অসহায় মা জ্যোৎস্নার ১৬ বছর বযসী পুত্র আমাদের কাছে প্রশ্ন করেছে-- আমরা গরীব বলে আমার মায়ের উপর সমাজপতির মধ্যযুগীয় কায়দায় এমন বর্বরোচিত নির্যাতনের বিচার কি পাবো না? সমাজে কেউ কি নেই! দেশে কি আইন বলতে কিছুই নেই...!
আমার বাংলাদেশ তো ঠিকই আছে।বদলে গেছে শুধু মানুষ গুলো।আগের মানুষ গুলো নিজের জীবন দিয়ে অন্যের জীবনের জন্য দেশ স্বাধীন করেছে আর এখনকার মানুষ গুলো অন্যের জীবন নিয়ে নিজের স্বাধীনতা জাহির করছে।
তথাকথিত সমাজপতিদের প্রভাবের কাছে মানুষ আর কত কাল জিম্মি হয়ে থাকবে? আর কত অত্যাচার সহ্য করলে জালাল উদ্দিনের মত ক্ষমতাবানদের অসহায়দের অত্যাচারের মাধ্যমে আদিম স্বাদ নেয়া পূর্ণ হবে! এমন বাংলাদেশ তো আমরা চাই না!
শুধু জ্যোৎস্নাই নয় সমাজে এমন অনেক নারী আছে যারা প্রতিনিয়ত লোকসমাজে জালালের মতো মূখোশধারী ভাল মানুষদের ধারা তাদের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নির্যাতনের শিকার হচ্ছে । এসব কুলাংঙ্গা, নারী লোভী লুৎসাদের ব্যাপারে শুধু পুলিশ প্রশাসন কেন সমাজের সকল লোকদেরকেই জিরো টলারেন্স থাকার দরকার।
সময়ের কন্ঠস্বর থেকে নেওয়া .........।
গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ছোট লতিফপুরে গার্মেন্টস কর্মী জ্যোৎস্না বেগম (৩৫), স্বামী বুলবুল আহমেদ এবং এক ছেলে কে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন । স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকরি করে দিন এনে দিন খাওয়ার মাধ্যমেই চলছিল তাদের সুখের সংসার । হঠাৎ করে সেই সুখের সংসারে অসুর হয়ে আগমন ঘটে স্থানীয় অর্থশালী ও প্রভাবশালী জালাল উদ্দিনের! চরিত্রহীন জালাল বিভিন্ন সময় জ্যোৎস্না কে কুপ্রস্তাব দিয়ে উক্তত্য করতে থাকে । জালালের কুপ্রস্তাবের কথা জ্যোৎস্না তার ভাইকে জানালে সোমবার সকালে জ্যোৎস্নার ভাই জালালকে গিয়ে তার বোনকে বিরক্ত না করতে অনুরোধ করে । এতেই বিগড়ে যায় জালাল । আজ দুপুর ২টার দিকে জ্যোৎস্না গার্মেন্টস্ থেকে টিফিন খেতে বাসায় এলে জালাল তার সাঙ্গ-পাঙ্গ সহ জ্যোৎস্না কে ঘড় থেকে চুলের মুঠি ধরে টেনে-হিঁচড়ে বােইরে বের করে লোহার রড দিয়ে বেদম পেটাতে থাকে । বাসায় জ্যোৎস্নার স্বামী না থাকায় তাকে অমানুষের মত পেটাতে থাকে জালাল ।
প্রিয় পাঠক, আমরা অসহায়দের উপর অত্যাচারের তামাশা দেখতে পছন্দ করি । বরাবরের মত এবারও ভুল করেনি কালিয়াকৈরের ছোট লতিফপুরের বাসিন্দারাও । তাদের সামনেই জালাল জ্যোৎস্না কে বিনা দোষে পেটালেও সমান্যতম বাঁধা দেয়নি তারা । এক পর্যায়ে জ্যোৎস্না মার খেয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলে জালাল তাকে ফেলে রেখে চলে যায় । এরপর স্থানীয়দের একজন জ্যোৎস্নার স্বামীকে খবর দিলে তিনি বাসায় এসে জ্যোৎস্নাকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর হাসপাতালে ভর্তি করান । এখনও জ্যোৎস্নার জ্ঞান ফেরেনি বলে জানা গেছে ।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৯