ভাল লাগা মুহূতগুলো কেমন করে শেষ হয়ে যায়। মনে পড়ে সেই ছোট্টবেলায় বাবার হাত ধরে প্রথম স্কুলে যাওয়া......................বিকেলে বন্ধুদের সাথে খেলা। স্কুলের মাঠটা বিশাল বড় ছিল, মাঠের প্রান্তে ছিল পাহাড়, স্কুলটা ছিল শহর ছাড়িয়ে অনেকটা দূরে।
সেইসব দিন এখন কেবল স্মৃতির পাতায়। রোজা রাখার একটা প্রতিযোগিতা ছিল, কার চাইতে কে বেশি রাখতে পারে। স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার চাইতে আনন্দের আর কি ছিল! শীতের সময় গ্রামে বেড়াতে যাওয়া, ঘাসের উপর শিশির বিন্দু আর তার উপর সকালের মিষ্টি রোদ পড়তেই নিমিষে শেষ হয়ে যাওয়া। শীতের হলুদ সরষে ক্ষেত মনে হয় এত অদ্ভূত সৌন্দর্য বুঝি আর কিছুতে নেই।
মনে পরে ভোর বেলা শিউলী ফুল তোলা, ভোরবেলাটুকুতেই তার সকল সৌন্দর্য, একটু বেলা বাড়তেই শেষ। বকুল ফুলে পুকুড় পারটা ছেয়ে থাকত, মালা গেথে সাথে নিয়ে আসতাম, সেই সময়টা মনে করতাম মালাটা দেখে।
শীতের কতরকম পিঠা তৈরী করতেন দাদী, বার বার ডাকতেন খেয়ে নেয়ার জন্য, আজ আর তেমন করে ডাকার মানুষ নেই। বাড়ীর পূর্বদিকের উঠানে ছিল কামিনী ফুলের গাছ। রাতের বেলা সেই উঠানের কোনটা সাদা ফুলে বিছানো থাকত, মিষ্টি একটা সুবাস আচ্ছন্ন করে রাখত। বেলী, গন্ধরাজ, গোলাপ ফুলে বাগানটা সবসময় সতেজ থাকত, একটা শুধু গোলাপ বাগান ছিল, আরো কতরকমের গাছ। আজ সেই বাগান তার শ্রী হারাতে চলেছে কারন তার সেই যত্নের মানুষটি নেই।
শৈশবের অজস্র ভালোলাগা স্মৃতির মধ্যে এক টুকরো স্মৃতি। এখন আর দাদা দাদী নেই, গ্রামে যাই না অনেক দিন। কেউ আর এখন অপেক্ষায় পথ চেয়ে থাকে না যে পরীক্ষা শেষ হলে অথবা শীতের পিঠা আর গ্রীষ্মের আম কাঁঠাল খেতে যাব।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩৪