গতকাল আমার ইউনিভার্সিটিতে একটা কনফারেন্স ছিলো। আমার একটা পেপারের প্রেজেন্টেশন ছিলো সেখানে। সেশনে চেয়ারম্যান ছিলেন সুইডেন থেকে আগত একজন বাংলাদেশী। উপসালা ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস নেন।
প্রেজেন্টেশন শেষে উনি আমাকে বললেন আমার প্রেজেন্টেশন খুব ভালো হয়েছে। এটাও বললে ভুলেননি যে আমার পেপারটা উনি রিভিউ করেছেন। নাম দেখেই বাংলাদেশী মনে হয়েছিল উনার কাছে। উনার কাছে একটা ভিজিটিং কার্ড চাইলাম। উত্তরে বললেন যে উনার কার্ড পুরানো হয়ে গেছে, নতুন কার্ড এখনো ইউনিভার্সিটি থেকে নেয়া হয়নি। আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন বাংলাদেশে কোন ইউনিভার্সিটি তে পড়ালেখা করেছি। নাম বলতেই একবারে চিনে ফেললেন, বললেন যে উনার ইউনিভার্সিটির এক প্রফেসর আমাদের ভিসি ছিলেন।
আমি জিজ্ঞাসা করলাম আপনি কোন ইউনিভার্সিটির থেকে পাশ করেছেন। উত্তরে বললেন বুয়েট। আরো বললেন গুগলে আমার নাম লিখে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন। রাতে বাসায় বসে গুগলে সার্চ দিলাম। উনার সিভিশুদ্ধ সব সামনে চলে আসলো।
২০০৩ সালে আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যাচেলর করছে। ২০০৮ এ মাস্টার্স করেছে উপসালা ইউনিভার্সিটি থেকে। আর উপসালা তেই এখন পিএইচডি করছেন। আমার কাছে পরিচয় দিলো সে এখন উপসালা ইউনিভার্সিটিতে লেকচারার।
এত আবাল হইলে কেমনে হয়? এই অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগে এমন কঠিন চাপা কেউ মারে। এক্কেবারে হাতে নাতে কট। ভাবতেছি উনারে একটা মেইল দিবো যাতে লেখা থাকবে ভাই সিভি তে ইউনিভার্সিটির নাম টা ঠিক করেন। আপনি না বুয়েট থেকে পাশ করছেন।
[এক বড়ভাইয়ের সাথে ঘটে যাওয়া কাহিনী উনার জবানীতে তুলে দিলাম।]