somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সবুজ গ্রামে নীলের ছোঁয়া... (গল্প)

০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




পড়ন্ত বিকেল ছায়া ফেলেছে দূর্গাপুর গ্রামে। জলিল মুন্সীর চায়ের দোকান ভর্তি মানুষ। গ্রামের চ্যাঙরা যুবক, স্কুল পড়ুয়া বালক, শিক্ষিত অশিক্ষিত সবাই আছে। সবার দৃষ্টি নিপতিত দোকানের এক কোনায় উঁচু টুলের উপরে রাখা বাক্সটার দিকে। একটা স্বল্প বসনা নারী বিকট বাদ্যের তালে তালে নৃত্য করছে। "ধুম্মা ছালে..! ধুম্মা ছালে..! ধুম... " সবাই সেটা গোগ্রাসে গিলছে আর যার যার মত খিস্তি খেউর করছে। দোকানে কে এল না এল সেদিকে কারো ভ্রুক্ষেপ নাই।

বিকেলের এই সময়টা জলিল মুন্সীর চায়ের দোকানে আয়েস করে এক কাপ দুধ চা খাওয়াটা কফিল উদ্দিন মাষ্টারের অনেকদিনের অভ্যাস। কিন্তু আজ আর চা খাওয়া হয়না। দোকানে ঢুকতে গিয়েই খিস্তির শব্দে হোঁচট খায় সে ! ইদানিং প্রয়শই এমনটা হয় !

চায়ের নেশা চাপা দিয়ে মাষ্টার গ্রামের রাস্তায় উদ্দেশ্যহীন ভাবে হাঁটছে। দূর্গাপুর গ্রামের পরিবেশ দিনে দিনে কেমন যেন তার অচেনা হয়ে উঠেছে ।সবকিছু দ্রুত বদ্লে যাচ্ছে। আগে চায়ের দোকানটা জলিল মুন্সী নিজেই চালাত । তখন ঐ টেলিভশন বাক্সটা আরো ছোট ছিল ; রং ছিল সাদা কালো। গ্রামের অনেকই আসত খবর দেখতে। ভালমন্দ আলাপ হত।
গ্রামের ছেলে বুড়ো মিলে রবিন্দ্রনাথের গান শুনতো, নজরুলের গান শুনতো, দেশের গান শুনতো। মাস্টার তখন জোরে গলায় বলত দেখেন সবাই এই হল বাংলার আসল পরিচয়, বাংলার প্রাণ। সবাই মাষ্টারের কথায় মাথা নাড়ত আর জলিল মুনসী টুং টাং শব্দে চা বানাত। তাপর বলত," নেন মাষ্টার সাব গালাটা গরম করেন।" কিন্তু জলিল মুন্সীর অন্তর্ধানে তার চ্যাঙড়া ছেলে নশাদ মিয়া দোকানের মালিক হওয়ার পর দোকানটার চেহারা পাল্টেছে । টেলিভিশন বাক্সটার সাইজ রং দুটোই বদলে গেছে। পিছনে যুক্ত হয়েছে ডিস এন্টেনার তার। এখন এখানে কেউ খবর দেখেনা। রবিন্দ্র নজরুল আর দেশের গানও কেউ শুনেনা। শুধু চায়ের দোকান নয়। গ্রামের সব বাড়িতেই এখন ডিস পৌঁছে গেছে।
গ্রামের যে উচুঁ ভিটির মত জায়গাটা আছে সেটার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে মাষ্টার। বন জংগলে ভরে গেছে জায়গাটা। কয়েকটা ধান শালিক উড়ে যায় । হিজল গাছটার ডালে বসে একটা ঘুঘু বিষন্ন সুরে ডেকে যাচ্ছে। একটা বেজি মাথা উঁচিয়ে এদিক ওদিক চেয়ে দ্রুত বনের ভেতর গা ঢাকা দেয়। ভাবনার জগতে হারিয়ে যায় মাষ্টার।-দুই বছর আগেও এই জায়গাটা জমজামট ছিল। চৈত্তি মাসের এমন বিকেলে গ্রামের তাগড়া যুবকেরা এখানে কাবাড়ি খেলত। কেউ কেউ ঘুড়ি উড়াতো। দাঁড়াস, চিলা, পঙ্কি কত রকমের ঘুড়ির নাম। এখন তার কিছুই নাই। থাকবে কিভাবে ? গ্রামের যুবকেরা সবাই এখন জলিল মুন্সীর দোকানে আড্ডা দেয়। ডিস এন্টেনা সবাইকে যাদু করেছে। তারা এখন ঝলমলে রঙ্গিন বোম্বাই সিনেমা ভালবাসে।

হঠাৎ অদুরে বটগাছটার নিচে একটা জটলা নজরে আসে মাষ্টারের। সুলতান মুহুরী, বাসু চৌকিদার, তাহের মাঝি, অশ্বিনী ঠাকুর, লতু মৌলভী সবাইকে দেখা যাচ্ছে। হাশেম মাঝির বাড়ির দিক থেকে একটা হৈচৈ কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছে। এগিয়ে যায় মাষ্টার।
- কি ব্যাপার মুহুরী সাব হগ্গলে মিল্লা কোথায় চল্লেন? হাসেম মিয়ার বাড়িতে কি হইল আবার।?
- সর্বনাশ হৈয়া গেছে মাষ্টার সাব ! সর্বনাশ হৈয়া গেছে !
- সর্বনাশ ! কিয়ের সর্বনাশ ?
- হাশেম মাঝির ছোড মাইয়্যাটা গলায় দড়ি দিছে !
- গলায় দড়ি দিছে ! কন কি? ক্যান মাইয়্যাডা এই কাম করল?
- "কি আর কমু মাষ্টার সাব মতি মেম্বারের পোলায় হের বন্ধু বান্ধব লইয়া মাইয়াডারে ইসকুলে যাওন আওনের টাইম পেরেশানি করতো। হাসেম মাঝি চেয়ারম্যান সাহেবরে ব্যাপারডা মেলা বার কইছে। কুনো কিছুই হয়নাই। শেষে মাইয়্যাডা সইবার না পাইরা গালায় দড়ি দিছে।"
- " হারামজাদা গুলা আমার মাইয়্যাটারেও জ্বলায়। এদের জ্বালায় দেখি এই গ্রামে থাকন যাইবোনা! বাপের জন্মে দূর্গাপুরে এমন ঘটনা দেখি নাই"- পাশ থেকে খেঁকিয়ে উঠে অশ্বিনী ঠাকুর।
মাষ্টারের বুকের ভেতরটা হুহু করে কেঁদে উঠে । বড় একটা দীর্ঘশ্বাস বাতাসে পাক খেয়ে মিলিয়ে যায়। মেয়েটা তার ছাত্রী ছিল। মেধাবী মেয়েটা অকালে হারিয়ে গেল।কেউ কিছু করতে পারলোনা। মাষ্টারের জীবনে এমন ঘটনা দূর্গাপুর গ্রামে আর ঘটে নাই। নিজের মেয়েটার কথা মনে পড়ে মাষ্টারের। তার মেয়েটাও সৌমত্ত হয়ছে। একা একা স্কুলে যায় আসে। এক অজানা আশংকায় কেঁপে উঠে মাষ্টারের পিতৃহৃদয়।
মাঝি বাড়ির ঝামেলা শেষ করে রাত নয়টার দিকে মাষ্টার বাড়ি আসে। পরিবারের সব মহিলারা সদর রুমে হিন্দি সিরিয়ালে মজে আছে।বাড়ির অন্যন্য ঘরে একি অবস্থা। হিন্দি সিরিয়ালের কড়কড়ে আওয়াজ রাতের নিস্তব্দতা কে ছুঁয়ে মাষ্টারের ভারাক্রান্ত হৃদয়ে এসে আঘাত করছে। রাতের খাবার খেয়ে কিছুক্ষন বারান্দায় পায়চারী করে মাস্টার। তার মুখের সামনে একবার ভেসে উঠছে হাশেম মাঝির মেয়েটার ছবি আরেকবার ভেসে উঠছে তার নিজের মেয়ে রেখার ছবি। মনে মনে মাষ্টার সিদ্ধান্ত নেয় কাল থেকে মেয়েটাকে নিজেই স্কুলে নিয়ে যাবে আবার নিজেই নিয়ে আসবে।



হাশেম মাঝির মেয়ের আত্মহননের পর দুই মাস অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে। সহপাঠিরা দুই একদিন কান্নাকাটি করে শান্ত হয়ে গিয়েছে। কারো কোন সাজা হয়নি। মতি মেম্বারের ছেলে আগের মতই সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে স্কুলগামী মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে বেড়ায়। গ্রামে গ্রামে ডিস এন্টেনা আরো বিস্তার লাভ করেছে। জলিল মুন্সীর দোকানে উদ্দাম নৃত্যের প্রদর্শনী মধ্যে রাতের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। গ্রামের ছেলে মেয়েরা হিন্দি ভাষায় বেশ পারদর্শী হয়ে উঠেছে।
কফিল উদ্দিন মাষ্টার সকালে নিজের মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে দুর্গাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র পড়াতে যায়। বিকেলে আবার নিজে গিয়ে মেয়েকে নিয়ে আসে। রাতে বাড়ির মহিলারা যখন হিন্দি সিনেমা আর সিরিয়ালে মগ্ন হয়ে পড়ে আর কোন নায়িকা কার সাথে পালিয়ে গেল, কে কেমন পোশাক পরল, কার গহনা কেমন এসব নিয়ে নিজেদের মধ্যে চাপা তর্ক বিতর্ক ও কথা চালাচালি করে তখন মাষ্টার এদিক ওদিক পায়চারী করে সময় কাটায়। হয় কিছুক্ষন পড়ার ঘরে মেয়ের পাশে গিয়ে বসে না হয় পাশের ঘরে ছোট চাচীর সাথে কথা বলে আসে। এরপর ঘুমিয়ে পড়ে। রেখা তার বাবা ঘুমিয়ে পড়ার পর মা চাচীদের সাথে সিরিয়ালে মন দেয়।
এখন আর বিকেলে জলিল মুন্সীর দোকানে তেমন একটা চা খেতে যায়না মাষ্টার। বাড়িতে মেয়েই চা বানিয়ে দেয়। মাঝে মাঝে রেখা ব্যস্ত থাকলে চাচীর ঘরে গিয়ে চায়ের নেশাটা মিটিয়ে আসে। বশিরের বউটা বেশ ভাল চা বানায়। গত বছর সুদিনে মাষ্টার নিজে ঘটকালি করে নিশ্চিন্ত পুরের সুরুজ আলি জমাদ্দারের সুন্দরী মেয়ে আলেয়ার সাথে চাচাত ভাই বশিরের বিয়ে দিয়েছে । বসির চাঁটগা বন্দরে কেরানীর চাকুরি করে। মা , এক বোন আর বৌ নিয়ে সংসার। স্বল্প রোজগারে ছিমচাম কোন রকমে চলে যায়। মাস শেষে মাইনে নিয়ে বাড়ি এসে বউ আর মা'কে দেখে যায়।



বৈশাখ মাসের শেষের দিকে গরমটা খুব তেঁতিয়ে উঠেছে। কোথাও হাওয়া বাতাসের জো নাই । গাছপালা ঝিম মেরে আছে। প্রকৃতির রুদ্ররূপ যেন আসন্ন কোন ঝড়ের পূর্বাভাস জানান দিচ্ছে।বশিরের সংসারেও কলহের ঝাঁঝ লেগেছে। ইদানিং বশিরের বোনের সাথে আলেয়ার বনিবণা হচ্ছেনা। কোন এক সিরিয়ালের নায়িকার ব্যাবহৃত গহনার মত একটা গহনা দাবি করেছিল আলেয়া। কিন্তু নিম্ন আয়ের স্বামী বশির সংসারের নানা দায়িত্ব পাশ কাটিয়ে স্ত্রীর সে চাওয়া পূরণ করতে পারেনি। এদিকে বশিরের ঘরে কোন টিভি নেই। এই নিয়ে আলেয়ার আক্ষেপের শেষ নাই। তার বাপের বাড়িতে টিভি ডিশ সব থাকলেও স্বামীর বাড়ি এসে তাকে অন্যের ঘরে গিয়ে টেলিভিশন দেখতে হবে কিছুতেই মেনে নিতে পারেনা সে। বশির বাড়ি আসলেই এসব নিয়ে আলেয়ার সাথে খুনশুটি লেগেই থাকে। আজ বিকেলে চাচীর ঘরে চা খেতে খেতে এসব জেনেছে মাষ্টার।
এসব জানার পর থেকে তার মনটা শান্তি নাই।
" আসলে কি মেয়েটা এমন করছে নাকি চাচী শুধু শুধু মেয়েটার পিছনে লেগে আছে ? "আলেয়া যদি সত্যি এমন করে তাহলে বশিরের সংসারে ঘৃতাগ্নি জ্বলে উঠতে সময় লাগবেনা ! " নানা ভাবনা ও দুশ্চিন্তা সারাদিন মাষ্টারের মনে উঁকি দিয়ে যায়।
মাষ্টার মনে মনে সিদ্ধান্ত নেয় কাল সকালেই সুরুজ জমাদ্দার কে ডেকে পাঠাবে। সুরুজ জমাদ্দার মানি লোক। গ্রামের লোক উনারে মান্য করেন।
তিনি এসে মেয়ে কে বুঝালে সব ঠিক হয়ে যাবে।
রাতের আহার সেরে মাষ্টার উঠানে এসে চালতা গাছটার নিচে দাঁড়িয়েছে।ভ্যপসা গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত । চারদিকে গুমোট অন্ধকার। তার মনে পড়ে এই সেদিনও বৈশাখি গরমের এ্ই সময়টায় বাড়ীর সবাই উঠানে মোড়া পতে বসে আড্ডা দিত। মহিলারা পাটি বিছিয়ে জটলা হয়ে বসত। কত রকমের গল্প হতো। এখন কেউ উঠানে বসেনা। সবাই যার যার ঘরে টেলিভিশনের সামনে থিতু হয়ে থাকে।
- "কে ওখানে, বশির নাকিরে ? তুই কখন আসলি ?
হঠাৎ উঠোনের অন্যপ্রান্ত দিয়ে ছায়ার মত কিছু একটা বশির উদ্দিনের ঘরের দিকে চলে যেতে দেখে হেঁকে উঠে মাষ্টার। কিন্তু ছায়া কোন কথা না বলেই বিদ্যুত গতিতে অন্ধকারে মিলিয়ে যায়।
মাষ্টার ভাবে বশির হয়ত শুনতে পাইনি। কিংবা মানসিক যন্ত্রনায় সে নিজেই ভূল দেখছে।
আর বেশীক্ষন দাঁড়িয়ে না থেকে ঘরে এসে শোবার ঘরে চলে যায় মাষ্টার।

সকালে একটু দেরী করে মাষ্টারের ঘুম ভাঙ্গে। সারারাত কেন যেন ঘুম হয়নি তার। সকালের দিকে ঘুমটা লেগে এসেছিল। আকাশে বেশ মেঘ জমতে শুরু করেছে। মনে হচ্ছে ঝড় বৃষ্টি শুরু হবে। মাষ্টার উঠানে দাঁড়িয়ে হাঁকডাক শুরু করে দিয়েছে..
- কিরে মা রেখা জলদি কর। আমি তোকে স্কুলে পৌঁছিয়ে দিয়ে আবার নিজের স্কুলে যাব।
কিন্তু রেখার কোন খাবর নাই।
- "কিরে মা রেখা, আর কতক্ষন লাগবে তোর ? ঝড় বৃষ্টি নামলে আবার যাওয়া যাবেনা "-আবারো হাঁকিয়ে উঠে মাষ্টার।
হঠাৎ মাষ্টার দেখে রেখা আর তার মা বশির উদ্দিনের ঘর থেকে বের হয়ে আসছে। তাদের পেছনে বশির মাও আসছে। হঠাৎ বশিরের মা বিলাপ করতে শুরু করে !
কিছুই বুঝে উঠতে পারেনা মাষ্টার।
-কি ব্যাপার শুনি। সবাই মিলে ঐ ঘরে কি? চাচীর চোখে পানি কেন?
-"এদিকে আসেন আমি কইতাছি।"-
রেখার মা মা্ষ্টার কে এক পাশে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর কানের কাছে মুখ নামিয়ে নিচু স্বরে বলে, " বশিরের বউ রে সকাল থেকে পাওয়া যাচ্ছেনা। মনে হয় কাল রাত্তিরে ঘর ছেড়ে পালিয়েছে।"

স্তম্ভিত হয়ে যায় মাষ্টার। হাতের ছাতাটি খসে পড়ে মাটিতে। মাথা ভন ভন করে ঘুরতে থাকে। কাল রাতের ছায়াটির কথা তার মনে পড়ে। চালতা গাছের নীচে দাঁড়িয়ে নির্লিপ্ত মাষ্টার বার বার শুন্য দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকাচ্ছে। বশির ফিরে এলে সে তাকে কি জবাব দিবে খুঁজে পায়না। আকাশে কাল মেঘ ক্রমশ গাড় থেকে গাড়তর হয়ে উঠেছে। বিলাপ করতে করতে চৈতন্য হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে বশিরের মা। সারা বাড়িতে হৈচৈ পড়ে গিয়েছে। বশিরের বউ পালিয়েছে ! বশিরের বউ পালিয়েছে ! দুএকজন করে গ্রামের মানুষ আসতে শুরু করেছে। মাষ্টারের চোখ গড়িয়ে কয়েক ফোটা বেদনার জল টুপ করে ঝরে পড়ে বৈশাখের তপ্ত মাটির বুকে। নির্বাক মাষ্টার চাচীর অবচেতন দেহখানি পাঁজা কোলে উঠিয়ে ঘরের দাওয়ার উঠে আসে।
ততক্ষনে ঈশান কোনে ঝড়ের তান্ডব শুরু হয়ে গিয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫
৩০টি মন্তব্য ৩০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×