somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কটু কথা : ০১

০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কটু কথা তবু বলতে ত হবেই? আজকে না বললে কালকে কেউ না কেউ বলবেই।

করোনাভাইরাস সংকটকালে যত গুলো গুজব সৃষ্টি হয়েছে তার অধিকাংশ ছিল ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে। প্রথম যখন চিনে ভাইরাসটি মহামারী আকারে দেখা দেয় বাংলাদেশের মুসলিমদের একটা কমন গুজব ছিল, এটা গজব হিসেবে চীনে আসছে, মুসলিমদের কিছু হবে না। যখন বাড়তে বাড়তে ইরানে আক্রমন করলো তখন প্রচারিত হল, ইরান শিয়া তাদের ওপরও গজব আসছ। মুসলিম দের গুজব জড়ানোর এতটা শক্তিশালী ছিল যে, যখন বলা হল মসজিদে নামাজ আদায় সীমিত করা হবে তখনও তারা এটা মানতে চাইলেন না। মুসলিমদের বিশ্বাস আল্লাহর প্রতি এটা ভালো কিন্তু অতিরঞ্জিত বিশ্বাস যে কাল হতে পারে তা প্রকাশ বাড্ডার ইমামের করোনা পজিটিভ, নরসিংদীর ইমামের করোনা পজিটিভ, এবার ভাবুন এদের সংস্পর্শে আসা বাকিরাও করোনা পজিটিভ হবে। আমি জানিনা, মুসলিম স্কলারা আসলে কিভাবে ইসলামকে মূল্যায়ন করে। শুধু যদি বিশ্বাসের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যেত তবে পরিশ্রম, সমাজ, রাষ্ট্র ব্যবস্থা সম্পর্কৃত ইসলামী আইন সমূহের সৃষ্টি হতো না।
এখন পর্যন্ত কতজন মুসলিম স্কলার, কিংবা কান্ট্রি করোনা ভাইরাসের বিষয় গবেষনা করছে এর প্রতিষেধ আবিষ্কারের জন্য, এক মসজিদে আল্লাহ আল্লাহ ডাকা ছাড়া। বাংলাদেশে ত দূরে থাক, পুরো বিশ্বে হিসেবে তা অতি নগন্যই হবে। বরং বড় বড় হুজুর আর কাট মোল্লা এবং সাপ্তাহিক মুসল্লিদে একটা বিরাট অংশ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অমুসলিম দের গবেষণা পত্রের খবর ফেসবুকে শেয়ার করে যাচ্ছে। মুসলিমদের দৌড় শেয়ার করা পর্যন্তই। সারাদিন অমুসলিমদের বিপক্ষে গীবত আর তাদের প্রতি আল্লাহ গজব বলে বেড়ানো কাট মোল্লারাই সেসব আল্লাহ কৃত গজব প্রাপ্তদের তৈরি কৃত ঔষুধের জন্য হা করে বসে আছে হাত পা গুটিয়ে।মুসলিমদের যেকোন বিষয়(রাজনৈতিক, অথর্নৈতিক, ধর্মীয়, যুদ্ধ, জিহাদ) হাত পা গুটিয়ে বসে থাকার জন্য কি আল্লাহ পক্ষ থেকে গজব আসতে পারে না? আমার ত মনে হয় করোনা মুসলিমদের জন্যও গজব। এবং শিক্ষা গ্রহনের এক অপার সুযোগ।
সারা দেশে হাজার হাজার মাদ্রাসা, অথচ এইসকল মাদ্রাসায় শুধু ধর্মীয় শিক্ষায় দেয়া হয়, বিজ্ঞানভিত্তিক, গবেষনা ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার কোন উদ্যোগ এসকল মাদ্রাসায় দেখা যায় না এক মুখস্ত কোরআনে হাফেজ বানানো ছাড়া।
ইতিহাস আমাদের কি বলে তাও দেখতে হবে, প্লেগ, কলেরা, পোলিও, ম্যালেরিয়া মহামরির সময়ও মুসলিমরা চেষ্টা না করে আল্লাহর ওপর ভরসা করে বসে ছিল, গবেষনা করার চিন্তাও করে নি। তখনও কি মুসলিমরা মারা যায় নি। আল্লাহর ওপর ভরসার পাশাপাশি যে বিপদ থেকে পরিত্রানের জন্য চেষ্টা করতে হবে তা এখনও অনেক কাট মোল্লারা বিশ্বাস করতে চায় না তাও যে একটা বড় ধরনের গোঁড়ামি তা নিজেরাও বুঝবে না এবং গ্রামের সহজ সরল মানুষদেরকেও বুঝতে দিবে না। এ কারণে গ্রাম গুলো এখনও সবচেয়ে ঝুঁকি তে আছে। অথচ মোল্লারা ইচ্ছে করলে বড় ধরণের গন সচেতনার মাধ্যম হতে পারত, তা না হয়ে তারাই যেন বড় বাঁধা।
আমাদের আবার নতুন করে ভাবতে হবে, শুধু গুজব ছড়ানো / সৃষ্টির জন্য মুসলিমদের জন্ম হয়নি।
২। দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে অার কি বলবো, এত এত দলীয় শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে, অন্তত বিপক্ষ দলের চেয়ে এগিয়ে থাকার জন্য হলেও ত কিছু গবেষণা পত্র বের হতে পারত।
৩। দেশের এই দুর্যোগের সময় আবার প্রমান করলো দেশে শেখ হাছিনা না থাকলে, জনগন করোনা না, না খেয়েই মারা যেত আর অন্যদিকে চাউল চোরের চাউল ডুবে থাকত পুকুরে।
আমার মাথায় আসেনা, একজনের পক্ষে আর কত? ডাক্তারদের বিষয় কোন কথা হবে না? এদের স্বপ্ন করোনা শেষে লাখ লাখ টাকা কামানোর। এদের স্বপ্ন সত্যি হোক। সব রোগী মরে ভূত হোক। এদের দায়িত্ববোধ না আগে ছিল, আর করোনা সময়ও যে দায়িত্ব পালন করবে না তা অনুমেয়। আগে সরকারি চেম্বারের রোগী ভালো করে না দেখে বেসরকারীকে প্রমোট করেছে। আর এখন সরকারের পিপিই এর জন্য রোগী দেখতে এদের মানা। ভালো থাকুক সবাই। ভালো থাকুক আকাশ, ভালো থাকুক বাতাস। ডেকে উঠুক পাখিরা আবার।
stay home
Stay safe.
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×