somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অস্থির সময়ের সংলাপ

২৫ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক.

সেই দিন গুলো ছিলো জীবনের নতুন গান গাওয়ার দিন, বললে ভুল হলো বুঝি। নতুন গান শুরু করার দিন.....সা..রে ......গা .....মা.......পা...........একটু একটু করে নতুন গান তোলা। ভুল হতে হতে এক সময় জীবনের সুরটাকে ধরে ফেলা।
ওফ! কি অসহ্য আনন্দের দিন।

কাগজে কলমে নয় জীবনের ছক বাধাঁ রুটিন ছিলো মন-মননে। ভোরে সবার জেগে ওঠার আগেই ওঠতাম। সকাল হওয়া আর আমার জীবনের নতুন সূর্য একসাথে পাল্লা দিয়ে উঠতে থাকলো।


দুই.

হঠাৎ করে বাসা বদল। পরিবেশের সাথে সাথে জীবনেরও খানিকটা বদল।
কখনো নির্ঘুম রাতের কল্যাণে ভোর হওয়া দেখা। কালচে আধাঁর থেকে সোনালি সকাল দেখা। কি অদ্ভূত সেই রং।
প্রতিটি রাতের কালো আধাঁর সোনালি সকালে এসে শেষ হয়। আর আমার জীবন থেকে কোন এক অজানা শঙ্কায় সোনালি সকাল থেকে ঘুটঘুটে কালোর দিকে ধাবিত হয়।

তিন.

জানিনা কি করে কেমন করে লাগাম ধরতে পেরেছিলাম। কোন অজানায় গিয়ে আবার নিজেকে ফিরিয়ে আনলাম।

জীবনের চারপাশটা মলিন বাগান। যেখানে পাতা ঝরার উৎসব চলছে।
চোখের জলে বারিষণে নব পল্লব মলিন বাগানে একটু একটু করে প্রাণের সঞ্চার করলো হয়তো বা! রঙিন প্রজাপতির খেলা!

চার.

হয়ত পারবো। হবে নাইবা কেন?
এক অদ্ভূত বিশ্বাস কে জন্ম দিয়েছিলো আমার বুকের ভেতর!
সে আমার গর্ভধারিণী মা।

বুকের ভেতর নিরন্তর ঝরণা ধারার ধ্বণি শুনতে পাই, কি সে কলকল ধ্বণি! ছন্দ হারিয়ে যাওয়া কবিতারা ছন্দ ফিরে পেল। নীর হারা পাখি ফিরে এলো।
তাল কেটে যাওয়া সুর নতুন করে শুরু হলো নির্ভুল ছন্দে গতিতে।

এমনি করে বছর খানেক।

পাচঁ.

বিশাল এক সেতু পারি দিয়ে জীবনের কাছে পৌঁছা। সে কি বিশাল আনন্দ!
পথ হারানো পথিক কেবল জানে।

ছয়.
ছন্দ হীন জীবনের নতুন ছন্দ নতুন সুর নতুন গান।
এলোমেলো ভাবনায়। উন্মাতাল আনন্দে দিন কেটে যায়, সেই সাথে ক্যালেন্ডারের চব্বিশ ছত্রিশটি পাতা বদলে যায়।

নিজের কাছে আজ নিজেকে বড় অচেনা মনে হয়।
সাফল্যের দোর গোড়ায় দাঁড়িয়ে আজ দুঃখ কষ্টকে তিরস্কার করতে খুব ভালো লাগে।

সাত.

নিজের স্বপ্নলোকের চাবি কারো হাতে তুলে দিয়ে নিজেকে হারানো। আবার হারিয়ে যাওয়া।

গহীনে গিয়ে আবার পশ্চাৎগামী।

কি এক নির্ভুল জীবনের ছন্দ! বিধাতার গড়ে দেওয়া। এক আজব কারিগরের হাতে তৈরি দুনিয়া, তার কোথাও কোন ভুল নেই।

নিয়তি এমনি করেই নিয়ে চলল কোন সে অজানার পথে আজও জানি না।

বন্ধুর পথে চলেছি হেটেঁ কতটা সময় গেছে হিসেব মেলাতে পারি না যে!

আট.
অসম্পূর্ণ জীবন স্বস্তি দেয় না কিছুতেই।
প্রকৃতি শূণ্যতা মোটেই পছন্দ করে না।
শূণ্যস্থান পূরণের কি বিশাল যজ্ঞ!!!

চাওয়া=পাওয়া হিসেব কষতে কষতে ধূসর রঙে জীবনের ক্যানভাস আকিঁয়ে অনভ্যস্ত হাতে একটা পর একটা স্বপ্নকে খুন করা।
স্ফুলিঙ্গের মতন স্বপ্নেরা আমার ঘিরে রাখে।


ওফ!! কি অসহ্য!! স্বপ্নের নিদারুণ হাতছানি থেকে কেউ আমায় মুক্তি দাও।

আমার স্বপ্ন গুলো এত সত্যি হয় কিভাবে????

জীবনটা একটা গোলক ধাঁধাঁ। কিসে মিলবে শান্তির সারল্যমাখা ধূলোমাখা একটি সহজ জীবনের পথ.........।



উৎসর্গঃ প্রিয় বন্ধু সুপান্থ সুরাহী।
(সুপান্থের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তার জন্য আজ লিখতে বসা। কিছু কিছু মানুষ থাকে যারা এমন মায়ার জালে জড়িয় ফেলে চাইলেই সেখান থেকে বের হওয়া যায় না।)

সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮
৫২টি মন্তব্য ৫২টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×