somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসরাইল কি আদৌ কোন ইহুদী রাষ্ট্র নাকি ভু-রাজনৈতিক নিষ্ঠুর খেলার ক্রীড়ানক???

১৮ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সামু ব্লগে ১৫/৩০/ ৪০ জন ব্লগার সক্রিয় দেখে ভাবার অবকাশ নেই যে আমাদের খুব বেশী দুরবস্থা চলছে। এই প্লাটফর্মে সারাক্ষন ব্লগাররা আসছেন যাচ্ছেন- এরপরে শতাধিক ব্লগার সারাক্ষন সতর্ক নজর রাখছেন ব্লগের সার্বক্ষনিক কর্মকান্ডের উপরে। কোন লেখা তাদের মনে ধরলে তারা খানিক্ষনের জন্য লগ ইন করে এক আধটা মন্তব্য করে অদৃশ্য হয়ে যান।
সক্রিয় কিছু ব্লগারতো বটেই বাইরে থেকে বা মোবাইলে নজর রাখা অনেক ব্লগারের ধ্যান ধারনা জ্ঞান গরিমা চিন্তা চেতনা বেশ উঁচু স্তরের বলে আমার বিশ্বাস। আমি এদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে চাই- জানতে চাই। আমার নিচু স্তরের চিন্তা চেতনার চরম স্বাধীন প্রকাশের জন্য এবং সঠিক বেঠিক ভাল কিছু তথ্য জানার জন্য ব্লগ থেকে ভাল কোন প্লাটফর্ম নেই। এখানে সবাই আসেন পড়ার জন্য, বলার জন্য, জানার জন্য। এফ এন এফ ও পরিচিতির গন্ডি কম থাকায় মন্তব্য হয় খোলামেলা- স্বজনপ্রীতি কম থাকে।
অনেক পুরনো ব্লগারই ব্লগের বর্তমান অবস্থা নিয়ে হা হুতাশ করেন। স্বর্ণালী সেই দিনগুলোর কথা স্মরণ করে হতাশায় নুয়ে পড়েন। আমি সেই দলে নই। কত বাংলা ব্লগের শুরু আর শেষ দেখলাম! এত ঝড় ঝঞ্জা সহ্য করে সামু যে এখনো টিকে আছে সেই ঢের।
গতকাল ‘আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে ফিলিস্তিনের ভুমিকা ও কিছু প্রশ্ন?’
আমার লেখায় অনেকেরই খোলামেলা মন্তব্য করেছেন। কেউ কেউ আমার কিংবা রেফারেন্সের ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন। যদিও মুল প্রশ্নের উত্তর আমি সঠিকভাবে খুঁজে পাইনি কিন্তু মন্তব্যকারী সব ব্লগারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা-তারা অন্তত আমাকে বিশেষ ট্যাগ না দিয়ে আমার সাথে সাথে তারাও প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন।
আমার আজকের লেখার শিরোনাম’ ইসরাইল কি আদৌ কোন ইহুদী রাষ্ট্র নাকি ভু-রাজনৈতিক নিষ্ঠুর খেলার ক্রীড়ানক???’
আমি আশা করছি বুদ্ধিমান ব্লগাররা আমার লেখার ভুল ভাল ও প্রশ্নের অসামঞ্জস্যতা ধরিয়ে দিবেন। সত্যিকারে এর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করব। তারা আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমাকে বিশেষ ট্যাগ দিবেন না।
ঘটনা-১ আমার ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু রাশিয়াতে ১৯৯৭ সালে এক ইহু্দি মেয়েকে বিয়ে করেছিল। সেই মেয়ের বাবা খাটি রাশান হলেও মা ছিল জার্মান বংশদ্ভুত ইহুদি। তার বাবার কোন ধর্ম না থাকায় এবং মা গোড়া ইহুদি হওয়ায় মেয়েকে ইহুদি দীক্ষায় দীক্ষিত করেছেন।
বন্ধুপত্নীর মা তাদের এই বিয়ে প্রথমে কোন মতেই মেনে নিতে পারেননি। কিন্তু ধর্ম না পাল্টানোর শর্তে এবং একমাত্র মেয়ে হওয়ায় সম্পর্ক মেনে নিলেও মেয়েকে তার নিজের বাড়িতে থাকার অনুমতি দিলেন না।
মেয়ের মা বয়সকালেও ভয়াবহ রকমের সুন্দরী ছিলেন- এর উপরে সেই রকম মুডি। আমরা উনার সামনে পড়লে কেটে পরার জন্য ব্যাতি-ব্যাস্ত হয়ে পড়তাম।
উনার বাবা ছিলেন খাটি জার্মান ইহুদি। হিটলারের নাৎসি বাহিনী যখন ইহুদি নিধন শুরু করে যে কোন উপায়ে তার মা ছোট্ট মেয়েকে কোলে করে রাশিয়া পালিয়ে আসলেও তার বাবা ধরা পড়েন এবং গ্যাস চেম্বারে ভয়ঙ্কর মৃত্যু হয়!( সম্ভবত; তেমনটাই শুনেছিলাম)
২০১০ সালের পরে আমার বন্ধু সপরিবারে জার্মানীতে পাড়ি জমান। রাশিয়া ছেড়ে জার্মানীতে কেন? এর উত্তরে তিনি বললেন, শ্বাশুরীর জন্য!
কাহিনী কি?
জার্মান সরকার নাৎসি বাহিনীর হাতে নিহত সব ইহুদিদের বংশধরের বিশেষ সুযোগ সুবিধা ও সন্মানের সাথে জার্মানীতে বসবাসের সুযোগ দিয়েছেন। এই সুযোগ পেয়ে অন্যদেশে বসবাসরত অনেক ইহুদি জার্মানিতে এসে স্থায়ী আবাস গাড়ছে।
সে বিশেষ সুবিধা কি? উত্তরে বন্ধু ডিটেলে যায়নি শর্ট-কার্টে বলেছে।
তার শ্বাশুরী নিজের একটা ওয়েল ফার্নিশড দু-কামরার ফ্লাট পেয়েছেন-সাথে সব ধরনের প্রথমশ্রেনীর নাগরিক সুযোগ সুবিধা সহ বেশ মোটা অঙ্কের ভাতা পান তিনি।
মোটা অঙ্কের ভাতার নমুনা হোলঃ তিনি সারাদিন নতুন পোষাক আশাক কেনা ও সাজ গোজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন ও তিনজন নাতি নাতনীর জন্য নিয়মিত উপহার খাবার আনা সহ মোটা দাগের চাহিদা পূরণ করেন- আর একা একা দেশ বিদেশ ভ্রমন করেন। রাশিয়ার বাড়ি বিক্রির টাকা পুরোটাই মেয়ের নামে ডিপোজিট করে রেখেছেন। বন্ধু তার পত্নী ও সন্তানেরাও সেই বিশেষ সুবিধার অংশ বিশেষ ভোগ করছেন।
বন্ধূপত্নী এখনো নিজের ধর্ম আকড়ে রাখলেও বন্ধু আমার দু-বার হজ্ব করে এসেছেন।সে বেচারা বাংলা থেকে রুশ ভাষায় দীক্ষা নিয়ে ডয়েস ভাষা আত্মস্থের জন্য যুযছেন।

-এখন ভাবুন, নাৎসিদের হাতে অত্যাচারিত ইহুদিরা কোন দুঃখে এমন স্বর্গ ছেড়ে ইসরাইলে বাস করতে যাবেন( তবে এমন সুযোগ খুব বেশীদিন ধরে হয়নি ওরা প্যালেস্টাইনে আবাস গাড়ছে প্রায় শত বছর ধরে)? জিউসরা বিশ্বের অন্যান্য দেশে( বিশেষ করে ইউরোপ ও আমেরিকায়) বেশ প্রভাব প্রতিপত্তি ও আরামের সাথেই আছেন। পুরো বিশ্ব কন্ট্রোল হচ্ছে এদের আঙ্গুলীর ইশারায়! এরা কেন পশ্চিম মেডিটেরিয়ান সাগর পাড়ের ছোট্ট একটা ভূখণ্ড( আট থেকে সাড়ে আট হাজার স্কয়ার মাইল) নিয়ে বছরের পর বছর ধরে ক্যাচালে লিপ্ত? ক্ষতি কি শুধু ফিলিস্তিন ও অন্য আরবদের হচ্ছে- ওদের হচ্ছে না? পুরো দেশটাকে ভয়ঙ্কর নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে রেখে তারা কই আর তেমন স্বাধীনতা ভোগ করছে?

ঘটনা-২
স্কোতে আমার এক ইহুদি বন্ধু ছিল। সুদর্শন চটপটে স্মার্ট। চুটকি আর জোকসের কালেকশন ছিল তার অগুনতি। সারাক্ষন আড্ডা জমিয়ে রাখত সে। তার বান্ধবী ছিল খাটি ইস্রাইলান ইহুদি। আগুন সুন্দরী যাকে বলে। তার পাশে সুন্দরী রুশীয় রমনীদেরও অনুজ্জল ফিঁকে লাগত।
সে মেয়ের মুখে কখনো ইসরাইল নিয়ে পজিটিভ কথা শুনিনি। সে তার প্রেমিককে নিয়ে রাশিয়া কিংবা জার্মানীতে থাকার ইচ্ছে ব্যাক্ত করত।

টনা দুটোই ইসরাইল আদপে ইহুদি রাষ্ট্র কিনা সেই বিষয়ে কোন প্রশ্ন তোলে না! আমার প্রশ্ন হোল এরা কেউই ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক রাখা বা পার্মানেন্টলি থাকার ব্যাপারে ইচ্ছুক নয় কেন?
ইসরাইল কি আদৌ জিউসদের বসবাসের জন্য স্বর্গ রাজ্য বা মুল ধারার ইহুদি রাষ্ট্র নাকি ভু-রাজনৈতিক নিষ্ঠুর খেলার ক্রীড়ানক???’
মামুনুল সাহেবেরা যেমন নিজেদের স্বার্থের জন্য হাজার হাজার ধর্মপ্রান মুসলমানদের বলী দিতে প্রস্তুত তেমনি তেমন কিছুী ক্ষমতাধর দেশ, ক্ষমতাবান রাজনীতিবিদ আর ধর্মগুরুদের ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর স্বার্থের খেলা? স্বার্থ ফুরালে এই খেলা সাঙ্গ হবে!
কেন ক্ষমতা, যোগ্যতা এবং শক্তিশালী সব রাষ্ট্রের সমর্থন থাকা স্বত্তেও ইসরাইল রাতারাতি পুরো ফিলিস্তিন দখল করে নিচ্ছে না? কেন ইঁদুর বেড়াল খেলা খেলছে?
আরব বসন্তের মহা উৎসবে নাকি মাত্র ৬৮ হাজার জন প্রান হারিয়েছেন(উইকি)!!!
জুইস ভার্চুয়াল লাইব্রেরী বলছে, ইসরাইলের সাথে আরব দেশের যুদ্ধে ১৯৪৮ সাল থেকে। ৮৬ হাজার প্রান হারিয়েছে। অপরদিকে ২৪ হাজার ইসরাইলি মৃত্যু বরন করেছে সেই যুদ্ধে।
ওরা প্যালেস্টাইনি সন্ত্রাসীদের(!) মেরেছে ৪১১৫ জনকে(১৯৪৮-২০১৯) পক্ষান্তরে ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসীরা ২০২১ অন ধর্মপ্রান জিউসকে হত্যা করেছে।
তথ্যের সত্যতা আমরা পরে নিরূপণ করি আগে বলুনতো এই যে ২৬ হাজার এর অধিক ইসরাইলান( ধরে নিই মোটামুটি ৮০ভাগ জিউস) মারা গেল – তারা কার বা কাদের স্বার্থে জীবন দিল?
ধর্মের মুলা কি শুধু ধর্মপ্রান সরল মুসলিমদের সামনেই ঝোলানো হয় এবং আগ পিছ না ভেবে এরা জান দিয়ে দেয়- নাকি মহা বুদ্ধিমান ও ধুরন্ধর(!) ইহুদিদের সামনেও সেই মুলা ঝোলানো হয় এবং ওরাও জান দেয়?
Sources: Wars of the World:
Israel Ministry of Foreign Affairs;
The Palestinian Human Rights Monitor:
The Palestinian Human Rights Monitoring Group;
B'tselem;
The Gaurdian;
Walter Rodgers, “Palestinians grapple with collaborators,” CNN, (September 4, 2002);
@IDF, (April 27, 2020).
* While the Jewish population in nearly all countries of the Diaspora declines, the Jewish population in Germany boasts an unprecedented boom. In the past 15 years [since about 1988], the number of Jews in that country roughly tripled, to reach an estimated 150,000. This would make Germany the home of the fourth-largest Jewish community in Europe.

Note: Since this article was initially published, the Jewish population in Germany has grown, with many Jews from the former Soviet Union settling there, along with a growing Israeli expatriate community. For more on Jewish life in Germany today।

*তথ্যগত ভুল মার্জনীয়
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:০৫
২৩টি মন্তব্য ২২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×