শুধু মাত্র অসততার কাছে যখন ফেঁসে যাচ্ছে পরিকল্পনা
===================================
প্রথম দুইমাস যদি সততার সাথে বিমানবন্দরে চেকটা করা হত এবং সব প্রস্তুত আছে না বলে যদি সততার সাথে একটু রিচেক করা হত তবে অন্তত হসফিটালের ডাক্তার ও নার্সদের দীর্ঘ অাক্রান্তের লিস্ট হত না। ডাক্তাদের কাছ থেকে আরো ভালো মানের সেবা পাওয়া যেত।
২
ইস প্রথম লকডাউন টা যদি সঠিকভাবে মানা হত। অতি উৎসাহীরা যদি বাড়ি যাবার লড়াই এ না নামত তবে সত্যিই দেশটা আরো ভালো থাকত।
৩
প্রধানমন্ত্রী প্রথমে তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিলেন গার্মেন্টস সেক্টরে প্রণোদনা। চিন্তা করুন যদি সত্যিই গার্মেন্টস সেক্টরের প্রণোদনা সঠিকভাবে প্রয়োগ হত অর্থাৎ প্রণোদনার টাকা দিয়ে কর্মীদের বেতন ভাতা সম্পূর্ণ দেয়া হত এতে কর্মীরা বাড়িতে শান্তি মত চলতে পারত ফলে গার্মেন্টস কর্মীদের দুইবার করে ঢাকা শহরে আসতে হতো না এবং করোনা ঝুঁকি অন্তত এতটা প্রকোপ হতো না।
৪
সরকার চাউল দেবার মত বিশাল প্রকল্পটাও শুধুমাত্র নিচের দিকের নেতা কর্মীদের অসততার কারনে প্রশ্নবিদ্ধ।
৫
সরকারের আরেকটা পরিকল্পনাও ভেস্তে যাবার পথে, শুধু মাত্র নিচের দিকের কর্মী, নেতাদের অসততার কারছে। চিন্তা করুন সরকার পঞ্চাশ লক্ষ কর্মহীন পরিবারে সরাসরি টাকা দিতে যাচ্ছে। প্রতিমাসে অাড়াই হাজার করে। ধরুন গড়ে প্রতিটি পরিবারের লোকসংখ্যা ৩ জন। তবে এই সাহায্যের মাধ্যে দেশের প্রায় ৫০০০০০০*৩=১,৫০,০০,০০০ (১ কোটি ৫০ লক্ষ লোকের খাবারের ব্যবস্থা হবে) যা সত্যিই অবিস্মরণীয় । কিন্তু এটাও ভেস্তে যাচ্ছে শুধু মাত্র অসৎ চেয়ারম্যান মেম্বার, কর্মীদের কারনে। হায় ইস এটাও যদি বাস্তবায়ন হত সঠিক ভাবে তবে অন্তত এই বিশাল গোষ্ঠী সাময়িক শান্তিতে লকডাউন পালন করতে পারত এবং দেশে সংক্রমনের হার কিছুটা হলেও কমত।
সবপরিকল্পনা আজ অসততার কাছে এসে হেরে যাচ্ছে। অাসুন অন্তত এই সময় একটু সৎ হই। করোনা চলে গেলে অাবার তোরা অসৎ হইছ। আমি দেখও না দেখার ভান করবো তখন, কথা দিলাম।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



