তুমি জানো এখানে কবিতা লেখার পরিবেশ নেই... তোমার মুখচ্ছবিটা কবিতার পাতায় স্পষ্ট করে ফুটিয়া তোলা যায়না, যেই লিখিতে যাইবো অমনি এক ছাঁট বৃষ্টি নইলে সন্ধ্যা আরতি দেবার সময় হইয়া যায়...
রবীন্দ্রনাথের গল্পের নায়কদের কারও কারও গাল ভরা দাড়ি থাকিতো, ঘাড় পর্যন্ত কোকড়ানো ঘন চুল থা্কিতো আর কেউ কেউ চশমা পড়িতো, রবিবারের অভি আর হৈমন্তির অপুর চেহারাটা গল্পে সেভাবে ফুটিয়া উঠে্নাই... তবু অমিত, নলীনাক্ষ, অপূর্ব সবার মধ্যে একটি হাহাকার ছিল যেটা বেশ স্পষ্ট ভাবেই ফুটিয়া উঠিয়াছিল... আমি কেন পাড়িনে বলতো?
আমি পাড়িনে তোমার গাল ভেজানো কান্না, তোমার শুষ্ক চক্ষুর জমাট বাঁধা বেদনা, তোমার রগ নীল হয়ে ফেটে পড়া রাগ আর তোমার সাদাকালো ফ্যাকাসে অভিমানগুলোকে শব্দে রূপ দিয়ে কাগজবদ্ধ করে রাখিতে।
আহা! যদি পারিতেম... তাহলে মেঘলা ঘন দিনে তোমার অভিমান করা মুখটি দেখার জন্য মনটি আনচান করিতোনা... কাগজগুলো মেলিয়া ধরিতেম চোখের সামনে আর হরফে হরফে তুমি ভাসিয়া উঠিতে, কলমের কালির বিন্দুতে বিন্দুতে তুমি লাগিয়া থাকিতে... আহা যদি পারিতেম রবীন্দ্রনাথের মতো লিখিতে... বিশ্বকবি হতে চাইবার জন্য নয় শুধু তোমাকে মলাট দিয়ে জড়িয়ে রাখার জন্যে...
[গুরুচন্ডালী দোষ মার্জনা করিবেন]
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৪৬