যায়যায় দিনে পড়া এই আর্টিকেলটি বেশ মজা লাগলো। এখানে দিলাম:
এই যে মেয়ে তোমাকেই বলছি...
বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ মানুষের মজ্জাগত। এই আকর্ষণ যতোটা না আরোপিত তার চেয়ে বেশি সহজাত। মেয়েরা নাকি সবকিছু একটু বাড়িয়ে বাড়িয়েই করে। ওদের ব্যাপারটা তাই বেশির ভাগই হয়ে যায় আরোপিত। মেয়েদের সম্পর্কে এই অভিযোগটা অবশ্য অনেক ছেলেই করে। তাই বলে সবাই নিশ্চয়ই এক রকম হবে না। কারও সবকিছুই হতে পারে স্বাভাবিক। আমরা সেই বিশেষ মানুষ বা পারফেকশনিস্টদের দিকে যাচ্ছি না। আমাদের ঘাটাঘাটি সাধারণ ছেলেমেয়েদের নিয়েই। চলো দেখে নেয়া যাক মেয়েদের কোন আচরণগুলো ছেলেদের মনে প্রায়ই বিরক্তির উদ্রেক করে। অন্যভাবে বলা যায়, মেয়েরা হয়তো আচরণগুলো স্বাভাবিক ভেবেই করছে। ছেলেদের চোখে সেগুলো হয়ে যাচ্ছে অস্বাভাবিক। অথবা মেয়েরা ভাবছে ছেলেরা তাদের এই আচরণগুলোই পছন্দ করবে। তবে কার্যক্ষেত্রে হচ্ছে ঠিক তার উল্টো ফল। এ লেখাটি বিশেষভাবে মেয়েদের জন্য উত্সর্গীকৃত। লিখেছে নুসরাত দিপ্তি
ফোন মানেই প্রেম নিবেদন নয়
সমবয়সী একটা ছেলে তোমাকে ফোন করেছে। তার মানে কিন্তু এই নয়, সে তোমাকে পছন্দ করে বা তোমাকে তার গার্লফ্রেন্ড বানাতে চায়। অনেক ছেলেই অভিযোগ করে, কোনো মেয়েকে একবার ফোন
করলে পরের দিন থেকেই তার আচরণ বদলে যায়। সে ভাবতে শুরু করে ছেলেটা তার প্রতি আগ্রহী বা তাকে প্রপোজ করতে চায়। এটা অবশ্য পুরোপুরি ছেলেদেরই অভিযোগ। তাই কোনো ছেলে তোমাকে নিয়মিত ফোন করলেই ও রকম ধারণা করে বসো না, ছেলেরা কিন্তু এমনি এমনিও ফোন করে। এটা ছেলেদের স্বভাব।
ভারী মেকআপ পরিত্যাজ্য
যদি কেউ ছেলেদের অপছন্দের তালিকায় নাম ওঠাতে চাও তাহলে বেশি বেশি করে মেকআপ করো। কারণ মেকআপটা যদি হয় ছেলেদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য, তাহলে তোমার ধারণাটা ভুল। বেশির ভাগ ছেলেই মেয়েদের স্বাভাবিক সৌন্দর্যটাকেই পছন্দ করে। অবশ্য নিজের কাছে নিজেকে সুন্দর লাগলে ছেলেদের কথায় কি যায় আসে।
ন্যাকামি বা অতি উচ্ছ্বাস ভালো নয়
মেয়েরা অল্পতেই বেশি লাফালাফি করে। হাসেও বেশি, কাদেও বেশি। তাই ব্যাপারটা স্বাভাবিকের পর্যায়ে থাকে না। ন্যাকামি হয়ে যায়। একই দৃশ্য দেখে ছেলেরা যদি বলে- উ, মেয়েরা বলে ওয়াও। আর এসবই মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা। এগুলো অবশ্য ছেলেদের পর্যবেক্ষণ। মেয়েরা ইচ্ছা হলে আমলে নিতে পারো, ইচ্ছা না হলে ফেলে দিতে পারো ডাস্ট বক্সে, ব্যাপারগুলো ঘটাতে পারো আরো বেশি করে। ছেলেরা বিরক্ত হয় হোক না, তাতে তোমার কি?
কানাকানি আর চিরকূট লেখা বদ অভ্যাস
ক্লাসে মেয়েগুলো প্রায়ই বিরক্ত করে। একটা ছেলের দিকে তাকিয়ে যখন তারা কানাকানি করে তখন ছেলেটা ভাবতেই পারে যে ওকে নিয়েই কথা হচ্ছে। আর সেটা নিশ্চয়ই খুব খারাপ একটা কথা। ক্লাসে কাউকে কিছু বলতে ইচ্ছা করলে মেয়েরা কখনোই মুখে বলবে না। সব সময় চিরকূট লিখতে, পরচর্চা আর পরনিন্দা তো যেন ওদের অলঙ্কার। অভিযোগগুলো সত্যি নাকি? সত্যি-মিথ্যা যা-ই হোক তুমি কি করবে সেটা তোমাকেই খুজে বের করতে হবে।
ছেলেদের গেটআপ নিয়ে বাড়াবাড়ি ভালো নয়। এই ছেলেটার চুল কেমন, ওই ছেলেটার গাল কেমন, সেই ছেলেটার হাসি কেমন- মোট কথা ছেলেদের গেটআপ নিয়ে মেয়েরা নাকি বেশি বেশি মাতামাতি করে। ছেলেদের দৃষ্টিতে এসবের কোনো অর্থ নেই। অর্থাত্ মানুষটা ভালো হলেই তো হলো, গেটআপে কি যায় আসে? মেয়েরা বলতেই পারো, আমাদের ইচ্ছা আমরা করবো, তোমাদের কথায় দুনিয়া চলবে নাকি?
অসুস্থতার জন্য ছেলেরা দায়ী নয়
মাসের একটা বিশেষ সময়ে মেয়েরা যেন ছেলেদের সহ্যই করতে পারে না। ভাবটা এমন করে যেন ওদের অসুস্থতার জন্য দায়ী ছেলেরাই। আরে বাবা, অসুস্থ হলে বেশি করে ঘুমাও, অনেক পানি খাও আর বারবার গোসল করো। ছেলেদের পেছনে লাগা কেন? মেয়েরা অবশ্য মানতেই চায় না ব্যাপারটা। তাই তারা বলতেই পারে, ব্যাপারটা কি আমরা করি, নাকি তোমরাই আমাদের আশপাশে ঘুরঘুর করে মেজাজটা বিগড়ে দাও?
ফ্যাশন আর উগ্রতা কিন্তু এক জিনিস নয়
পাশ্চাত্য বা প্রাচ্য সব জায়গাতেই ছেলেদের ওপর গবেষণা চালিয়ে পাওয়া গেছে মজার তথ্য। গড়পড়তা ছেলেরা মেয়েদের ফ্যাশন পছন্দ করে তবে উগ্রতা নয়। অর্থাত্ আজকালকার মেয়েরা যে টাইট ফিটস পরে তা অনেক ভালো ছেলেই ভালোভাবে নেয় না। ছেলেরা প্রায়ই বলে, তোমরা ও রকম ড্রেস পরে বের হতে পারবে আর আমরা তাকালেই দোষ? এ কথা শুনে মেয়েরা রেগে যেতেই পারো, বলতে পারো, আমাদের যা খুশি তাই পরবো, তোমাদের তাতে কি?
সব সময় হৈ-হল্লা ভালো নয়
ছেলেরা কিন্তু একটু অন্য রকম মেয়েদের গার্লফ্রেন্ড হিসেবে বেশি পছন্দ করে। বিশেষ করে শান্ত, সৌম্য, শালীন, হাসিখুশি মেয়েদের প্রতিই তাদের বেশি আকর্ষণ, সব সময় হইচই আর হট্টগোল করে বেড়ানো মেয়েদের প্রতি ওদের ঝোকটা একটু কম। কথাটা শুনে মেয়েরা দিতে পারো পাল্টা জবাব। আমাদের ঘরের মধ্যে বন্দী করে রাখার, শোকেসে সাজানোর আর মনের মতো ব্যবহার করার কতো শখ!
সরাসরি বলো, ভনিতা নয়
কোনো ছেলে একটা মেয়ের প্রতি আকৃষ্ট হলো। মেয়েটা যদি সেটা বুঝতে পারে তাহলে আর রক্ষা নেই। ছেলেটাকে আঙুলের ডগায় নাচাবে। অনেক মেয়ে আবার এর চেয়ে ভালো প্রার্থী খোজে। অর্থাত্ এটাতো আছেই, এর চেয়ে ভালো পেলে দোষ কি? এই আদিখ্যেতা কিন্তু ছেলেদের একদমই পছন্দ নয়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।

