একটা দেশের মন্ত্রী যখন কোন যোগাযোগ মাধ্যমের মালিকের পেছনের আসনে বসে নিজেকে গর্বিত মনে করে তাকে আপনি কি বলবেন? আবার নির্লজ্জভাবে ছবি তুলে তা প্রকাশ করে।
আমাদের স্মমানিত! পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জনাব শাহরিয়ার আলম এমনই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। মার্ক জোকারবার্গের পেছনের চ্যায়ারে বসতে পারার গর্বে তিনি এখন গর্ববতি।
শাহরুখ খানের অনুষ্ঠানে আওয়ামী বলদ মন্ত্রীগুলো গিয়ে কি করেছিল সেটাত সবাই দেখেছেন। সে কথা আর না বলি।
রানা প্লাজা ধসের পর একটি আন্তর্জাতিক নিউজ চ্যানেল আমাদের প্রধান মন্ত্রীর ইন্টার্ভিউ নিতে আসে। ১৫ মিনিটের সেই ইন্টার্ভিউ দিতে প্রধানমন্ত্রী প্রায় সারে ৩ ঘন্টা মেকাপরুমে ব্যয় করেছিলেন। যদিও এটা একটা মর্মষ্পর্ষী ঘটনা, তার পরেও মেকাপ তাকে নিতেই হবে।
এই হল আমাদের আপাদমস্তক মন্ত্রীসভার হাল হকীকত। আর এমনি পুড়া কপাল যে, এমন পাগল ছাগল মন্ত্রি কেবল আমাদের ভাগ্যেই ঝুটেছে।
জ্ঞানিজনেরা বলেন, যখন কোনো জাতি তাদের পদমর্যাদা ভুলে যায় এবং আত্মসম্মান হারিয়ে ফেলে, সেই জাতির ধ্বংস অনিবার্য।
তবে কি আমাদের ধ্বংস অনিবার্য?
এগুলো কি ধ্বংসের পথে আরো একধাপ এগিয়ে যাওয়ার নিদর্শন?