আমি কারো পক্ষে বিপক্ষে কথা বলতে চাইনা। হত্যা - হত্যাই, সেটা সমর্থন করার প্রশ্নই উঠে না। আর সেটা যদি হয় অনৈতিক ভাবে।
কিন্তু আমার মনে কিছু প্রশ্ন ছিল। নিজে থেকে সে উত্তর জানার জন্য নেট দুনিয়ার সাহায্য জরুরী ছিল; এর সত্য-মিথ্যা যাচাই করা ভীষন কষ্টসাধ্য বটে। নীচের লেখাটুকু পড়ে কেউ ভুল-ভ্রান্তি শুধরে দিলে কৃতজ্ঞ হব;
বাংলাদেশী স্বাধীনতার আগে অনেক পূর্ব পাকিস্তানী (বাংলাদেশি) ১৯৪৮ সালের আরব-ইস্রায়েলি যুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবীর লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিল। বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সম্পর্ক বিশেষত ফিলিস্তিনের মুক্তি সংস্থা (পিএলও) -এর একাত্তরের বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের লড়াইয়ের সন্ধান পাওয়া যায়।
* সন্ধান পাওয়া যায়; কিন্তু দ্ব্যার্থহীনভাবে প্রমাণিত নয়। কেউ কি খোদ কোন ফিলিস্তিনীর এই দেশের মুক্তিকামীদের সাথে একযোগে লড়াইয়ের খবর জানেন?
ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকেই লক্ষ্য করা যায়। প্রথমদিকে অধিকাংশ আরব রাষ্ট্র সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে দ্বিধাগ্রস্থ ছিল, কিন্তু এই সম্পর্ক উষ্ণ হতে থাকে যখন ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে ফিলিস্তিনকে সমর্থন করে মেডিক্যাল টিম ও ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সহায়তা করে।
* তার মানে ফিলিস্তিন ও অন্য আরোব দেশের মত দ্বীধাগ্রস্থ ছিল।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় ইস্রায়েলি সরকার এবং ইস্রায়েলি সাধারণ জনগণ উভয়ই বাঙালি জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করেছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে ১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি নবগঠিত দেশটি ইস্রায়েলের দ্বারা দ্রুত স্বীকৃতি লাভ করে। তবে বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ইস্রায়েলি স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যান।
* হতে পারে এটা তাদের বুদ্ধিদীপ্ত কুটনৈতিক চাল, যাতে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনীদের সমর্থন থেকে সবে এসে ইসরাইলের প্রতি নমনীয় হয়।
“১৯৮৮ সালের ১৫ ই নভেম্বর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের পর থেকে প্যালেস্টাইনকে একটি রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি প্রদানকারী ১৩৭ টি দেশগুলির মধ্যে একটি বাংলাদেশ।
অথচ
ফিলিস্তিনিদের প্রতি বাংলাদেশ সরকার চূড়ান্ত পক্ষপাতদুষ্ট হলেও, এটি ভুলে যাওয়া কষ্টকর যে, ইয়াসির আরাফাতসহ ফিলিস্তিন এবং তার নেতারা একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সহিংসতা ও প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছিলেন।
নথিভুক্ত তথ্য অনুসারে, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ফিলিস্তিনের আরব জাতীয়তাবাদী ও “ম্যান্ডেটরি প্যালেস্টাইন” -র মুসলিম নেতা মোহাম্মদ আমিন আল-হুসেইনি মুসলিম দেশগুলিকে পাকিস্তানের প্রতি সমর্থন বাড়ানোর জন্য প্রকাশ্যে আহ্বান জানিয়েছিলেন।
ইয়াসির আরাফাত পাকিস্তানের অনুরোধে পাকিস্তান দখলদার বাহিনীর পক্ষে সমর্থন পাওয়ার এজেন্ডা নিয়ে বেশ কয়েকটি দেশে ভ্রমণ করেছিলেন। আরাফাতের দৃষ্টিতে বাঙালি মুক্তিযোদ্ধাদের “সন্ত্রাসী” হিসাবে দেখা হত।
*ধর্ম বাদ দিয়ে যদি মানবাতার দৃষ্টিকোন থেকে দেখা হয় তাহলে ফিলিস্তিনিদের মানবতা তখন কোথায় ছিল?????
সুত্রঃ উইকি, ব্লিৎজ ও অন্যান্য।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:১২