বোকা মানূষের বোকা বোকা ভাবনা; ব্লগে কত কত বুদ্ধিমান মানুষেরা আছেন। আচ্ছে কেউ কি বলবেন; এই যে শুনি ইহুদীরা এত নাকি বুদ্ধিমান- যাদের ঘটে এই পরিমান বুদ্ধি যে যে সেটা সুপারম্যান বা এলিয়েন তুল্য। মিথ আছে যে, আগে থেকেই ইহুদী জাতির বেশ ঘোরালো প্যাঁচালো বুদ্ধির ছিল, বহু নবীকে নাকি বেশ নাকাল হতে হয়েছে তাদের কওমের কাছে। মুসা নবী নাকি ওদেরকে বেহেশত থেকে খাবার এনে খাইয়েছেন তাই তাদের বুদ্ধি বেড়ে গেছে আরো কয়েকগুন। এমন একটা বুদ্ধিমান ও ব্যাবসায়ী ক্ষমতাবান জাতি কেন যুগে যুগে খৃষ্টান আর মুসলমানদের হাতে মার খেয়ে প্রায় নিঃশেষ হয়ে গেছে। মুসলমান আর খৃষ্টানদের থেকে ঢের পুরনো এই জাতি সাকুল্যে পৃথিবীতে টিকে আছে দুই কোটির উপরে মাত্র আর তাদের উত্তরসুরি এই দুই ধর্মের লোক বুদ্ধি অর্থ ও ক্ষমতায় পিছিয়ে থেকেও চারশ কোটি পেরিয়ে গেছে। কাহিনী কি?
পত্রিকা খুললেই দেখি ইহুদীদের মাথায় নাকি ওমাগা থ্রি-তে ভরপুর। খালি কিলবিল করে বুদ্ধি আর বুদ্ধি। পৃথিবীর তাবত ক্ষমতা ওদের হাতে। যতসব ডাকসাঁইটের মিডিয়া, ব্যাঙ্ক বিমা অর্থলগ্নীকারি প্রথিষ্ঠান,যাবতীয় ব্যাবসা, বানিজ্য, অস্ত্র, জাহাজ, টেকনোলজি থেকে শুরু করে সারা বিশ্বের জান মাল সব ওদের কুক্ষিগত। তিন হাজার বছর ধইরা ওরা দুনিয়া চইষা ব্যাবসা করে। চাইলে আম্রিকার প্রেসিডেন্টকে সকাল বিকাল নামাইতে পারে আর উঠাইতে পারে। সারা বিশ্ব এসপার ওসপার করা ওদের কাছে ওয়ান টুর ব্যাপার। তাইলে ওরা ক্ষমতায় যায় না ক্যান? দুই হাজার বছর ধরে ওরা দৌড়ের উপর আছে ক্যান?
ভারতে 'মালানা' নামে একটা জনাজাতিক গ্রাম আছে। সেখানকার সেখানকার চরস বিশ্ববিখ্যাত। যা 'মালানা ক্রিম' নামে সারা বিশ্বের নেশাখোরদের কাছে পরিচিত।
সেই মালানা গ্রামে কাছে আরেখখানা গ্রাম আছে যার নাম 'ইসরাইলী পাড়া'। এই নামকরন হবার কারন; সেখানে প্রচুর ইসরাইলী( মুলত ইহুদীরা) অস্থায়ী আবাস গাড়ে। তারা মাসের পর মাস সেই মালানা ক্রিমের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকে। ইহুদী মানেই বুদ্ধিমান নয়। পৃথিবীতে বহু বোকাচোদা অপদার্থ অকর্মন্য নেশাখোর চোর ছ্যচ্চোর ইহুদী আছে। এদের একটা বড় অংশ বাস করে ইসরাইলে। যাদেরকে মাগনা থাকা খাওয়া যায়গা জমির লোভ দেখিয়ে ওখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওরা ধর্ম কর্ম বা আদি আবাসভুমির টানে যায়নি। ফাও পাবার লোভে গিয়েছে। হামাসের এই আক্রমনের পরে ইহুদীদের শুধু একটা সংগঠন ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবার পিছি ১০৩২ ডলার থেকে ৬০০০ ডলার পর্যন্ত ৬ বছর থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত সাহায্য দেবে বলে ঘোষনা দিয়েছে। এরকম বহু সংগঠন সাহায্য দিবে। এমন মজা কে ছাড়তে চায়।
প্রশ্ন নম্বর দুই; ইহুদীদের বড় শত্রু কারা মুসলমান না খৃষ্টান?
কোন ইতিহাস সাল তারিখের উল্লেখ না করে একেবারে সাদা চোখে আসুন আমরা বিচার করি;
খৃষ্টানদের সাথে ইহুদীদের শত্রুতা ২০০০ বছরের বেশী আর মুসলমানদের সাথে ১৫০০ বছরের আশেপাশে। সিম্পল ইকুয়েশন।
আজ পর্যন্ত মুসলমানদের হাতে যত ইহুদী নিধন/ নির্যাতিত/ নিপিড়িত হয়েছে তার কয়েকশগুন হয়েছে খৃষ্টানদের দ্বারা।
সত্যিকার ইতিহাস ঘাটলে জানা যায়; ততকালীন বেদুইন আরবদের ধারনা ছিল খৃষ্টান আর ইহুদীরা সম্ভবত একই ধর্মের অনুসারি। মুহাম্মদ সঃ মদীনায় হিজরতের আগে একই ধারনা পোষন করতেন। তিনি মদীনাতে বসবাসের অনুমতি চাইলেন তখন এক দল অনুমতি দেয়নি। সম্ভবত তখন তিনি জানতে পারেন তারা হল খৃষ্টান। সেই যে শুরু...
ক্রিশ্চানেরা বরবরই ইহুদীদের মুসলমানদের দিকে আর মুসলমানদের ইহুদীদের দিকে ঠেলে দিয়েছে এবং বিভিন্ন ফেতনা সৃষ্টি করে দু গ্রুপের গণ্ডগোল বাঁধিয়েছে আর সুযোগ বুঝে বড় হলোকাষ্ট চালিয়েছে তারা।
****
(আমার নীচের কথাগুলো হয়তো অনেকের ভাল লাগবে না। বিভিন্ন হাদিস-টাদিস দিয়ে তর্কাতর্কি করবেন। গায়ে আগুন লেগে যাবে অনেকের। তাদের বলছি। এটা আমার কথা নয়- আমি খুব ধার্মিক ব্যক্তি নই। অদ্ভুত-উদ্ভট কিংবা যত সহিহ হউক কোন হাদিসের রেফারেন্স নিয়ে আমার সাথে তর্ক করবেন না।)
মোহাম্মদ (মুল গ্রন্থনাঃ ক্যারেন আর্মস্ট্রং) তিনি তার বই এর একখানে ইহুদীদের সাথে মুসলমানদের নবী মুহাম্মদ(সঃ) সময়কালে সংঘাতের বিষয়ে চমৎকার কিছু কথা বলেছেন;
মদিনার ইহুদীদের সঙ্গে মুহাম্মদের (স আচরণ বোঝা পশ্চিমে আমাদের জন্যে কঠিন, কারণ এটা আমাদের লজ্জাজনক ইতিহাসের অসংখ্য লজ্জাকর দৃশ্য ফিরিয়ে আনে। কিন্তু মরুদ্যানের তিনটি প্রধান ইহুদী গোত্রের বিরুদ্ধে মুহাম্মদের (সঃ) সংগ্রাম প্রায় হাজার বছর ধরে ক্রিশ্চান ইয়োরোপের হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী বর্ণ ও ধর্মীয় ঘৃণা বোধের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা ছিল। ক্রিশ্চানদের যুক্তিবর্জিত সন্ত্রাস ইহুদীদের বিরুদ্ধে হিটলারের সেক্যুলার ক্রুসেডের ভেতর চূড়ান্ত প্রকাশ খুঁজে পেয়েছিল। মুহাম্মদের (স মনে তেমন কোনও ভয় বা কল্পনা ছিল না, মদিনাকে 'জুদেনরাইনে পরিণত করার কোনও ইচ্ছা তাঁর ছিল না। কাঈনুকার সঙ্গে তাঁর বিরোধ ছিল পুরোপুরি রাজনৈতিক; মদিনায় বসবাসরত ছোট ছোট ইহুদী গোত্র যারা চুক্তির প্রতি সম্মান দেখিয়েছে তাদের প্রতি সেই বিরোধ প্রকাশিত হয়নি এবং তারা মুসলিমদের পাশাপাশি শান্তিতেই বসবাস করেছে।
আমি এই রেফারেন্সটা দিলাম তার কারন হল; কিছু রাজনৈতিক ব্যাপার আমরা নিয়ে যাই ধর্মীয় দিকে। সেটাকে ধর্ম বলে ধরে নিয়ে সেই আচার আচারনে অভ্যাস্ত হয়ে পড়ি। আমরা ইতিহাস ভাল করে জানিনা পড়িনা বুঝিনা। শুধু অন্ধের মত কিছু আকাট মুর্খকে ( আমার অনুরূপ) অনুসরণ করি।
আসমানী কিতাবের অনুসারী প্রধান তিনটি ধর্মঃ
পৃথিবীতে খৃষ্টান আছে ২৪০ কোটি- এরা সমগ্র বিশ্বের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী।
(এদের আগের ও পরের দুই রাসুলের ধর্মের অনুসারীদের নাকে দড়ি দিয়ে নাচাচ্ছে)
পৃথিবীতে মুসলমান আছে ১৮০ কোটি- এরা শুধু ভারেই কাটে ধারে কাটে না। এদের ক্ষমতা আবেগ আর ধর্মের জোশ।
পৃথিবীতে ইহুদী আছে ১ কোটি ৫৭ লক্ষ - এরা নাকি সবচাইতে বুদ্ধিমান, ক্ষমতাবান ও অর্থবান!!
এরা সারা বিশ্বের এত জায়গা জমি থাকতে ছোট্ট একটা আধা উর্বর জমি নিয়ে আদিভুমি আর ধর্মের নামে শত শত বছর ধরে জান-প্রান দিয়ে জান দিয়েই যাচ্ছে আর জান নিয়েই যাচ্ছে। এই নাকি বুদ্ধিমানের নমুনা!!!!!
* তথ্যগত ভুল মার্জনীয়। ভুল-ভ্রান্তি থাকলে অবশ্যই জানাবেন।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:২১