Full time Somalochona Party
Click This Link
মহান সৃষ্টকর্তার নিকট অজস্র শুকরিয়া শেষ পর্যন্ত জনাব এবি সিদ্দিককে প্রায় অক্ষত অবস্থায় ফিরে পাওয়া গেল।
কিন্তু এই আনন্দের মাঝে অনেকগুলো রহস্য ও সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় অনিরাপত্তার ছায়া বার বার ঘুরে ফিরে আসে।
মূল প্রসঙ্গে আসার আগে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সেই মিডিয়া কাঁপানো উদ্ধৃতির প্রসঙ্গে না আসলেই নয়।
৬ এপ্রিল প্রেস ক্লাবের নাগরিক ঐক্যের এক গোল টেবিল বৈঠকে কলামিষ্ট জনাব সৈয়দ আবুল মকসুদ বললেন 'আমরা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে জেলে যেতে রাজি আছি' তিনি অবশ্য এর আগে অনেকবার নাগরিক ঔক্যের বিভিন্ন সভায় একই উক্তি করেছেন।
এরপর নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক জনাব মাহমুদুর রহমান মান্না জবাবে বললেন ' মাকসুদ ভাই প্রায়ই সরকার ও বিরোধীদলের সমালোচনা করে এমন উক্তি করেন কিন্তু আমার কাছে আশ্চর্য লাগে তিনি এখনও আমাদের সাথে বৈঠক করেন কিভাবে?'
একটু পরের বক্তৃতায় পরিবেশ আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান তার মিডিয়া কাঁপানো সাহসী বক্তৃতায় বলেন, 'হাওয়া ভবনের ভবনটি নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নাই, প্রশ্ন হল ভবন না থাকলেও কি হাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে কিনা? যদি হাওয়াই থেকে যায় তাহলে সরকার পরিবর্তন করে লাভ কি?'
আমাদের প্রশ্ন , তাহলে কি সেই হাওয়ার আছ এখন সবার কাছে পৌঁছতে শুরু করেছে? নাকি অন্য কিছু? আসুন জনাব এবি সিদ্দিক এর গুমের কিছু বিষয় যুক্তির ছাঁচে ফেলানোর চেষ্টা করিঃ
১. তিনি গুম হবার পিছনে কি কি কারন থাকতে পারে?
* এ বিষয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বার বার একই কথা বলে আসছেন তার সাংগঠনিক কারনে জনাব ছিদ্দিক গুম হতে পারে।
২. এই গুমে কি টাকা আদায় সমপর্কিত কোন ব্যাপার জড়িত?
* সৈয়দা রিজওয়ানা ও তার স্বামী উভয়ের বিবৃতিতে এই ব্যাপারটা একচেটিয়াভাবে অস্বীকার করা হয়েছে।
৩. যার উপর ক্ষোভ (সৈয়দা রিজওয়ানা) তাকে গুম না করে তার স্বামীকে করা হল কেন?
* ইলিয়াস আলীর ক্ষেত্রে দেখছি তাকেই গুম করা হয়েছিল। কিন্তো এক্ষেত্রে তার স্বামীকে গুম করা হল। এটা কি একটা প্রাথমিক হুশীয়ারী বহন করে নাকি অন্য কিছু তা এখনও পরিষ্কার নয়।
৪. তাকে ছেড়ে দেওয়া হল কেন?
* প্রধমিকভাবে এ কৃতিত্ব অনেক কে দেওয়া যায়। সরকার, বিরোধীদল, মিডিয়া, প্রশাসন, নাগরিক সমাজ সর্বপরি জনাবা সৈয়দা রিজওয়ানা কে। সবার নিরঙ্কুশ সচেতনতা, চেষ্টা, আইনগত চাপ।
* তাছাড়া এটা যদি নিছক হুশিয়ারী হয়ে থাকে তাহলে তাকে আটকে রেখে তো লাভ নাই।
* এটা হতে পারে একটা পরীক্ষামূলক গুম। ফাইনাল একশনের আগে একটু রিহার্সেল করে নেওয়া।
* এমন হতে পারে নাগরিক সমাজ বর্তমানে কতটুকু সচেতন তারও একটা এসিড টেষ্ট।
* নাগরিক সমাজের যে সকল লোক বর্তমানে জনসমুক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোকে তুলো-ধুনো করছে তার একটা প্রাথমিক জবাবও হতে পারে।
৫. ছেড়ে দেওয়ার সময় হাতে ৩০০টাকা দিয়ে যাওয়ার মানে কি?
* এ থেকে এটুকু অনন্ত প্রমানিত। গুমকারী ব্যাক্তি/ব্যাক্তিবর্গ বা জড়িত লোকজন কোন নিচু শ্রেনীর লোক নন। তাদের গায়ে ভদ্র সমাজের সকল লেবাস-ই আছে।
৬. কার্যত পুলিশের নেওয়া পদক্ষেপ ছিল কতটুকু?
* যখন তিনি পুলিশের হাতে ধরা পরলেন তখন সেই পুলিশ তাকে চিনতেই পারেনি। তাছাড়া তিনি ছাড়া পেয়ে এতদূর চলে আসলেন তার মাঝে পুলিশ তাকে সনাক্ত করতে পারে নি। তাহলে কার্যত ঢাকা শহরে তাকে খুঁজে বের করার মত পুলিশি পদক্ষেপের কোন আভাস পাওয়া যায় না।
Click This Link