩ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১. ভুল রাজনৈতিক বিশ্লেষণ, দূরদর্শিতার অভাব

বিএনপি বাংলাদেরশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। লোকবল ও জনপ্রিয়তায় তাঁর ধারেকাছেও নেই অন্যকোনো রাজনৈতিক দল। মধ্যপন্থী গণতান্ত্রিক ধারায় আছে বলেই বাংলাদেশের মধপন্থী ও উদারপন্থী জনগণের বিপুল অংশের সমর্থন রয়েছে তাদের প্রতি। কিন্তু এটাই কি সব? রাজনীতি বেশিরভাগই হচ্ছে মাথা বা মস্তিষ্কের খেলা। রাজনীতির মাঠে বিভিন্ন পক্ষ ও প্রতিপক্ষের সাথে খেলতে হয় বুদ্ধিতে, কৌশলে। সেই দিক দিয়ে বিএনপি কতটা সফল? খুব কি সফল হতে পেরেছে তারা নিকট অতীতে? বর্তমানেও কি খুব একটা সফল বলা যায়?

এই ব্যাপারে বিস্তারিত উদাহরণ দেবার আগে একটা উদাহরণ দেই। গত ২৪-এর জানুয়ারির আমি-ডামি-স্বামী নির্বাচনের কয়েকদিন আগের একটা ঘটনা বলি।
নিয়মিত বিভিন্ন পলিটিক্যাল অ্যানালিস্ট ও পলিটিশিয়ানদের ইউটিউব কন্টেন্ট দেখতাম। ডাঃ জাহেদ উর রহমান, পিনাকী ভট্টাচার্য, শাহেদ আলম, মোস্তফা ফিরোজসহ অনেকেরই। বিএনপির তখনকার সহ-আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানার কন্টেন্টও দেখা হতো।
নির্বাচনের কয়েকদিন আগে তিনি বাংলাদেশে নিযুক্ত তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের ভারত ভ্রমণ নিয়ে অত্যন্ত বোকা মার্কা আশাবাদী একটা কন্টেন্ট নির্মাণ করেছিলেন। এই কন্টেন্টের ছবি নিচে দেওয়া হলোঃ



এটা দেখেই আপনারা বুঝেতে পারছেন যে রুমিন ফারহানা আশা করেছিলেন, পিটার হাসই ভারতের সরকারকে রাজি করিয়ে ক্ষমতা থেকে আওয়ামী সরকারক্বে সরে গিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বাধ্য করবে? নাকি উনি রিয়াসাদ আজিমের মতো স্রেফ ভিউ বাড়াতে এরকম অনেকটাই গুজবনির্ভর ‘থাম্ব-নেইল দিয়ে’ ভিডিও কন্টেন্টটি আপলোড করেছিলেন?

আচ্ছা, তখন কি দেশে বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধীদলের আন্দোলন তুঙ্গে ছিল? তুঙ্গে দূরে থাক, আওয়ামী সরকারের ব্যাপক ক্র্যাকডাউনের ফলে রাজপথে ও আন্দোলনে বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না।
আর ওদিকে পিটার হাসের দিল্লি সফরের আগেই ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মণত্রণালয় পর্যায়ের শীর্য পর্যায়ের মিটিং থেকে এটাই বোঝা যাচ্ছিল যে ভারতের চাপে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী সরকারের প্রতি কঠোর অবস্থান থেকে দূরে সরে এসেছে। ভারত তখন যুক্তরাষ্ট্রকে অনেকটাই বলে দিয়েছিল যে আমেরিকা যদি এই অঞ্চলে চীনের উত্থানকে ঠেকাতে চায়, এবং সেজন্য ভারতকে তাদের পাশে চায়, তবে বাংলাদেশে ভারতের পছন্দের সরকারকে রাখতে দিতে হবে। সম্ভবত, তখন যুক্তরাষ্ট্র আপাতভাবে আওয়ামী সরকারের প্রতি কঠোরতা থেকে সরে এসেছিল।

ছিল না তখন রাজপথের কোনো কঠোর আন্দোলন; আর না ছিল যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অবস্থান। এরপরও কীসের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেছিলেন যে “৭ই জানুয়ারির আগেই সরকার পতন?” কীসের ভিত্তিতে সেটা তিনি বলেছিলেন, তিনিই সেটা ভালো জানেন।
অবশ্য তখন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের জ্বালায় অতিষ্ঠ, নিপীড়িত মানুষেরা স্রেফ খড়কুটো ধরে বাঁচার অবস্থা যেন ছিল…তাই হয়তো আমেরিকার উপর অতিমাত্রায় ভরসা করেছিলেন। এমনকি আমার পরিচিত এক দেশের অন্যতম সেরা পলিটিক্যাল এনালিস্ট তাঁর ভিডিও কন্টেন্টেও এমনকি এই কথাই বলেছিলেন ৮ জানুয়ারির নির্বাচনের পর যে, “ইলেকশন তো হলো, কিন্তু সরকার টিকবে কতদিন?” তাঁর ধারণা ছিল যে এই ইলেকশনের পর আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্বের ক্রমাগত স্যাংশনে আওয়ামী লীগের সরকার দ্রুতই রণেভঙ্গে দিবে। আমিও সেই পলিটিক্যাল এনালিস্টকে ইনবক্সে বলেছিলাম যে যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের পররাষ্ট্র পর্যায়ের মিটিংয়ে সবকিছু ঠিক হয়ে গেছে। আমেরিকা আপাতত ম্যানেজড হয়ে গেছে ‘ভারত-লীগের’ কাছে।“ কিন্তু তিনিও আমার কথাকে খুব একতা গুরুত্ব দেননি। তারপরে ইলেকশনের পরে তিনি তো ভিডিও কন্টেন্ট নির্মাণ করে বললেন যেঃ “ইলেকশন তো হলো, কিন্তু সরকার টিকবে কতদিন?”
যাই হোক, এবার আসল প্রসঙ্গ, বা বিএনপির কথায় আসি। বিএনপির নিয়ত নিয়ে কোনো সংশয় আমার ছিল না। তারা যে জীবনে আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করবে না, সেটা জানতাম। তবে, নিঃসন্দেহে বুদ্ধিদীপ্তভাবে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি, পরিকল্পনাও করতে আপ্রেনি, যেজন্যই আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ১২ বছর ধরে টিকে ছিল।

২. ২০১৩ পরবর্তী সময়ে জামায়াত কেন্দ্রিক ইনার্শিয়া এবং সঠিক স্ট্র্যাটেজি ও স্মার্ট মুভের অভাব

১২ বছর ধরে টিকে ছিল আওয়ামীফ ইয়াসিবাদ। হ্যাঁ, ২০০৯ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পর প্রথম থেকেই আওয়ামী লীগ যে ফ্যাসিবাদী রুপ ধারণ করেছিল, তা নয়। নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করতেই ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ নির্বাচনকে ম্যানিপুলেট করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্ত তারা তখনই নেয়, যখন ২০১৩ সালের পাঁচ সিস্টি কর্পোরেশনের নির্বাচনে যখন তারা গো-হারা হারে।

এরপরই আওয়ামী লীগ বুঝতে পারে যে নির্বাচন ঠিকঠাক হলে সামনের জাতীয় নির্বাচনে কখনোই জিতে আসা সম্ভব হবে না আওয়ামী লীগের। তাই, নির্বাচন সঠিক, সুষ্ঠু, ও নিরপেক্ষ করার সবরকম পরিকল্পনা থেকে সরে আসে তারা। এদিকে, শাহবাগে যুদ্ধপরাধের ফাঁসির দাবিতে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চের তথাকথিত আন্দোলন আওয়ামী লীগকে সেই ক্ষেত্রে অনেক বড় এক ‘মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি’ টাইপের এক ফুয়েল দেয়! তখন যেহেতু বিএনপির সাথে জামায়াতে ইসলামীর জোট ছিল, তাই শাহবাগ আন্দোলনকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ দেশব্যাপী প্রচার করতে থাকে যে জামাত যেহেতু যুদ্ধাপরাধী ও ‘জঙ্গী,’ কাজেই তাদের জোটসঙ্গী বিএনপিও একইরকম। একই জিনিস বিদেশেও প্রচার করে আওয়ামী লীগ। শাহবাগ আন্দোলন এমন একটা আবহ তৈরি করেছিল এবং এটাকে এমনভাবে আওয়ামী লীগ বিদেশিদের কাছে প্রচার করেছিল যে তারাও ভেবেছিল দেশের সেক্যুলারসহ বড় একটা অংশ জামায়াতে ইসলামী, তথা মৌলবাদী রাজনীতির বিরোধী। তাই, যুদ্ধাপরাধের বিচারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ কর্তৃক জামাত ও বিএনপিকে নিপীড়ন এবং গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের বিরুদ্ধে তারাও খুব বেশি জোরালো অবস্থান নিতে পারেনি। আর, এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের হয়ে নীরবচ্ছিন্ন ফাইট করা ভারতের অবিচ্ছিন্ন পায়তারা ও প্রচেষ্টা তো ছিলই। এসবকে কমব্যাট করার মতো মিত্র বহিঃবিশ্বে বিএনপি ও তাঁর জোট জোটাতে পারেনি তখন।

ফলাফলে, যা হবার তা-ই হলো। ২০১৪-তে হাস্যকর নির্বাচন করেও আওয়ামী লীগ টিকে গেল। এরপর, বিএনপি করতে পারত একটা খুব স্মার্ট, কানিং মুভ…তারা জামায়াতে ইসলামীকে কৌশলে বলতে পারতঃ
“আপনারা আমাদের সাথে থাকায় পশ্চিমা বিশ্বের ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের’ অংশ হিসেবে তো সবাই আমাদের জোটের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকেও প্রসশ্নবিদ্ধ করছে। এক কাজ করেন, সাময়িকভাবে আপনারা জোটের বাইরে বেরিয়ে যান।
এরপর, জোটের বাইরে থেকে আপনারা অন্যান্য ইসলামী দল ও সমননা দলের সাথে মিলে একটা আলাদা স্বৈরাচারবিরোধী জোট করেন। আর এদিকেও আমরা মধ্যপন্থী ও বাম সব রাজনৈতিক দলগুলোকে আমাদের জোটে নিয়ে আসি। একদিকে আমরা বৃহত্তম জোট হিসেবে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাব। আর ওদিকে আপনারা আপনাদের মতো কাজ চালিয়ে যাবেন। আপনারা আমাদের সাথে না থাকলে কৌশলগতভাবে আমরা পশ্চিমা বিশ্বসহ সবার সমর্থন পাব। দীর্ঘমেয়াদী ও বৃহত্তর জয়ের জন্য আপাতত এই সাময়িক বিচ্ছিন্নতার কৌশল গ্রহণ করতে হবে।“

আমার মনে হয় না বিএনপির বড় বড় নেতারা এমন কৌশল গ্রহণ করলে, এভাবে বুঝিয়ে বললে জামাত বা অন্য কেউই ব্যাপারটা বুঝত না।

আমি সেই ২০১৫-১৬ সালের দিকেই এমনটা ভেবেছিলাম মনে মনে। ভাবছিলাম, এধরনের সিদ্ধান্ত কেন চিন্তাভাবনাতেও আনছে না বিএনপি। তাহলে দুদিক দিয়েই লাভবান হতো। পরে, ২০২০ সালের পর থেকে তো জামাত বিএনপির দূরত্ব বাড়তে বাড়তে এখন আলাদাই হয়ে গেল! পরেই যদি আলাদা হতে হয়, তবে দরকারী মুহূর্তে অত্যন্ত স্মার্ট মুভ হিসেবে ‘আলাদা’ তারা কেন হতে পারল না।
সেই প্রয়োজনীয় মুহূর্তে, ২০১৫-১৬ সালের দিকেই যদি এরকম কৌশলীভাবে আলাদা হতে পারত ওরা, তাহলে হাসিনা আরো আগেই বিদায় নিতে পারত।

৩. রাতের ভোট না ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং?!?

এরপর দিনে দিনে এসে গেল ২০১৮-এর নির্বাচন। সেই নির্বাচনে অংশ নিলো বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল। বিএনপি কেমনে ভাবল যে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে? যাই হোক, নিবন্ধন বাতিল হওয়ার আশঙ্কায় কিছুটা এবং ডঃ কামাল হোসেনদের প্রভাবে কিছুটা প্রভাবিত হয়ে তারা সেই নির্বাচনে গেল। যথারীতি গো হারা হারল। ১০টা আসনও পেল না।
আসলে কী হয়েছিল ২০১৮-এর নির্বাচনে? এটা কি কেউ বিশ্বাস করবে যে বিএনপির জোট মাত্র ১০ টা আসন পেয়েছে? আসলে হয়েছিল কী? কেবল কী রাতের ভোট হয়েছিল…?

যুক্তির খাতিরে ধরলাম রাতের বেলা ধুমিয়ে নৌকা মার্কায় সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছিল আওয়ামী লীগের ক্যাডার-কর্মীরা। কিন্তু দিনে তো ভোট শান্তিপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল মোটামুটি। সেখানে নিশ্চয় ভোটাররা বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল। তাহলে সেইসব ভোট গেল কোথায়? পুরোটাই কি রাতের ভোটের ব্যাপার ছিল?
রাতের বেলা ভোট এখানে অবশ্যই একটা ব্যাপার ছিল। তবে মূল ফ্যাক্টর এখানে এটা ছিল না…মূল ফ্যাক্টর এখানে ছিল একটাই— ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং! এক্ষেত্রে আমার বিশ্লেষণ ও অনুমান এমনটাই। আওয়ামী লীগ ও এর সকল শক্তির লক্ষ্য ছিলঃ কার ভাগে ভোট কত পড়েছে সেটা ব্যাপার না। ভোট কাউন্টিং থেকে রেজাল্ট ঘোষণা থেকে শুরু করে সবখানেই যেহেতু আওয়ামী লীগের লোক, তাই লীগের জোটের প্রার্থীদের ভোট অনেক বেশি হিসেবে দেখিয়ে দিতে হবে। সামান্য কিছু আসন এক্ষেত্রে ভিক্ষে দেওয়া হবে বিএনপির জোটকে।

প্রিয় পাঠক, ২০১৮-এর নির্বাচনে আওয়ামী জোটের প্রার্থীদের সাথে বিএনপি জোট বা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের ভোটের সংখ্যার যে আকাশপাতাল পার্থক্য দেখা গেছে, সেটা মূলত এ কারণেই হয়েছে। আরেকটা কারণ আছে এই ব্যাপক ভোট পার্থক্যের। সেটা হলো, আওয়ামী লীগ যেহেতু প্রথমবারের মতো ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’ করছিল, তাই বলতে গেলে অনেকটাই দিশেহারা হয়ে নিজেদের প্রার্থীদের নামে ব্যাপক ভোট প্রাপ্তি দেখাচ্ছিল ভোটের কাজে নিয়োজিত আওয়ামী পান্ডারা! এমনটা ঘটা কি খুবই সম্ভব না??

কাজেই, স্রেফ ‘রাতের ভোট’ বললে ২০১৮-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘ভয়ানক বেলেল্লাপনা’কে ছোট করে দেখা হয়। তাই তো দেশের ৭০% মানুষ সেইসময় আওয়ামী বিরোধী ভোটার হলেও তাদের ভোট গণনায়ই নেওয়া হয়নি। উল্টো ভোটের ফলাফলে দেখা গেল ৮০% ভোটই আওয়ামী লীগ বা এর মিত্রের প্রার্থীদের ভাগে পড়েছে।

অথচ, এই বিষয়টাই বিএনপিসহ কোনো বিরোধী দলই ধরতে পারেনি। এমনকি যদিও বিবিসিতে রাতে ভোটের কিছু ভিডিও দেখানো হয়েছে বলেই তাদের মনে হয়, ভোট সব রাতেই হয়েছে; তাহলে দিনে যে বেশিরভাগ মানুষ আওয়ামী লীগের বিপক্ষে ভোট দিল, তাদের ভোট কোথায় গেল? এটা যে পুরটাই একটা বেলেল্লাপনাময় ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং ছিল, সেটা তারা বুঝতেই পারেনি।
এই বুদ্ধি দিয়ে আর আওয়ামী লীগের মতো তৎকালীন দানবের মোকাবেলা করা যায়? যায় না। ফলাফল যা হবার তা-ই হলো! ২০১৮-এর এরকম হাস্যকর, অবাস্তব ও বেলেল্লাপনার ইলেকশনের পর বিনপির জোট একদিনের জন্যও প্রতিবাদ সমাবেশ, হরতাল, অবরোধ কিছুই করতে পারেনি। আর এরপর আর কী? আওয়ামী লীগ তো ফাঁকা মাঠ পেয়ে পরের পাঁচ বছর নিশ্চিন্তেই চালিয়ে নিলো (আমেরিকান ভিসা স্যাংশনের সময়কালটা ছাড়া।)

আমেরিকা যখন ভিসা স্যাংশন দেয়, এরপরই বিএনপিসহ বিরোধীরা অনেকদিন পর একটু মাঠ গরম করার সুযোগ পায়। আওয়ামী লীগ সরকারও কিছুটা আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্বের ভয়ে বিরোধী জোটকে সমাবেশ, মিছিল-মিটিং বা মহাসমাবেশ করার অনুমতি দেয়। পটভূমি ২০২৩-এর ২৮ অক্টোবর। সেদিন প্রায় লাখ দশেক জনজমায়েত নিয়েও ঢাকাতে সরকার ও প্রশাসনকে খুব বেশি প্যারায় তারা ফেলতে পারেনি। পুলিশ যখন তাদের উপর কয়েক জায়গায় খড়গখস্ত হয়, তখন সেটা থেকে সৃষ্ট বিচ্ছৃংখলা থেকে ঢাকায় অবস্থান নিতে তারা ব্যর্থ হয়। এখানে প্রশ্ন থেকে যায়— ১০ লাখের উপর লোকের কিছু অংশও কি ঢাকায় অবস্থান করতে পারতল না। ২-৩ লাখও না?
সেটা, অনেকের কাছেই অনেকটাই প্রমাণ করে দিল যে বিএনপি আন্দোলন করতে পারে না, বিশেষ করে বিএনপির বিরোধীদের কাছে!

হ্যাঁ, কথা ঠিক যে এই ঘটনার কিছু পরেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র পর্যায়ের বৈঠক। সেই বৈঠকে যখন ভারতের দাবি বা শর্ত মেনে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সরকারের উপরে চাপ দেওয়ার অবস্থান থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিলো, এরপর বলতে গেলে যুক্তরাষ্ট্র হাসিনা সরকারের উপর চাপ আর একেবারেই দেয়নি। সেই চাপ অব্যহত থাকলে বিএনপিও হয়তো আরো বেশি আন্দোলন করতে পারত। কিন্তু এটা তো নিশ্চিত যে ২৮ অক্টোবরের পর সরকার কর্তৃক ব্যাপক ধরপাকড় ও নিপীড়নের পরেও যে ন্যূনতম রাজপথে উপস্থিতি দেখানো দরকার ছিল, সেটা তারা দেখাতে পারেনি। সেই উপস্থিতি ও দাপট ন্যূনতমভাবে বিএনপি রাজপথে দেখাতে পারেনি বলেই কিন্তু আবার আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্ব হাসিনা সরকারের উপর আরো বেশি চাপ দিতে পারেনি। সেইক্ষেত্রে বিএনপির ভুল ও ব্যর্থতা ছিল বলেই তো সবাই বলবে, তাই না?

(৪) ছাত্র-তরুণদের নতুন দলকে মোকাবেলায় কতটা সক্ষম?

হাসিনার পতনে ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের মধ্যে ছাত্রদল ও বিএনপির কর্মীরাও ছিল, একথাতে সন্দেহ নেই। বিএনপির হিসাব অনুযায়ী, ৭০+ ছাত্রদল কর্মী বা বিএনপি একটিভিস্ট শহীদ হয়েছেন এই হাসিনা পতন আন্দোলনে জুলাই-আগস্টে। হাসিনার পতনের পর সবকিছুই স্বাভাবিক গতিতে চলার কথা ছিল। কিন্তু সেটা কি চলেছে? এখন যে অবস্থা চলছে, তাতে এখনো পর্যন্ত কোটা সংস্কার বা ৯ দফা/১দফার আন্দোলনের সেই মিত্ররাই এখন বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বা বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে।

আগস্টের কয়েক মাস পরে যখন রাষ্ট্রপতি অপসারণ, সংবিধান পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়ে ছাত্রদের সাথে বিএনপি ও অন্যান্য দলের স্পষ্ট মতবিরোধ দেখা গেল, তখন কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি ছাত্রদের সাথে বসে আলোচনা করার। সিনিয়ার ও রাজনীতিতে ভূয়োদর্শী হিসেবে বিএনপিরই পারত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সাথে বসার উদ্যোগ নিতে। এতে করে সিনিয়ার ও বড় দল হিসেবে তাদের দায়িত্ববোধের প্রমাণ হতো। একসাথে বসলে হয়তো তাদের মধ্যকার বিরোধ সেভাবে বড় আকার ধারণ হয়তো করত না, যে বিরোধ বর্তমানে অনেক বেশি প্রকট হিসেবেই প্রতীয়মান হচ্ছে। সিনিয়ার হিসেবে সেই দায়িত্ববোধ ও উদারতা বিএনপি দেখালে, সেটাতে তাদের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি হোক বা না হোক, সেটা বিএনপির একটা মাস্টারস্ট্রোক বলে বিবেচিত হতে পারত। দেশবাসী এক্ষেত্রের বিএনপিরই সুনাম করত অকুণ্ঠে।

বর্তমানে কী হচ্ছে? আওয়ামী লীগ যেহেতু বলতে গেলে এখন প্রায় নিশ্চিহ্ন ও পুরোপুরি অদৃশ্য হয়ে গেছে রাজনীতির মাঠ থেকে, এখন বিএনপির সবচেয়ে বড় দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর একটা হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে নাগরিক পার্টি। আরেকটা তো অবশ্যই জামাত। ছাত্র-তরুণদের এই পার্টির সাথে বিএনপির একটা মতদ্বন্দ্ব লেগেই আছে, যেহেতু তারা সংবিধান সংশোধন, গণপরিষদ গঠন, নির্বাচন পেছানো, স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেওয়ার মতো কথা বলে যাচ্ছে। এসব কথা প্রথমত, তাদের নির্বাচন পেছানো ও নিজেদেরকে ক্ষমতার কেন্দ্রে দেখার অংশ হিসেবে পরিকল্পনার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে হতে পারে। দ্বিতীয়ত, বিষয়টা এমনও হতে পারে যেঃ নাগরিক পার্টির সাথে যেহেতু বিএনপির আসন ভাগাভাগি নিয়ে কথা চলছে, তাই নিজেদের দাম বাড়াতে, গুরুত্ব বোঝাতে নাগরিক পার্টি এমন করতেছে...
তারা হয়তো মনে করে বিএনপি যেহেতু আন্দোলন সেভাবে করতে পারে না, তাই অনেক বেশি হাই-থটের, 'বিপ্লবী' টাইপের কথাবার্তা বলে বিএনপির নেতৃবৃন্দকে ভড়কে দিয়ে যত বেশি সম্ভব আসন নেওয়া যাবে...বিএনপির 'আন্দোলন করতে না পারা'কেই এরা ক্যাশ করতে চাইছে।

এদিকে বিএনপিও হয়তো ভাববে থাক, এদের সাথে ঝামেলায় না যাই; এরচেয়ে এদেরকে একটু বেশি আসন দিয়ে ঠাণ্ডা রাখি...
সবদিকেই এনসিপি খেলতে চাইতেছে...যেহেতু সরকারের একটা অংশ তাদেরই...!

এতকিছুই হয়তো মোকাবেলা করতে অনেক কম হতো যদি ছাত্রদের সাথে বিএনপি প্রথমেই সেই আগস্ট-সেপ্টেম্বরেই বসার উদ্যোগ নিত। মোকাবেলা করতে হলেও অনেক সহজে সেই মোকাবেলাটা হতো।

আচ্ছা, যেহেতু আগে বসা হয়নি, সেটা তো গেলই…এখন এই নতুন রাজনৈতিক দলটিকে মোকাবেলায় তাদের পরিকল্পনা কী? বলে রাখা ভালো, এই তরুণদের দলের সমর্থন কিন্তু কম না। আমার প্রফেশনাল কলিগদের অনেকেই এদের জোরালালোভাবে সমর্থন করছে। চায়ের দোকান, দোকানপাট, রাস্তাঘাটে তো বটেই, এমনকি ফেসবুক, অনলাইন, ইউটিউবে দেখলে বোঝা যায় এদের সমর্থন কম না। অনলাইন বা আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ থেকে হয়তো সঠিক সমর্থনের পরিমাণ বোঝা সম্ভব না। তবে, মোটা দাগে দেখতে গেলে, দেশের তরুণদের বিপুল একটা অংশ এদের সমর্থনে আছে। দেশের জনগণের মোটামুটি ১০%- এদের সমর্থন করে বললে ভুল হয়েছে বলবেন না খুব বেশি মানুষ।

এই সদ্য উত্থিত শক্তিকে সঠিকভাবে, অহিংসভাবে, কৌশলের সাথে মোকাবেলায় কতটা দক্ষ বিএনপি? এই তরুণদের পার্টিকে দেশের অনেক বড় ও নামী পলিটিক্যাল এনালিস্টও খুব একটা পজিটিভলি দেখছেন না। তাদের কেউ কেউ একে কিংস পার্টি হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। এর পাশাপাশি, সেই এনালিস্টরা এটাও শঙ্কা করছেন যে এদের প্রভাবে এবং এরা সরকারের একটা পার্ট হবার কারণে সামনের ইলেকশন টাইমলি হবে কিনা। আবার অনেকেই আশঙ্কা করছেন টাইমলি হলেও সামনের ইলেকশন ফ্রি-ফেয়ার হবে কিনা।

এখন কথা হচ্ছে, ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের অধীনে হওয়া ইনক্রেডিবল ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’-কে যারা ধরতে পারেনি, এখনো যারা একে স্রেফ রাতের ভোট হিসেবেই বিবেচনা করে যায়, তারা কি সামনের ইলেকশনে কোনো অভিনব ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং যদি হয়, সেটা ধরতে পারবেন, বুঝতে পারবেন? আগে থেকে সেসব প্রতিরোধ করার করার পরিকল্পনা কি তাদের আছে?
বিদেশিদের সাথে ক্রমাগত আলোচনা, তাদের পাশে থাকার জন্য ক্রমাগত ইনসিস্ট করা এবং এক্ষেত্রে তাদের কৌশলই বা এক্ষেত্রে কী? এসব ক্ষেত্রে কৌশল আগের মতো হলে হাসিনা যেমন করে দীর্ঘদিন টিকেছে, তেমনি গণতান্ত্রিক ট্রানজিশন টাইমলি হওয়া কঠিন হয়ে যেতে পারে। খুব কঠিন!

৫. জোট কোথায়, মিত্রতা কতদূর?

২০১৪ সালে বিএনপি ছিল ২০ দলীয় জোটে। ২০১৮ সালে ইলেকশনে গিয়েছিল ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’-এর ব্যানারে। এবারে বিনপি কি কোনো আনুষ্ঠানিক জোটে আছে? ২০২২ থেকেই সম্ভবত বিএনপি কোনো জোটে নেই। ২০ দলীয় জোটও কার্যকর নেই বা ভেঙে গেছে অনেক আগেই। সমননা রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কি জোট আবার করতে পারে না বিএনপি? গণসঙ্ঘতি আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণঅধিকার পরিষদের মতো মধ্যপন্থী দলগুলোর সাথে কি বিএনপির আনুষ্ঠানিক জোট হতে পারে না? ২০২৩-এর ২৮ অক্টোবরে ঢাকায় মহাসমাবেশ ছিল বিএনপির একক বিশাল মহাসমাবেশ, যেখানে অন্যান্য সমমনারাও মাঠে ছিল। কিন্তু জোটবদ্ধভাবে, একসাথে, একই প্লাটফর্মে আন্দোলন করলে তো এটা আরো ভালো দেখায়, ভালো ফল আনে, তাই না?
এর পাশাপাশি, দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন সাপোর্ট গ্রুপ, প্রেশার গ্রুপ ও পলিটিক্যাল পক্ষের সাথে তাদের মিত্রতা কতটা ঘনিষ্ঠ? বিএনপির পক্ষে কি তারা এগিয়ে আসবে তাদের প্রয়োজনে? বিএনপির পক্ষে তাদের অবস্থান বিরোধীপক্ষ বা বিভিন্ন পক্ষ, যেমন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কতটুকু প্রভাবিত করতে সক্ষম? দেশকে স্থিতিশীল করার জন্য, গণতান্ত্রিক সুষ্ঠু ট্রানজিশন বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিভিন্ন রকমের ষড়যত্র মোকাবেলাতেই বা বিএনিপি কতটুকু দক্ষ? একা কি বিএনপি এগুলোকে সামাল দিতে পারবে কখনো?

আগামী দিনগুলোতে বিএনপির দুর্বলতা কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যাবার জন্য যতগুলো চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সবগুলোই আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। দেখা যাক, নিজেরা তারা বিষয়গুলো কতটা ভালো বোঝে!

সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:১৩
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=১। কে বা চিনে আমায় ২। চলো যে যার মত ভালো থাকি =

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৯ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১:২৭


©কাজী ফাতেমা ছবি
#ভাবনা'রা
যত্ন করে লাগানো পাতাবাহার
কিংবা বারান্দার ঝুলে পড়া ঘাস ফুল
আর মানি প্লান্ট, কাঠ বেলী ওরা আমাকে চিনে,
রোজ বসে যেখানে দেখে নেই মুখশ্রী
ড্রেসিং টেবিলের আয়না সে আমাকে চিনে।

যে গ্লাসটায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। পৃথিবীতে ফিরলেন বুচ ও সুনিতা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১:৩৫

মহাকাশ স্টেশনে ৯ মাস আটকে থেকে পৃথিবীতে ফিরলেন বুচ ও সুনিতা


আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) দীর্ঘ ৯ মাস কাটিয়ে অবশেষে পৃথিবীতে ফিরতে সক্ষম হলেন দুই বিশিষ্ট মার্কিন নভোচারী... ...বাকিটুকু পড়ুন

'ওরা' পারেও....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৯ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:১৭

'ওরা' পারেও....

২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর ফজরের ওয়াক্তে আমাকে আর Zahid Hassan কে র‍্যাব-১০ থেকে মিরপুর থানায় হস্তান্তর করে। সেই দিনই আমাদের কোর্টে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আনে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

গাজার রক্তাক্ত রমজান: বিশ্ব দেখছে নিরবে !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:৪২



রমজানের পবিত্রতা উপেক্ষা করে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে, যা যুদ্ধবিরতি চুক্তির সরাসরি লঙ্ঘন। এই হামলায় গাজার ডি-ফ্যাক্টো প্রধানমন্ত্রী ইসাম দা'আলিসসহ চার শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নুরের চে গুয়েভারা

লিখেছেন ঠাকুরমাহমুদ, ১৯ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:২৯



(১)
কয়েক দিন যাবত রাজীব নুরের মারাত্মক ধরনের মন খারাপ, তাঁর সেলফোন বন্ধ হয়ে গিয়েছে এখন আর চার্জ নিচ্ছে না, অনও হচ্ছে না! মনে হয় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। একদিকে ভালোই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×