Click This Link
মোদী বিজেপি)এর নিরঙ্কুশ বিজয় স্পষ্টতঃই জানান দেয় খুব শীঘ্রই বাংলাদেশেও এমনি কোন ধর্মীয় গোড়ামীর দল ক্ষমতায় আসতেছে। আর এর জন্য দায়ী থাকবেন একমাত্র শেখ হাসিনা
মনে রাখতে হবে আমাদের এ দেশে সুশীল সমাজ ধর্ম নিরপেক্ষ বুলি আওড়ানো লোকজন হল হাতে গোনা কয়েকজন। যাদের সংখ্যা হয়ত এক টেবিলে বসে গুনে বলে দেয়া যেতে পারে। তাছাড়া বেশির ভাগ লোকই হল অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত অথবা উচ্চ শিক্ষিত কিন্তু কোন না কোন ধর্মীয় গোড়ামীর জালে বন্দী।
একটা পরীক্ষার কথা কল্পনা করুনঃ
ধরুন বাংলাদেশে কোন প্রকার রাজনৈতিক সহিংসতা বা বাঁধা নাই। জামাত বা অন্য দলের কোন উচ্চ পদস্ত নেতা বা কর্মী জেলে নাই এমনকি জেলে যাবার আশংকা নাই।
এমতাবস্থায় একটা প্রতিযোগীতা হল, প্রত্যেক দলে দলীয় প্রধান সহরাওয়ার্দী উদ্যানে বকৃতা দিবেন।
১ম দিন: শেখ হাসিনাঃ দেখা গেল ১লক্ষ মানুষ আসল। যার মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা, মিডিয়া কর্মী মিলে অর্ধেক লোকজন। বাকি অর্ধেক লোকজন হল অশিক্ষিত বা স্কুল কলেজগামী লোকজন যাদের বিভিন্ন অংকের টাকা ও ভরপুর খাবারের বিনিময়ে সংগ্রহ করা হল।
২য় দিন: খালেদা জিয়াঃ দেখা গেল ১লাখ লোক আসল যার চিত্রও উপরের মত অর্থাৎ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা, মিডিয়া কর্মী মিলে অর্ধেক লোকজন। বাকি অর্ধেক লোকজন হল অশিক্ষিত বা স্কুল কলেজগামী লোকজন যাদের বিভিন্ন অংকের টাকা ও ভরপুর খাবারের বিনিময়ে সংগ্রহ করা হল।
৩য় দিন: এরশাদঃ তিনি নিজে, কেন্দ্রীয় কমিটির লোকজন জনা বিশেক, মিডিয়ার লোকজন শতেক খানেক, অনেক টাকা ও খাবারের বিনিময়ে হাজার খানেক বস্তিবাসী, পুলীশ শ'দুয়েক অর্থাৎ হাজার খানেক লোক দেখা গেল।
৪র্থ দিন: ইনু সাহেবঃ তিনি নিজে, পুলিশ জনা পঞ্চাশ, মিডিয়া কর্মী জনা বিশেক।
৫ম দিন: সাইদী সাহেবঃ আশা করি পাঠকমাত্র নিরপেক্ষ জায়গা থেকে কল্পনা করুন সেই লোকের পরিমান কত হতে? এমনকি সেটা দেশের সকল জন সমাবেশের ইতিহাসকে ভেঙ্গে দিতে পারে।
আমি এখানে জামাতের গুনগান করতে সময় নষ্ট করতেছি না। বরং বাংলাদেশের মানুষের মাঝে ধর্মীয় অনুভূতির একটা মাপকাঠী তৈরী করতে চেয়েছি। এই ধর্মীয় দলটি যে জামাত-এ-ইসলাম কেই হতে হবে এমনটি নয়। আমরা দেখেছি হেফাজত-এ-ইসলাম এর সমাবেশে দেশের সাধরন মানুষের স্বতঃস্ফুর্ততা কতখানি ছিল। যদি উপজেলা নির্বাচন একটি সাজানো পুতুল খেলা না হয়ে সত্যিকার নির্বাচন হত তাহলে এর প্রমান আমরা পেতাম।
আমি খুঁজে দেখতে চেয়েছি এই ধর্মীয় দলগুলোর ইত্থ্যানে কারা দায়ীঃ
১. আওয়ামলীগ
২. বিএনপি
৩. দলগুলোর সাংগঠনিক স্বচ্ছতা ও সক্রিয়তা
৪. প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর উপর মানুষের বিতৃষ্ঞা
১. বিএনপির অবদানঃ জামাতের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়া, মন্ত্রনালয়ের ভাগ দেওয়া ও বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠির সাথে একীভূত হয়ে কাজ করাই তাদের অবদান
২. আওমীলীগের অবদানঃ কেন্দ্রীয় নেতকর্মীসহ মাঠ পর্যায়ের নেতারা সারাদিন তজবিহ্ এর মত জামাত-জামাত-জামাত করতে করতে জামাতকে আজ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তিতে পরিনত করছে সাধারন জন-মানুষের কাছে।
৩. দলগুলোর সাংগঠনিক স্বচ্ছতা ও সক্রিয়তাঃ এই ধরনের দলগুলোতে দেখা যায় দলীয় শৃঙ্খলা, সাংগঠনিক স্বচ্ছতা ও সাংগঠনিক সক্রিয়তা খুবই প্রবল। তিলে তিলে তারা সমাজের প্রত্যেকটি জায়গায় তাদের সুই ফুটিয়ে দিচ্ছে। যেমনঃ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জনসেবা, ব্যাংক, মিডিয়া প্রত্যেকটি জায়গায়।
৪. প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর উপর মানুষের বিতৃষ্ঞাঃ সর্বপরি যে কারনটি বলা যায় তা হলে মনুষের আজ প্রধান দুটি দলের উপর বুরক্তির চরমে পৌঁছুইছে।
Click This Link