সম্প্রতি জাহান্নামের
টিকিট কনফার্ম করা
নাস্তিক ওয়াশিকুরের
বোন বলেছে

"বুঝছি, আমার ভাই ধর্মের বিরুদ্ধে খারাপ কিছু লিখছে। তাই বলে তার মৃত্যূদন্ড হবে?
সে খারাপ কিছু লিখে
থাকলে পরকালে আল্লাহ তার বিচার করবে, পৃথিবীতে ওরা মৃত্যূদন্ড দেয়ার কে?"

আমি বলি কি- আসো,
আমরা সবাই মিলে
তোমাকে গণধর্ষণ করি। তারপর দেখবো তুমি আল্লাহর কাছে বিচারের ভার ছেড়ে দাও, নাকি মানুষের বানানো আইন-
আদালতের দ্বারস্থ হও। ওয়াশিকুরের বোনের খোড়া যুক্তির জবাবে আমজনতার পক্ষ থেকে আরো নানা-প্রকারের
আইক্কাওয়ালা বাঁশ দেয়া হয়েছে!!

যেমন-
১। যারা আপনার ভাইকে হত্যা করেছে তাদের শাস্তি পরকালে আল্লাহ
করবেন, সরকার কেন
ঐ মাদ্রাসা ছাত্রগুলোকে আটক করলো?

২। সরকারকে বলুন
আটককৃত জামায়াত
নেতাদের ছেড়ে দিতে।
তারা যদি কোন অপরাধ
করে থাকে- তাহলে সেই
বিচার আল্লাহ করবে।

৩। কাদের মোল্লাকে কেন ফাঁসি দেয়া হল? সে যদি
অন্যায় করে থাকে
তাহলে তার বিচার তো
পরকালে আল্লাহ
করবেন।

৪। তোরা তো আল্লাহ
বলে কাউকে মানিস
না। তাহলে এখন কেন
বিচারের ভার আল্লাহর উপর ছেড়ে দিতে বলছিস? তোরা যেহেতু আল্লাহ মানিস না, সুতরাং তোদের বিচার আমরাই
করবো..

৫। আল্লাহ বিচার করবেন, তাহলে দেশে এত আইন-
আদালত কেন?

ওয়াশিকুরের বোনের
বক্তব্য প্রচার করে
নাস্তিকপন্থী বিবিসি- বাংলা
সাধারন মানুষের মনে
নাস্তিকদের প্রতি
সহানুভূতি জাগানোর
অপচেষ্টা চালালেও
পাবলিক এখন অনেক
সচেতন। যার প্রমান
বিবিসির ঐ স্ট্যাটাসে
হাজার হাজার পাঠকের
মন্তব্য। ৯৯% মন্তব্যকারী
ওয়াশিকুরকে হত্যা
করার পক্ষে সমর্থন
ব্যক্ত করেছেন।
বিবিসির স্ট্যাটাসের
সমালোচনা করে তারা লিখেছেন-
আপনার মাকে নিয়ে
কেউ যদি ইন্টারনেটে অশ্লীল-নোংরা কথা ও কার্টুন সারা বিশ্বে
ছড়িয়ে দেয় তাহলে
আপনার রক্ত কি ঠান্ডা থাকবে? তখনও কি বলবেন- ওদেরকে
নিরাপত্তা দেয়া হোক?
আপনি যদি আপনার
মায়ের অপমান সহ্য
করতে না পারেন তাহলে প্রকৃত ঈমানদাররা আল্লাহ ও রাসূলের অপমান সহ্য
করবে এটা কিভাবে
আশা করেন? আপনারা
কেন আওয়াজ তুলছেন
না- ধর্মবিরোধী লেখালেখি নিষিদ্ধ করা হোক?