মগজে অভিমানি কবিতার ভ্রুণ নিয়ে নৈঃশব্দের ভিতর পায়চারী
বহুকাল এই তল্লাটে উঠেনি রোদ মেঘলা মন্থনে;
উম প্রত্যাশী শব্দেরা ছুটে গেছে দুরে কোথাও, যেভাবে শীতের
পাখিরা উড়ে যায় সাইবেরিয়া থেকে ক্রমশ দক্ষিণে।
কিছু চাওয়া-নকশী কাঁথার মত সযতনে বোনা ,ছিল নিয়তির কাছে,
প্রজাপতি, ফুল,পাখি আঁকা কিছু নরম জোৎস্নার সুখ;
কেউ রাখেনি কথা,ব্যর্থ রোদনের অন্ধকারে ডুবেছে কেবল চাঁদ,
সব ফুল ঝরে গেছে ,পাখির লাশ রেখে গেছে শিকারী বন্দুক ।
অশ্রু পিয়াসী দিন ও রাতের বিন্যাসে দীর্ঘ ব্যথার সাহারায় ,
কবিতার কৃষক ঘুমিয়ে গেলে নিরস মাটির গন্ধ শুঁকে-
বিরহী ডাহুক হেঁটে যায় একা একা মগ্ন চৈতন্যের ভিতর-
তখন পৃথিবীর সমস্ত ঘুম নেমে আসে বাউলের চোখে।
জোনাকীরা ঝাঁকে ঝাঁকে নেমে আসে কবিতার শোক মিছিলে
অজস্র ঝিঁঝিঁ মরে যায় বেদনার কোরাস মুখে ;
তবুও জাগবেনা কবি, ভাঙবেনা সে ঘুম আর চিত্রা হরিণীর ডাকে,
যে ঘুম গিয়েছে কবি সুতীব্র অভিমান বুকে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৬