জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী... প্রিয় শেখের বেটি...

১৬ কোটি মানুষ কি আর কথাই বলতে পারবে না..!! (দাবি-দাওয়া তো অনেক পরের ব্যাপার..!!)
আপনি সব অভাব তাদের পূরণ করে দেছেন...তাই..!!
হীরক রাজার দেশের মতন দ্যাশটা আপনার মুঠোর মধ্যে পুরে নিলেন..

এখন আর আপনি আর আপনার ছাত্রলীগ ও পুলিশ সহকর্মীরা শুধু জামাত-বিএনটি-কেই সমুলে নিপাট করছেন না; আমার মতন সাধারণেরা যারা আপনাকে বিশ্বাস করে ভোট দিয়েছিল পরিবর্তনের আশায়; আপনি এখন আপনার ভোটারদেরও আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবে নিয়েছেন..! জুঁজুর ভয় পেয়ে বসেছে আপনার ঘাড়ে...!! ইতিহাস কিন্তু এরকম ঘটনার অনেক সাক্ষী আছে... এরপরই হয় অমোঘ নিয়তির... (৫৭ ধারা আর ৩২ ধারার জন্য আমি আছি....)
এই যে হাতুড়ির বাড়ির এই ছবি শেখ হাসিনাও দেখছেন; বুদ্ধিজীবিরাও দেখছেন; এনজিও এর পৃষ্ঠপোষকরাও দেখছেন; ছাত্র-জনতাও দেখছে; আইন চুপ; সবাই চুপ। মাঝখানে লাভ হলো যারা হাতুড়িপেটা করলো। মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে গেল- আর কোন ছাত্র কি রাজশাহী ভার্সিটির রাস্তায় নামতে চাইবে? ঢাকা ভার্সিটির পথে নামবে? ঐ হাতুড়ির বাড়ি সহ্য করার সাহস কার আছে? সবচেয়ে বড় কথা তার পাশে ভিসি বা এসপি বা বিচারক এসে দাড়াঁলো না; কোন বড় দলের লিডাররা দাঁড়ালো না।.. এই বাংলাদেশকে একমাত্র আল্লাহপাক তার নিজের স্পেশাল ক্ষমতায় ভেটো জাতীয় কিছুমিছু একটা করে বাচাঁতে পারেন... আর কেউ না.... ইবলিশ বহু আগেই লজ্জা পেয়ে এদেশ থেকে চলে গেছে;;; ইবলিশের বাপ'রা সমগ্র বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়ে নেছে যে... কথাই বলা যাবে না; কিছু চাওয়াই যাবে না- এ কেমন দেশে পরিণত হলো আমার সোনার বাংলা...!! এরা আল্লাহর উপরও ক্ষমতা পেয়ে গেছে; কারণ এদের কাছে আর ভোটের গুরুত্বও নেই.. তবে ঐ হলুদ ড্রেসের হাতুড়িওয়ালার ভবিষ্যত আর তার স্ত্রী-সন্তানদের ভবিষ্যত পথচলাটা দেখে যাবার আমার বড় শখ-- সেই কি তবে সামনে জয় এর প্রধান সেনাপতি হবে..!! তার বৌ কি জয় এর আমলে প্রধান বিরোধীদলীয় নেত্রী হবে...!!

আপনি কি জানেন-- শেষমেষ হাসপাতাল থেকেও তারে বের করে দেয়া হয়েছে..!! বাংলাদেশে একমাত্র শেখ হাসিনার পক্ষে আপনি আন্দোলন করতে পারবেন; যেমন ইমরান এইচ সরকার করলো ৬ মাস ধরে শাহবাগ অচল করে রেখে; আর পারবেন আমার প্রাণপ্রিয় সংগঠন দেশরক্ষার মহামন্ত্রে যারা এখন মেলেটারির বাপ সেই ছাত্রলীগের পক্ষে; এখানে কোন ন্যায়-অন্যায় দেখাদেখির বালাই নেই..!! সবচেয়ে বড় কথা হলো জাতির বিবেক সেইসব তথাকথিত (ধ্বজভঙ্গ লোভী দলকানা ভানধরা তোষামুদে বুদ্ধিজীবি) শিক্ষিত বয়স্ক পিতৃতুল্যরা আর এখন বাণী দেয় না; প্রতিবাদ করে না;
.............. মাইরের উপর ওষুধ নেই- এই অমোঘ বাণীটা বিশ্বের দরবারে আমরা দাঁড় করাবোই..