তুমি আমার মহা সর্বনাশ করেছো,
তুমি-হীন একটা দিন এখন শ্মশানঘাটের নিস্তব্ধতা...
তুমি দিনকে দিন চেইন স্মোকারের সিগারেটের টান হয়ে উঠছো আমার কাছে...
খারাপ একটা নেশায় পরিণত হয়ে যাচ্ছে তোমার অস্তিত্ব...
কলকাতা একটা জঘন্য শহর, একবার জোড় করে হাত চেপে ধরেছিলে রাস্তায় মনে আছে?
আর ভাঙারির দোকানের ঐ মাতাল খেটে খাওয়া ছেলেটা সেবার কি বলেছিল???
কিচ্ছু তো মাথায় ঢুকবেনা, বলি কুচিন্তা ছাড়া ঐ মগজ খানায় আর কিছুর কি কোন অস্তিত্ব আছে? একটু জ্ঞান-বুদ্ধি আছে?
কিছু বলতে গেলেই উনার ঠোঁট উল্টে অভিমান, “খালি বকো তুমি আমাকে...”
বকার মতো কাজ করলে বকুনি দিবোনা তো কি করবো শুনি??
দিনকে-দিন অস্বস্তিকর হয়ে উঠছে তুমিহীন একটি মুহুর্ত... বড্ড আত্মকেন্দ্রিক তোমার মনমানসিকতা...
একটু বড় মনের মানুষ হতে শিখো... একদিন তুমি ছাড়াও আমার চলার প্রয়োজন হতে পারে...
একবার ভেবে দেখেছো এই তোমাকে যখন বাস্তবতার জ্বালে জড়িয়ে পড়ে দূরে চলে যেতে হবে তখন কি হবে?
তখন আমার কি হবে ভেবে দেখেছো?
আমার তিলে তিলে আবেগের মাটি দিয়ে গড়ে তোলা ভাস্কর্যের কি হবে?
তোমার দেয়া নীল শাড়ির আঁচল, কালো টিপ, জুঁইয়ের গোড়ে, রেশমি চুড়ির কি হবে ভেবে দেখেছো?
স্বার্থপরের মতো ভালবেসেই চলেছো... এই ভালবাসা ড্রাগের নেশার মতো, একটা কেউটে সাপের মতো চারপাশ থেকে পেঁচিয়ে ধরছে দিনের পর দিন...
শুভঙ্কর!! এবার তো থামো!!!
তোমার নন্দিনীর উপর দয়া করে একটু দূরত্ব বজায় রাখো,
তোমার নন্দিনীকে ভালবেসে থাকলে ভালো একটু কম করে বাসো।
যেন নিয়তির অবিচারে কোনদিন তোমার আশ্রয়-চ্যুত হয়ে পড়লে সায়ানাইডের আশ্রয় নিতে না হয়.
পূর্ণেন্দু পত্রী অনুপ্রাণিত
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:০৮