গল্পটা ছোটবেলার! মফস্বলে ছিলাম বলে শহর থেকে(বিশেষ করে ঢাকা থেকে) অনেকখানি পিছিয়ে ছিলাম আমরা- তাই সময়টা খুব বেশি পেছনের না হলেও বেশ পুরনো বলেই মনে হবে।
আমাদের ওখানে একমাত্র ছবি তোলার স্টুডিয়োর নাম ছিল ‘বিউটি স্টুডিও’। মালিক জনৈক কাশেম। জাঁদরেল গোফের জলদ্গম্ভীর কন্ঠের সেই ভদ্রলোক সারাক্ষন-বিরাট ভাবে থাকতেন। নিজেকে তিনি অতি উঁচুমানের ফটোগ্রাফার ভাবতেন। তার ভাবের পাত্তা না দিলে ছবি তোলা মুশকিল হয়ে যেত! ছাপড়ার স্টুডিও টিনের চাল- ভিতরে আধো অন্ধকারে অন্যরকম একটা পরিবেশ! পিছনের দেয়ালে পুরোটা জুড়ে হার্ডবোর্ডের উপরে রংতুলিতে আকা ছবি। নীল আর সাদার আধিক্য ছিল বেশী!
সেই ছবিতে কি নেই; রাজ হাস থেকে শূরু করে এরোপ্লেন, রিক্সা থেকে হেলিকপ্টার!এত্ত ছোট একটা ক্যানভাসে, আর্টিষ্ট তার সব কারিশমা ঢেলে দিয়েছেন যেন! জীবনে যা দেখেছেন এবং যা দেখেননি তার সব কিছু এঁকেছেন তিনি। বিশাল অট্টালিকার সামনে নীল সরোবর! সেখানে রাজহাস আর পাল তোলা নৌকা একসাথে ভাসছে- নৌকার থেকে ছোট সাদা রঙের বিমান আর হেলিকপ্টার নৌকার তোলা পালের পাশ দিয়ে অতি শান্তিতে উড়ে যাচ্ছে।
সেখানে সেজেগুজে গুষ্টিধরে গিয়ে সবাই সাদা-কালো ফ্যামিলি পিক তুলত! ঘেটি সোজা বাঁকা করতে করিতে জীবন শেষ।
পর্দার আড়ালে তখন আর ফটোগ্রাফাররা থাকেননা- সেই যুগ শেষ হয়ে গেছে তখন। সে সময় আধা শহর ও মফস্বলের সব ফটোগ্রাফাররা টি এল আর (টুইন লেন্স রিফ্লেক্স) ক্যামেরা ব্যাবহার করতেন।[একই ফোকাল লেন্থ দুটো লেন্স দিয়ে ঢুকত- একটা দিয়ে ঢোকা ছবি উপরের পর্দায় ছবি ভেসে উঠত যেটা মুলত ক্যামেরাম্যানের দেখার স্বার্থে( এখন যেটাকে বলে ভিউ ফাইন্ডার) আরেকটা দিয়ে ছবি ফিল্মে প্রবেশ করত। ( একটা লেন্স দিয়ে দুটো কাজ করতে চাইলে শাটার খুলতে হবে, তখন শাটার খোলা মানেই ফিল্মে আলো ছায়ার ছাপ পরা-এক লেন্স দিয়ে দেখা ও ছবি তোলার প্রযুক্তি তখনো বের হয়নি)
• জানা যায় যে এই ধরনের ক্যামেরার উতপাদন ১৯৭৩ সালে শেষ হয়ে গেছে ( এর পড়ে এসেছে এস এল আর যার অর্থ- সিঙ্গেল লেন্স রিফ্লেক্স, এর পড়ে ডি এস এল আর- ডিজিটাল সিঙ্গেল লেন্স রিফ্লেক্স)
• এর পরেই ফটোগ্রাফিতে রেভ্যুলেশোন আনল এস এল আর। একই লেন্স দিয়ে দুটো কাজ- ভিউ ফাইন্ডার তখন চলে গেল পেছন দিকে। এস এল আর প্রযুক্তি আর পাল্টায়নি- পাল্টাবে বলে মনে হয় না।
তিনি উপরের ভিউ ফাইন্ডার থেকে সবাইকে লক্ষ্য করতেন। কতবার এসে এসে যে, এর ওর ঘেটি গর্দান ঠিক করতেন তার ইয়ত্তা নেই!
ফ্যামেলি পিকে তাও দেরি সহ্য হয়- পার্স্পোর্ট সাইজের ছবির জন্য সে কি হয়রানি! বলে দিতেন সাত দিন বাদে আইসো। সাতদিনের পর থেকে ঘোরাঘুরি শুরু। শুধু বলে আজ না কাল কাল না পরশু। চটানো যায় না তাকে- বড় এলেমদার ফটোগ্রাফার বলে কথা। নিজের ঘরের এককোনে ডার্করুম-সেখানে বেশীরভাগ সময় থাকেন। না হয় তার টেবিলের এক কোনে কাচের একটা বাক্সের নীচে ল্যাম্প লাগানো। তার উপরে পরিস্ফুটিত নেগেটিভ রেখে রংতুলি দিয়ে গভীর মনোযোগে কাজ করতেন। নেগেটিভে তুলির ছোঁয়া না দিলে নাকি ছবির সৌন্দর্য ফোটে না। চাইলে রঙ্গীন ছবিও সেখানে পাওয়া যায়; কিন্তু সেটা সাদাকালো ছবির উপরে রঙ করা। সে ছবি দেখে আলগা মেকাপ লাগানো মনে হয়।
ধীরে ধীরে তার প্রতিদ্বন্দ্বী বাড়তে থাকল আর তার জৌলুস কমতে থাকল। ইয়াসাকি ক্যামেরা আর রঙ্গিন ফিল্ম নিয়ে অন্য একজন হাজির হোল। পেছনের দেয়ালে তার আধুনিক ছবি। আমব্রেলা ফ্লাশ লাগিয়েছেন। ঘর লাগোয়া একটা মিনি মেক আপ রুম, সেখানে কৌটায় তিব্বত পাঊডার, চিরুনি আর টাই-ও ছিল একখানা। কিন্তু সেখানে সমস্যা হোল আরেকটা –পুরো রোল শেষ না হলে তিনি শহরে ডেভলপ আর প্রিন্ট করাতে যেতেন না। তাড়াতাড়ি ছবি চাইলে পুরো ফিল্ম রোলের দাম দিতে হবে। রঙ্গিন ছবি পাবার লোভে আমরা অপেক্ষা করতাম দিনের পর দিন।
--------------------------------------------
একসময় শহরমুখী হলাম, তখন দেখেছি বিভিন্ন স্টুডিয়োর নানা রঙের সাইনবোর্ড। একদিনে রঙ্গিন ছবি। তিন ঘন্টায় পাস্পোর্ট সাইজের ছবি এইসব বিজ্ঞাপন মোড়ে বা রাস্তার পাশের সব স্টুডিয়োতে।
একদিন বড় এক স্টূডিওতে এক মিনিটে রঙ্গিন ছবি আর পাসপোর্ট সাইজের ছবির সাইনবোর্ড দেখে চমকে উঠলাম।
আমরা প্রবেশ করলাম পোলারয়েড ক্যামেরার যুগে। তবে ফিল্মের মুল্য খুব বেশি হওয়ায় ছবি তোলার সঙ্গে সঙ্গে প্রিন্ট হয়ে বের হয়ে যাওয়ার যুগান্তকারী এই প্রযুক্তিটা তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি। তবে বিষয়টা ম্যাজিক্যাল ছিল। ছবি তোলার পর মুহুর্তেই ক্যামেরার সামনে দিয়ে বের হয়ে আসা চারকোনা ভারি কাগজটা কিছুক্ষন বাতাসে দোলালেই রঙ্গিন ছবি ফুটে উঠত।
পোলারয়েড এই ক্যামেরাখানা দ্বীতিয়বার রাশিয়া গিয়ে এনেছিলাম। রাশিয়ায় তখন পোলারয়েদ ক্যামেরার দারুন রমরমা বাজার। সচ্ছল সবার হাতেও পোলারয়েড ক্যামেরা। যেখানে যাবেন( পর্যটন এরিয়াতে)সবখানেই এই ক্যামেরা হাতে ভাড়াটে ফটোগ্রাফারদের ভীড়। আমি একটা কিনে এনে দেশে ফিল্মের দাম দেখে ভিমড়ি খেয়ে এন্টিক শো পিসের সাথে সাজিয়ে রেখেছি।
পোলারয়েড ক্যামেরায় ১৯৯৮ সালে মস্কো ঘন্টার সামনে ছবি। কাউকে চেনা যাচ্ছিল না দেখে খানিকটা যায়গায় একটু চকচকে করেছিলাম
পোলারয়েড বা ইন্সট্যান্ট ক্যামেরাঃ
পোলারয়েড হচ্ছে নগদে ছবি তোলার জন্ম গুরু। প্রথম এই ক্যামেরা আবিস্কৃত হয় জাপানে ১৯৬০ সালে। ১৯৭২ সালে এস এক্স ৭০ নামে ফুজিফিল্ম প্রথমবার এই ক্যামেরা বাজারে ছাড়ে। আর কোডাক ছাড়ে ১৯৭৬ সালে।
• ফুজি ১৯৮১ সালে প্রথমবার Fotorama ব্রান্ডে ইনস্ট্যান্ট বা পোলারয়েড ক্যামেরা বাজারে ছাড়ে! The name Fotorama came from photograph and panorama তবে ফটোর p কেন F হয়ে গেল সেটা জানা যায়নি।
পোলারয়েড ক্যামেরায় ফিল্ম রোলের পরিবর্তে ফিল্ম কার্টিজ ব্যাবহার হয়। একটা ফিল্ম কার্টিজে সাধারনত তিনটা ফিল্ম থাকত। আমি ঢাকাতে দেখেছি নব্বুইয়ের দশকে যতদুর মনে পড়ে ৪৫০ থেকে ৭০০ টাকায় একটা কার্টিজ বিক্রি হত।
------------------------------------------
প্রথম রাশিয়াতে গেলাম ইয়াসাকি কমপ্যাক্ট ছোট্ট একটা ক্যামেরা নিয়ে। ফিল্ম অটো স্পিন হয়,চাপ দিলে ভেতর থেকে ফ্লাস বেড়িয়ে আসে – চৌদ্দশ টাকায় সে এক এলাহি যন্ত্র!!
সারাক্ষন আমার হাতে থাকে ছোট্ট সেই খেলনা – রাশিয়ানরা ঘুরে ফিরে চোখ বড় বড় করে দেখে আর বজ্বা মোই বজ্বা মোই (অহ মাই গড) বলে। ইম্পোর্টেড ক্যামেরা ওরা চোখে দেখেনি তখনো। গাবদা গোবদা বেশ ভারি লাইকা আর জেনিথ ক্যামেরা ছিল ওদের সবেধন নীলমণি!
আহ কি ভাবটাই না নিতাম সেই ক্যামেরা নিয়ে। কিন্তু সমস্যা হোল ছবি তুলে ডেভলপ আর প্রিন্ট করাতে গিয়ে। তাম্বোভ শহরে প্রায় এক বিঘা যায়গার উপরে বিশাল স্টুডিও- ভিতরে এলাহি কাজ কারবার কিন্তু ব্যাটারা ফিল্ম ডেভলপ আর রঙ্গিন ছবি প্রিন্ট করে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে- মানে হাতে, ডার্ক রুমে বসে। নেগেটিভ পরিস্ফুটনের আগে কোন আলোর সংস্পর্শে আসলেই নষ্ট হয়ে যায় কিন্তু ডারর রমের মৃদু লাল্ল আলোতে কেন নষ্ট হয় না সেটা সেই বয়সে আমাদের জন্য বিশাল এক রহস্য ছিল।
• শুধু মাত্র মনোক্রোম ফিল্ম( সাদা কালো) অতি হালকা নীল/সবুজ অথবা লাল রঙ্গে স্পর্শকাতর নয়! কিন্তু কালার ফিল্ম বা নেগেটিভ যে কোন আলোতে স্পর্শকাতরতা আছে। এটা সম্পুর্ন অন্ধকার ঘরে পরিস্ফুটন করতে হয়। কিন্তু যে কাগজে ছবি প্রিন্ট করা হয় সেটাও দিম আলো বা একদম অন্ধকার ঘরে করতে হয়- কোন আলোতে স্পর্শোকাতরতা বা সেনসেভিটি কম তা পেপারের গায়ে উল্লেখ থাকে।
রাশিয়ানদেরটা দেখা হয়নি কিন্তু আমাদের সব স্টুডিয়োতে অতি হালকা( লো ডিম) লাল আলো ব্যাবহৃত হত।
ইয়াসাকি ক্যামেরায় ১৯৯২ সালের তোলা ছবি- মস্কো থেকে প্রিন্ট করা।
ছবি তোলা কতই না সহজ হয়ে গেছে এখন। পৃথিবীটা পাল্টে গেল কতই না দ্রুত। এদেশে প্রতিটা ভাল ফটোগ্রাফারের নিজস্ব ডার্ক রুম ছিল একসময়। ছবি তোলাকে খুব রাজকীয় সখ বা পেশা হিসেবে ধরা হোত।
• এক্স –রে ফিল্ম পরিস্ফুটনের জন্য আগে সবুজ এখন নীল, কমলা বা লাল রঙের আলো ব্যাবহার হয়।
ছবি প্রিন্ট করার পরে নিজেকে নিজের চিনতে কষ্ট হচ্ছিল। পরে প্লেনে উড়ে মস্কোতে গিয়ে ভাল মানের প্রিন্ট করেছিলাম।
---------------------------------------
ক্যামেরা সংগ্রহ আমার একটা সখ ছিল এক সময়। ফুজিফিল্মের একেবারে গোড়ার দিকের ডিজিটাল কমপ্যাক্ট ক্যামেরা এনে পরিচিত মহলে হুলস্থুল ফেলে দিয়েছিলাম।
ঢাকায় তখন কারো হাতে কম্প্যাক্ট ডিজিটাল ক্যামেরা আমার ছোখে পড়েনি। ইব্রাহিম কার্ডিয়াক মেডিকেল কলেজের একদম প্রথম ব্যাচের স্টুডেন্টদের সেই ক্যামেরা দিয়ে তাদের চমকে দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই মেমোরি কার্ড থেকে ল্যাবে প্রিন্ট করা কি ঝক্কি টাই না পোহাতে হয়েছিল। সায়েন্স ল্যাবে আর বাটার মোড়ের বিখ্যাত দুই ফটো ল্যাব ফেল মেরেছিল!
নিত্য নতুন ক্যামেরা সংগ্রহ আর ছবি তোলার সখের জন্য পোলারয়েড ক্যামেরা থেকে শুরু করে এস এ লার, ডি এস এল আর থেকে শুরু করে এক সময় বেশ কিছু ক্যামেরার সংগ্রহে ছিল আমার। যে কোথাও যাবার সময় একটা ক্যমেরা আর এক পেটি তাস সঙ্গে থাকবেই। আমি আমার জীবনের বড় একটা সময় তাস খেলে কাটিয়েছি। তবে তখন শুধু প্রকৃতির কোন ছবি তোলার সখ ছিল না একেবারেই- - হিউম্যান ক্যারেক্টার মানে বন্ধু বান্ধব আত্মীয় পরিজনই মুল সাবজেক্ট ছিল।
-----------------------------------------
আমার ভীষন প্রিয় একটা ক্যামেরা অলিম্পাস AZ 330 Infinity zoom.( এর স্লোগান ছিল- In a galaxy far, far Away The Olympus AZ super Zoom) এই ক্যামেরা প্রথম বের হয় ১৯৯০ সালে । আমার হাতে এসেছিল ৯৫/৯৬ সালে। তখন আমেরিকাতে মুল্য ছিল ৫৫০ ডলার- জাপানে ৬২০০০ ইয়েন! এর বিশেষত্ব ছিল লেন্স ক্যাপে আই আর শাটার রিমোট!
তখনকার দিনে অদ্ভুত জিনিস। সেলফি তোলার সর্বকালের সেরা ক্যামেরা। তার বিহীন লেজার রে এর মাধ্যমে দূর থেকে রিমোট কাজ করে। X ৩৩০ অটো সুপার জুম ছিল তখনকার দিনে কমপ্যাক্ট ক্যামেরায় অবিশ্বাস্য ব্যাপার!( এছাড়া সিক্স লেন্স এলিমেন্ট, অটো ফোকাস,এডভান্স ভিউ ফাইন্ডার, প্যারালক্স ম্যাক্রো স্যুটিং,রেড আই প্রটেক্টর - ব্লা ব্লা অনেক কিছু ছিল, এখন এসব জেনে কিস্যু হবে না!!) আসেন তার থেকে একটা ছবি দেখি(১*রোল ফিল্মের ছবি -প্রিন্টেড কপি থেকে ছবি তোলা হয়েছে, তাই আসলতার মত লাগবে না)
* এই ছবিটা তাজিংডং পাহাড়ের উপরে তোলা-২০০২
-----------------------------------------
এর মাঝে হাতে এসেছিল আমার নাইকন এফ-৫০। এটা সেমি প্রফেশনাল এস এল আর ক্যামেরা। নানান ধরনের ফিল্টার আর টেলি জুম দিয়ে ছবি তুলে হেব্বি মজা পাইতাম!
• F50 সিঙ্গেল লেন্স রিফ্লেক্টেড ক্যামেরা আম্রিকাতে N50 । এটা ৩৫ মিলিমিটারের লেন্স – এর বডি পলি কার্বন ও মেটাল দিয় তৈরি। অটো ও ম্যানুয়াল দু ধরনের ফাংশান আছে এটার। আরেকটা বিষয় ছিল প্যনারমিক ছবি তোলার অপশন। এর প্রথম মডেল বের হয় ১৯৯৩/৯৪ সালে। আমার হাতে আসে ১৯৯৭ সালে। কিন্তু তখন আমার কাছে এটা বেশ লপ্লিকেটেড ক্যামেরা মনে হওয়ায় ২০০২ সাল পর্যন্ত প্রায় অব্যাবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল।
• ১৯৯৮ সালে এটা F60/N60 মডেল হিসেবে নতুন নামকরন হয়।)
ফটোগ্রাফার নন এমন কারো ফিল্টার চিনতে সমস্যা হবে;বেশীরভাগ ফটোগ্রাফার সফট ফিল্টার ব্যাবহার করে মজা পান। এটা অবশ্য মেইন লেন্সকে ধুলা বালি, ভাঙ্গা ও স্ক্রাচেস থেকে সুরক্ষা দেয়।
আসুন এবার কিছু নাইকন এফ ৫০ এর ছবি দেখি ১* অনুরুপ( প্রিন্টেট ছবির কপি) লো-রেজুলেশন ছবি। উপায় নেই
ওয়ে টু সেন্ট মার্টিন
এলিফ্যান্ট ফলস- শিলং
পানামা সিটি- সোনারগাঁও
* এই ছবিটা স্পেশালি 'জুন' আপুর জন্য। আলোর সল্পতার জন্য বেশি এক্সপোজার দেওয়ায় ছবি ভাল হয়নি। কিন্তু এটার বিশেষত্ব- ইহা পৃথিবীর একমাত্র লাইভ রুট ডাবল ডেকার ব্রিজ( জীবন্ত গাছের শেকড় দিয়ে বানানো ব্রিজ। ৫০ জন লোক একসাথে পার হতে পারে। সিঙ্গেল ব্রিজ অনেক আছে কিন্তু ডাবল ডেকার ব্রিজ কোথাও নেই। এ্টা চেরাপুঞ্জির বেশ গভীরে- খানিকটা কষ্ট আছে ওখানে যাওয়া। জুন আপু চাইলেও এখানে যেতে পারবেন না। কেন পরে বলব।
* এটা ব্লগার মিরোরডডলের জন্য- ছবিতে আমার এক বন্ধু ফটোগ্রাফার
নোহখালিকাই ফলস- ঝুলন্ত তারের সেতুর উপর থেকে তোলা। আপাতত এই কয়টাই থাক।
---------------------------------------
• ৯৭/৯৮ সালে সাধারন/ এমেচার ফটোগ্রাফারদের কাছে আরেকটা জিনিস বেশ জনপ্রিয়তা পায়। সেটা হচ্ছে একবার ব্যাবহারযোগ্য ক্যামেরা। ফিল্ম যখন নিজেই একটা ক্যামেরা!!! সেই ক্যামেরায় শাটার, ফ্লাশ, লেন্স সবকিছু ছিল- দাম ছিল হাতের নাগালে। সস্তাগুলো ১৫ থেকে ২৫ ডলারের মধ্যে বিক্রি হোত। ক্যামেরা নিতে ভুলে গেছেন, ক্যামেরা বয়ে বেড়ানোর ঝামেলা, দামি জিনিস ভেঙ্গে যাওয়া নষ্ট হয়ে যাবার ঝামেলা। সমস্যা নেই সস্তায় ফিল্মের সাথে ক্যামেরা ফ্রি।
তবে সেই ছবির খুব ভাল মান আশা করা বোকামি। আমি বেশ অনেকগুলো সখের বসে ব্যাবহার করেছিলাম। মজা পাইনি- মনে হয়েছে খেলনা!
-----------------------------------------
সবশেষে ছোট্ট এই ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে অনেক ছবি তুলেছি। বেশ ভাল মানের ক্যামেরা।
---------------------------------------
আরো অনেক ক্যামেরা ও আকাজের গল্প আছে। কেউ শুনতে চাইলে অন্যদিন বলব। আপাতত দু তিনখানা ছবি দিয়ে বিদায় নিচ্ছি( এত ছবি সামুতে আপলোড করা সম্ভব নয় বলে সবগুলোর সাইজ কমিয়ে দিয়েছি)
কাঞ্চন জঙ্ঘা
পদ্মা যমুনার সংগম স্থল( কিছুটা দুর্লভ) -কম্প্যাক্ট ডিজিটাল ক্যামেরা( নাইকন)
চাইনিজ ওয়েডিং ফটোগ্রাফি দাই চি লেকে দেখলাম ওয়েডিং মডেলিং এর ফটোশ্যুট চলছে। একজোড়া মডেলকে ধরলাম গিয়ে। তারা হাসিমুখেই আমার অনুরোধ রাখল। -নাইকন ডি-৫৬০০
দাই চি লেক - নাইকন ডি-৫৬০০
হন্টেড হাউজ- কার্শিয়াং
* আমার মেয়ে বায়না ধরেছে- ভাইয়ার ছবি যখন দিয়েছি তারটাও দিতে হব, অগত্যা( সাময়িক ছবি)
* প্রিয় ব্লগারঃ ক্যামেরা ও ছবি নিয়ে আরো অনেক গল্প আছে। আমার ইচ্ছে আছে প্রডাক্ট ফটোগ্রাফি নিয়ে ভবিষ্যতে কিছু আলোচনা করার। যদি কারো আগ্রহ থাকে অবশ্যই সময় করে দিব। টি এল আর ফিল্ম কোডাকের ফিল্ম ক্যামেরার ছবি ছাড়া সবগুলোই আমার তোলা। আমি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের নিমিত্তে ছবিগুলো দেইনি। প্রিয় কা-ভা চাইলে ছবি ব্লগে যুক্ত করতে পারেন কিন্তু মুল প্রতিযোগিতায় ছবিগুলো না রাখলেই খুশি হব। কোন ছবিতেই ফটোশপের কারসাজি নেই! তথ্যগত ভুল-ভ্রান্তি কেউ ধরিয়ে দিলে আনন্দিত হব।
****প্রথম ছবিটা একটা বিজ্ঞাপনচিত্রের স্যুটিং এর! এর পেছনের গল্প নিয়ে একটা সিরিজ শুরু করেছিলাম বহু আগে
'একটি মৃত বিজ্ঞাপন চিত্রের গল্প' শিরোনামে। শেষ করা হয়নি আর!!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:৫৯