আলোচনার পুর্বে জানা যাক কেন এই দুর্ঘটনায় আল্লাহর মেহমান হাজিগন ??এটা আমার নিজের মতামত ।, হয়ত কারো ্মিল হতে পারে কারো দ্বীমত হতে পারে !!
বিঃ দ্রঃ যারা শিয়া আর সুন্নিদের মাঝে পার্থক্য বুঝেন না বা শিয়াদের মুসলিম বলে জানেন তাদের বলব এই লেখাটা আগে পড়ার জন্য ।
শিয়ারা যে কারনে কাফের (দলিল প্রমানসহ)
দুর্ঘটনার কারন ঃ
১) সেলফি রোগ !!
কিনা পচন ধরেছে এই হাজিদের মাঝে অনেকের ?? প্রভুর সামনে বিজাতীয় ভাব নিয়ে ফটো খেচা !! তাকেই অবজ্ঞা করা সইবে কি আল্লাহর আরশ না তা হতে পারে না !! ধিক শত ধিক এসব মচা মন মানষিকতাকে !!
সামনে কা'বা, রাব্বে কারীমের দরবার, বিভিন্ন স্টাইলে চলছে ফটোসেশন, কাকে খুশি করতে? রাব্বে কারীমের সামনেই তাঁকে অবজ্ঞা?
নাহ, আমি আতঙ্কিত, ভিত ও সন্ত্রস্ত!
২) ব্যাবস্থাপনায় জালিয়াতি ধোকাবাজি !!
হজ্ব হল ঐশি বিধান আর এখানেও ট্রাভেলস এজেন্সিদের জালিয়াতি ধোকাবাজি ও টাকা কামানোর বিরাট সুগম পথা । এখানেও মিথ্যার আশ্রয় ,ভিবিন্ন রকমের ধোকা কথাএকরকম আর হজ্ব করতে যেয়ে দেখে আরেকরকম তাই হাজিদের মনে সংশয় থাকে আর টেনশন তো থাকেই !!আরো নানান রকম জোট ঝামেলা আছেই !!
৩) হাজিদের খুলুসিয়্যাতের অভাব !!
সব কাজ যদি এখলাস আর খুদামন্দির জন্য হয় আমি মনে করি সেখানে কোন রকম বিপদ আপদ আসার কথা না আর হাজিদের মাঝে কি এরকম ধ্যান ধারনা আছে বলে মনে না ?? আর সেখানে যেয়ে কে কার আগে তার কাম শেষ করতে পারে এই প্রতিযগিতায় নামে !আর হাজ্ব করতে আইছি আমি কারো থেকে কি কম ?? আসলে হজ্ব হল রাব্বে কারীমের এক বিষেশ বিধান যা সবার নসীবে হয় না এখানে কিসের রিয়া ?? কিসের গরিমা আত্ন গর্বিত ?? তার দরবারে নত জানু হওয়াটাই তো মুক্ষ উদ্দেস্য ।
৪)শিয়া/ইয়াহুদিদের কু-চক্রান্ত !!
সৌদি যুবরাজ 'মু হা ম্মা দ এর পরামর্শেই ইরানী হিংসুক শিয়াদের হাত থেকে ইয়ামানকে বাঁচানোর জন্য বাধ্য হয়ে ইয়ামানে বিমান হামলা করে সৌদী ।
.
সৌদীতে এরকম সাহসী ও সংগ্রামী ব্যাক্তির অস্তিত্বের জন্যই শীয়াগোষ্ঠী ও ইহুদীরা সবচে আতঙ্কে আছে প্রিন্স মুহাম্মাদকে নিয়ে ।
তাই তাকে ফাসানোর জন্য ষড়যন্ত্র করে মিনা ট্রাজেডী ঘটানো হয় । এবং যুবরাজের ইমেজ ধ্বংসের অপচেষ্টা করা হয় ।এই মুসলিম নামধারি শিয়ারা কত বড় শত্রু মোসলমানদের তা আচ করা যায় কারবালার ঘটনা থেকে আর তারা সেখানে চক্রান্ত করে থেমে যায়নি মুসলিম প্রতিটি জন পদে চক্রান্তের জাল বিচিয়েছে তার বিচ ঢেলেছে আজ পর্যন্ত ।অনেকে ভাবেন শিয়ারা মুসলমান এটা ভুল !! হা আছে কিছু সংক্ষক শিয়া যাদের আকিদা আমাদের সাথে মিলে ।
আর ইয়াহুদিরা তো মুসলমানের আজীবন শত্রু কারন তাদের কে হুজুর (সঃ) থাকাকালিন মদিনা থেকে বহিস্কার করে খায়বারে পাঠানো হয় আর উমরের জামানায় এসে তাদের জাজিরাতুল আরব থেকে বের করে দেওয়া হয় ।আর দেখেন সেই ইয়াহুদী মুশরিকদের স্বার্থ রক্ষায় চলছে আমাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা।
কিন্তু প্রচণ্ডভাবে আঘাত পাই, যখন দেখি কা'বার কোল ঘেষেই চলছে তাদের স্বার্থরক্ষা।
এসব দেখি আর ভাবি চিন্তা করি
ইয়াহুদী মালিকানাধীন হিলটন হোটেলটি সবসময় আমার কা'বাকে দেখে দেখে বিদ্রুপের হাসি হাসে।
তার নীচেই K F C আল্লাহর মেহমানদের খাবারের যোগান দিচ্ছে, সেটাও ইয়াহুদীদের!
মদীনাতুর রাসূল (সা আমাদের ভালোবাসা। কতো কবি কবিতা সাজিয়েছেন তাকে নিয়ে।
কতো আশেকে রাসূল দিওয়ানা, মাতোয়ারা সে নামে।
সেই মসজিদে নববীর দেয়াল ঘেষেই হোটেল স্টারবক্স। কেবল ইয়াহুদী মালিকানাধীন নয়, স্টারকে যেই ইসরাঈল তাদের পতাকায় এঁটেছে সেই স্টার, মানে বুঝেন বন্ধু?
স্টারকে বাঁচাতে এই বক্সে ফেলুন আপনার অর্থ।
মুসলিম শিশুদের রক্ত ঝরাতে অস্ত্র লাগবে না? সে অর্থ কি তারা দেবে?
আমরা মুসলিমরাই দেবো এর যোগান!
না ভাই দুর্ঘটনার কারণ এগুলোকে ধার্য করে ফেলবেন না!
বলব মিডিয়া শিয়া ইয়াহুদি মাজার পুজারি দের তোমরা কান খুলে শুনে নাও !!
আমরা দুর্ঘটনার পর থেকে দেখছি ইহাকে নিয়ে শিয়া সম্প্রদায় আর সুশীল মিডিয়া কিভাবে আক্রমন করছে সৌদি আরব নামক দেশটিকে তা সবার অজানা নয় !! তবে এর সাথে যোগ হয়েছে মাজার পুজারি সিন্নি বাবা মিলাদ-কিয়াম বাবারা তারাও ভিবিন্ন পোস্টে সৌদি সরকারের দোশারোপ করছে !! আসলে মিনায় কি ঘটেছিল ইহা স্পষ্ট নয় তাহলে ছাগলের ৮নং বাচ্চার মত লাফালাফি করার কোন প্রশ্নই উঠেনা ?? তবে কথা থেকে যায় কেন এই হতাহতের ঘটনা ঘটল ??? কি হয়েছিল সেখানে ?? কেউ কেউ বলেছেন সেখানে সৌদি যুবরাজের গাড়িবহরের কারনে ?? না এটা কোন কারন নয় !! সৌদি যুবরাজের গাড়িবহর সেখান দিয়ে যাবেন কোন দুঃখে তাদের (ভি আই পি দের ) আলাদা পথ ।আসলেই বলতে এখানে যা ঘটেছে তা নিচক দুর্ঘটনা ?? বা ইয়ামানি ইরানি ষড়যন্ত্র বলা ভুল হবে না । আমি একটা ভিডিওতে যা দেখেছি বা উপস্থিত হাজিদের বয়ান অনুজায়ী যা শুনেছি সব মিলে যায় !! মিনায় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করার স্থানে গেট দিয়ে বেস্টিত করা । আড় গেইটের সামনে লোক জড়সরু হয়ে আছেন এদিকে নিরাপত্তা কর্মিগন গেইট খুলার পুর্বেই তা ভেঙ্গে ফেলা হয় ?? এখানে দেখা যায় সবাই হুরুহুরি করে ভিতরে ডুকে যাচ্ছে তখন নিজের জান বাচাতে নিরাপত্তাকর্মিরা ছোটোছোটি শুরু করে কি হল বুঝার আগেই তারপর কিছু কথা থেকে যায় তবে ...
সৌদি সরকার ঘটনার তদন্ত করতে বজ্রকঠিন শপথ নিয়েছেন ।
এবং শত শত সিসি ক্যামেরার চূলচেরা বিশ্লেষণ চলছে ।অপরাধীদের কড়া শিক্ষা দেয়া হবে ।
.
শীর্ষ নিউজ জানিয়েছে, হাজীদের মৃত্যুর ঘটনাটি একটি ষড়যন্ত্র ।
মুসলীম উম্মাহর হৃদস্পন্দন মক্কাকে কলুষিত করতেই এই অপচেষ্টা করা হয়েছে ।
এবং ভবিষ্যত সৌদীর শক্তীশালী নেতৃত্বের অবসান ঘটানোর জন্যই একাজ করেছে শত্রুরা ।
-জানা গেছে, সৌদী আরব শুধু মাত্র হাজীদের সম্মানে হজের সময় যে নিরাপত্তা বেষ্টনী ও ব্যবস্হাপনা করে থাকে,
তা দিয়ে ৫০ টি ফুটবল বিশ্বকাপ একবারেই আয়োজন করা যাবে অনায়াসেই । এত নিরাপত্তার পর ও এই অনাকাঙ্খি ত ঘটনা রহস্যময় ইতিহাস হয়েই থাকবে । বিশ্ব জনমত সে কথাই বলে ।
.
-এরপর ও সৌদী আরবকে কলঙ্কিত করতে ও মুসলীম বিশ্বের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরাতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে । আর এতে নাটের গুরু হিসেবে কাজ করছে ইহুদী, খৃষ্টানদের সাথে হাত মিলানো শীয়াগোষ্ঠী ।
.
-আমরা আশাবাদী, সৌদীর আগামী তরুন প্রজন্ম ও নব্য তুর্কীরা ইসলাম বিদ্বেষীদের সকল ষড়যন্ত্রকে ধুলিৎসাত করে দিবে ইনশাআল্লাহ ।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৯