এ বছর আমাদের দেশের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল অনেক আলোচনার মুখোমুখি হয়েছে ।সেই সাথে এ পরীক্ষাতে যারা আসানুরুপ ফল পান নাই তারা হতাসা গ্রস্থ সবচায়তে বেশি ।আসলে যারা ভাল ফলাফল করতে পারেনি তারাই সবচেয়ে বেশি অবহেলার স্বীকার হচ্ছে ।যদিও এটা সব বছরেই হয়ে থাকে সবার জন্যই এটা থেকে মাফ পাবার অবকাস নাই। আমাদের দেশে অঘোষিত একটা কুসংস্কার আছে যে এ্ প্লাস না পেলে কোন কিছু করা সম্ভব নাহ ।এটা বোধ হয় ঠিক যে ভাল ফলাফল করার তীব্র ইচ্ছার জন্য প্রেরণা যোগাতে হবে বাবা মা কে আর সকল স্বজন দের ।কিন্তু তাই বলে ফলাফল ঠিক আসানুরুপ না আসলে তাকে এভাবে মানসিক চাপ আর অঘোষিত অত্যাচার করার কোন নিয়ম আছে বলে জানা নেই ।তবুও সেটাই হয়। একটা ছাত্র যখন হলে পরীক্ষা দিতে যাই তখন তার লক্ষ্য থাকে তার মেধার সব টাই প্রয়োগ করার এবং ভাল মার্কস ক্যারি করার কিন্তু সব ক্ষেত্রে সবাই তার পুরোটা মেধা ব্যায় করার পর ও ভাল মার্কস পাইনা ফলে সে নিজেই হতাশা তে ভোগে আর এ সময় তার পাসে বন্ধু বা আপন কারও এগিয়ে আসা উচিত কিন্তু বাস্তব অর্থে তা হয়না ।অনেক পরিচিত মুখ হয়ে পরে খুব বেসি অপরিচিত ।তার কাছে এসময় টা খুব দুসসহনিয় হয়ে পরে তবুও তাকে ওই সকল মানুষ কে নিয়েই বেচে থাকতে হয় যখন সে সফল হয় তারাই এই মানুষের গুণগ্রাহী হয়ে যাই ।
আসলে মানুষের মেধার বিচার কি শুধুই পরীক্ষা আর তার ফলাফলের ওপর ই নির্ভর করে ? জানিনা এর উত্তর কি।
আমাদের সামাজিক কিছু নিয়ম কে পরিবর্তন করা তা আজ খুব প্রয়োজন জানি তা কখনো হবার নয় তবুও লিখছি যত টাইমে আমরা মেধার সঠিক যাচাই করতে পারবনা তত সময় এই ফলাফল খুব বেশি পরিবরতন হবার আশাও আমরা করতে পারিনা তবুও করছি ।
আমি এটুকুই বলতে চাই পৃথিবিতে কেও মেধা হিন ভাবে আসেনা সকলের মেধা আছে কিন্তু সবাই তার যথার্থ মূল্য পাইনা সব ক্ষেত্রে তাই বলে তাকে অবহেলার চোখে দেখতে হবে এটা ঠিক নাহ । আসুন মানসিকতার পরিবরতন করি যে কিনা ভাল ফল অর্জন করতে পারেনি তাকে অবহেলা নয় বরং তাকে সামনে এগিয়ে যাবার জন্য প্রেরনা যোগাই ।তাকে মানসিক সাপোরট দেই।
এক্ষেত্রে আমি শেখ সাদির নতুন জামা পরে দাওয়াত খেতে যাবার কথা উল্লেখ করতে চাই ।আজকের সমাজ বাবস্থা তা এমন ই হয়ে দারিয়েছে ।
ধন্যবাদ
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮