somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"জনতার সাথে জননেতা" পরীক্ষামূলক ষষ্ঠ ব্লগ ফিল্ম

১৪ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা অধিকাংশই সাধারন জনগনের সাথে সম্পৃক্ত না। তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতেই ব্যাস্ত থাকে। শুধুমাত্র ভোটের মৌশুমে তাদের চাঁদমুখ দেখা যায়। নির্বাচিত হলে তারা হয়ে যান আমাবষ্যার চাঁদ। তাদের নির্বাচনী এলাকাতেও বেশি পাওয়া যায় না। বর্তমান জাতীয় রাজনীতিতে অধিকাংশ নেতাই চল্লিশোর্ধ। তাদের চিন্তা চেতনাও প্রাচীন। তরুন শিক্ষিত দেশপ্রেমীক নেতৃত্ব সেভাবে উঠে আসছে না।
আজ আমি এমনই এক তরুন, উচ্চশিক্ষিত, দেশপ্রেমীক, জনসেবক, সচেতন ও সাহসী নেতার কথা বলবো। তিনি গাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
জন্ম খুলনা শহরে। বেড়ে ওঠা ও পড়াশুনা খুলনা ও ঢাকায়। ঢাকা কলেজ থেকে অনার্স ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম বি এ সম্পন্ন করেছেন। ধনাঢ্য ব্যবসায়ী পরিবারের একমাত্র ছেলে। ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করে একপর্যায়ে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক হন। কিন্তু প্রচলিত খাইখাই রাজনীতির বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি বিদ্রোহ করেন। ৫ বছরের কমিটি ৭ বছর পার হওয়ার পরও তা ভেঙ্গে নতুন কমিটি হতে দিচ্ছিল না কিছু ছাত্র নেতা। তাছাড়া বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কার্যকলাপ তিনি মেনে নিতে পারেন নি। একপর্যায়ে উচ্চ পর্যায়ের নেতারা বাধ্য হয়েই কমিটি ভেঙ্গে দেন। মামুন গাজী বেড়াতে আসেন তার পৈত্রিক নিবাস পাইকগাছায়। শুরু হয় আরেক নতুন অধ্যায়।
খুলনা সদর থেকে প্রায় ৬০ কিমি দূরে পাইকগাছা।


কপোতাক্ষ, শিবসা, পশুর নদী ও অনেক বিল পরিবেষ্টিত এই জনপদ।



ঘেরে বাগদা চিংড়ি চাষই এলাকার জনগনের মূল জীবিকা।



মামুন গাজীরও ঘের আছে। অর্থৈনৈতিক সমস্যা তার নাই।


প্রতি কেজি বাগদা গড়ে ৫০০টাকা।



৫ দিনের জন্য বেড়াতে এসে যখন মামুন গাজী দেখলেন এলাকা বাসীর বিভিন্ন সমস্যা, রাজনৈতিক নেতাদের স্বেচ্ছাচারিতা, নানামূখি অনিয়ম- তিনি পাইকগাছায় রয়ে গেলেন। ধীরে ধীরে সাধারন জনগনের সাথে তৈরি করলেন অসাধারন এক সেতু বন্ধ।




সকাল তার ঘুম ভাঙ্গে কোন অসহায়ের আর্তি শুনে।


এলাকার তরুনদের একত্রিত করে তাদের সঠিক পথে চলার উতসাহ দেন। বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানে সহায়তা করেন। তরুনদের রাজনীতি সচেতন করেন।



বাড়ির অদূরের ছোট্ট নদীটি পেরিয়ে চলে আসেন পৌর এলাকায়।



নানাজনের সাথে কুশল বিনিময় হয়। স্থানীয় নেতা কর্মীদের সাথে আলাপ হয়।



এলাকার বনিক সমিতির সদস্য হিসেবে মামুন গাজী ব্যবসায়িদের জন্যও গুরুত্বপুর্ণ।



কোন ছোট ভাই বা বন্ধুকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন আশেপাশের গ্রামে। খোজ নেন লোকজনের সুবিধা অসুবিধার।





স্থানীয় কিছু নেতার অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলায় তার নিজ দলীয় অনেক নেতার কাছে তিনি অপছন্দের ব্যক্তি। যদিও বাহ্যত তাদের সাথে তার সুসম্পর্ক দেখা যায়।

সাংবাদিক মহলেও তার যথেষ্ট গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে। সত্য ও নির্ভিক সংবাদ ছাপাতে তিনি সাংবাদিকদের সাহস দেন। তিনি নিজেও “সাপ্তাহিক সুন্দরবন বার্তা” র একজন প্রতিনিধী।
সাধারন মানুষকে আইনি সহায়তা দেয়ার জন্য তিনি নিয়মিত আইনজীবি সমিতিতে যোগাযোগ রাখেন এবং তারাও তাকে সাদরেই বরন করে নেন।



উল্লেখ্য বাংলাদেশে একমাত্র পাইকগাছায় উপজেলা আদালত রয়েছে।

বিভিন্ন জনের বিষয় নিয়ে ভুক্তভোগীর পক্ষে তিনি নিয়মিত ইউ পি চেয়ারম্যানের সাথে দরবার করেন।




প্রয়োজনে স্থানীয় সাংসদের কাছেও এলাকাবাসীর অভাব অভিযোগের কথা তুলে ধরেন।



মজার বিষয় হচ্ছে, পুলিশ প্রশাসনেও তিনি বাঞ্চিত ব্যক্তি। সঠিক ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় পুলিশকে তিনি নানা ভাবে সহায়তা করেন।



অবিচার দেখলেই তিনি জনগনকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এভাবে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে কিছুটা দূরবর্তি অঞ্চলেও।




ছুটে চলেন তিনি। অন্যায়ের সাথে আপোষহীন মামুন গাজী প্রলভনের কাছে হার মানে না। হুমকি ধামিকিকে পরোয়া করে না।



চলার পথেই মানুষজন তাকে তাদের কথা জানান, কেউ পরামর্শ দেন কেউ নিমন্ত্রন করেন।



কৃষকদের নানাভাবে সহায়তা করেন। তাদের খোঁজ খবর রাখেন।



ছুটে যান সুন্দরী কাঠ পাচারকারী অথবা মাদক ব্যবসায়িদের ধাওয়া দিতে।



কপোতাক্ষ নদ বাচানোর জন্য জনগনকে আন্দোলন শুরু করেছেন।





বি এন পির নেতা কর্মীদের সাথেও তার মোটামুটি সম্পর্ক আছে কিন্তু কামাত শিবিরের কারো সাথে এক দোকানে বসে চা খেতেও আপত্তি আছে তার। পাইকগাছায় জামাত শিবির মাথা তুলতে পারে না।

এটা শিবসা সেতু। ভি আই পি কাউকে দিয়ে উদ্বোধন করানোর জন্য নির্মান শেষ হলেও তা জনগনের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছিল না। জনগনের ভোগান্তির শেষ ছিল না।


মামুন গাজী এলাকার লোকজনকে ঐক্যবদ্ধ করে উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাংসদকে বাধ্যকরেছেন উদ্বোধন না করেই সেতুটি খুলে দিতে।


এভাবেই চলছে তার নিত্য দিন। চলছে তার অবিরাম ছুটে চলা।



তিনি সামহোয়ারইন ব্লগের একজন ব্লগারও। স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পরও এদেশের মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ না হওয়ার তার নামের শেষে যুক্ত করেছেন "হতভাগা"। তিনি ব্লগার

মামুন হতভাগা




সাধারন জনগন তাদের প্রতিনিধি হিসেবে, তাদের নেতা হিসেবে, তাদের পক্ষে কথা বলার জন্য মামুন হতভাগাকে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে কামনা করে।








বিঃদ্রঃ আমাকে কষ্ট করে সেট করে শ্যুটিং করতে হয় নাই। তার সাথে ঘুরতে ঘুরতেই আমি আমার ছবিগুলো নিয়েছি।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুন, ২০১২ সকাল ১১:২৩
১২১টি মন্তব্য ১২১টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×