somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জামাত বন্ধ মানেই কি জাতি কলঙ্কমুক্ত ?

০৩ রা জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জামাত বন্ধ করলেই যদি জাতি কলঙ্কমুক্ত হতো তবে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর যে বিজয় মিছিল করেছিলো সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা সেরুপভাবেই জাতির সাধারণ জনগণরা আজ বিজয় মিছিল করতো । এখানে শেখ হাসিনা জনগণ বলতে বোঝান শুধুই তাঁর দল এবং দলের নেতা কর্মীদেরকে ।
তাই জানগণ কথাটির সাথে সাধারণ কথাটি লাগিয়ে নিয়েছি । সরকার এতোটাই মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে জামাত শিবির বন্ধ করছে । আর আদৌ কি সমাজের জন্য এই দল দুটো আভিশাপস্বরুপ হয়ে দাঁড়িয়েছে ? নিশ্চয়ই না । যদি হ্যাঁ হতো তবে দেশে তাঁরা কখনই সাধারণ জনগণের প্রত্য্ক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনে জয় লাভ করতে পারতো না । সাধারণ জনগণ রাজনীতি বোঝেন না । আর তারা কখনও বুঝতেও চান না । কেননা রাজনীতি মানেই সংঘাত । আর এই সংঘাতে কখনও কেউ কোন স্বার্থ ছাড়া জড়াতে চাইবে না । জামাত একটি রাজনৈতিক সংগঠন । তাঁরা ধর্মকে পুঁজি করে নয় , তাঁরা ধর্মীয় রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে দেশে রাজনীতি করছে । একমাত্র আলীগ দল তাঁদের নিজ স্বার্থের কথা ভেবেই জামাতকে নিষিদ্ধ করছে । জামাত কোন হঠাত্‍ ভাবে তৈরিকৃত কোন রাজনৈতিক দল নয় । এই জামাত মুক্তিযুদ্ধের আগেও নির্বাচন করেছে । কিন্তু কখনই তাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় নি । কেননা তখনকার আলীগ দল মতে তাঁরা ছিলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী দল । তখন ধর্মীয় সংগঠন জামায়ত এ ইসলামী চেয়েছিলো যে দেশে ইসলাম ধর্মকে সুপ্রতিষ্ঠীত করতে । যেন সকলেই ইসলামকে মেনে চলে । দেশে যেন ইসলামী রীতিনীতির প্রচলন হয় । কিন্তু তাঁরা পাকিস্তানের কূরুচিপূর্ণ ষড়যন্ত্র সম্পর্কে অবগত ছিলো একথা স্পষ্ট তাঁদের সৃষ্ট শান্তি কমিটি । কিন্তু সেগুলো এখন অতীতে ইতিহাস । আর অতীতকে ভুলে যাওয়াই ভালো । কেননা অতীতকে নিয়ে থাকলে দেশ কখনই উন্নতি লাভ করতে পারবে না । দেশকে পরিপূর্ণ গণতান্ত্রীক করতে হলে দেশে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহন একান্তই কাম্য । সে যে ধর্মীয় রাজনৈতিক দলই হোক না কেন ।

জামাত বন্ধ করতে হলে দেশের কোটিরও বেশি জামাত নেতাকর্মী , সদস্য এবং তাঁদের দলের সমর্থকদের নিষিদ্ধ করতে হবে । শুধু নিষিদ্ধই না তাঁদের সকলকেই ফাঁসিতে ঝোলাতে হবে । যা সরকারের পক্ষে কখনই সম্ভব নয় । বলা বাহুল্য যে সরকার নাকি সবকিছুই পারে । তো এটা পারতেও বেশি সময় নেয় নি সরকার । বাংলাদেশ জামাতের সকল নেতাকর্মীদের জেলে পুড়িয়েছে সরকার । যা সারকারের চোখে বেশ বড় একটা সাফল্য । আর এই সাফল্য সাধারণ জনগণের কাছে ভয়াবহ । কেননা জামাত এতে করে ক্ষিপ্ত হয়ে আবারও লাগাতার হরতাল দেবে । দেশের সাধারণ জনগণের আয় রোজগার বন্ধ হবে । কিন্তু তাতে কোন যায় আসে না সরকারের । কেননা সরকার সাধারণের জন্য নয় । সরকার কেবল তাঁর নির্দিষ্ট জনগণের জন্য ।
রাজাকার কি শুধুই জামাতিরাই ?
এ প্রশ্নের উত্তর আদৌ পায় নি দেশের আপামর শিক্ষিত সমাজ । আর কোন দিন পাবেও না । সরকারকে অনুরোধ করব দেশে এহেন পরিস্থীতি আনবেন না যেন তা, সাধারণ জনগণকে বিষীয়ে তোলে । দেশ বর্তমানে যা আছে সেরকমই থাক । জামাতকে জেলে পুড়িয়েছেন তাঁরা সেখানেই থাক । তাঁদেরকে নিয়ে আর মাথা ব্যাথার কোন কারণই হয় না । তবে কেন যে আলীগ সরকার এমনটি করছে তা বোঝা অনেক কষ্টসাধ্য । আশা রাখি ভবিষ্যতে তা স্পষ্ট হবে ।


এখানে বলতেই হয় আপনারাতো আবার নির্দিষ্ট জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার ।
সাধারণ জনগণকে আপনারা কবেই ভুলে গেছেন !

সাধারণ জনগণ আপনার খেলা দেখে অতীষ্ট হয়েছে । তাই একটু থামেন । দেশকে অগ্রগতীর কাজ করছেন ভালো কথা । কিন্তু অন্যদের কথায় কেনো এতো মাথা গরম করেন ? গরম মাথা নিয়ে দেশ চালানো যায় না । তাই বিরোধীদের জন্যও একটু সুযোগ দিন কিছু বলতে । কেননা তারাও তো একসময় দেশের সরকার ছিলো । জামাতকে নিষিদ্ধ করছেন ভালো কথা । কিন্তু দ্যাখেন আবার যেন পা পিছলে না যায় । দেশটা কিন্তু কোন রাজনৈতিক দলের সৃষ্ট নয় । দেশটা সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন দিয়েই কেনা । তাই দেশকে নিয়ে কোন রাজনৈতিক দলের ছিনিমিনি খেলা সাধারণ জনগণ সহ্য করবে না । সরকারের জনগণ ফুঁসলে দেশে অস্থীরতা সৃষ্টী করে । কিন্তু দেশের সাধারণ জনগণ যদি একবার ফুঁসছে তো আলীগ বিএনপি কিংবা জামাতই হোক কোন দলেরই কিচ্ছু করার থাকবে না । কেননা কেউ কখনও ভোট দিতেই যাবে না । দেশে যে দলই আসুক সকলের রুপ ঐ একই । কে কতো ধানে কতোটুকু চাল তুলতে পারে তাঁরই রাজনীতি বাংলাদেশে । বাংলাদেশের এহেন পরিস্থীতিমূলক রাজনীতিতে আমার মতো সাধারণদের কাছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারই ভালো । অন্তত পক্ষে দেশে হরতাল থাকবে না এবং কৃষকরাও গরুর মাংস কিনে খেতে পারবে ।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৩

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো
অজানার পথে আজ হারিয়ে যাব
কতদিন চলে গেছে তুমি আসো নি
হয়ত-বা ভুলে ছিলে, ভালোবাসো নি
কীভাবে এমন করে থাকতে পারো
বলো আমাকে
আমাকে বলো

চলো আজ ফিরে যাই কিশোর বেলায়
আড়িয়াল... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকরি বয়সসীমা ৩৫ বৃদ্ধি কেনো নয়?

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪২



চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি এটা ছাত্র ছাত্রীদের/ চাকরি প্রার্থীদের অধিকার তবুও দেওয়া হচ্ছে না। সরকার ভোটের সময় ঠিকই এই ছাত্র ছাত্রীদের থেকে ভোটের অধিকার নিয়ে সরকার গঠন করে। ছাত্র ছাত্রীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×