এলোমেলো ০
আমি আমার এক ডাক্তার বন্ধুর সাথে কথা বলছিলাম। সুদীর্ঘ সাত বছরব্যাপী এমবিবিএস পড়ার পর তাদের তিন বছর ট্রেনিং করতে হয় বিনা বেতনে। এ কারণে সবচে বেশি ভুক্তভোগী যারা সহপাঠী প্রেমিক জুটি এবং যারা আর্থিকভাবে অসচ্ছল।

আমাদের দেশে ২৫ঊর্ধ অবিবাহিত মেয়েকে আইবুড়ো বলা হয়, সেখানে ৩০বছর পর্যন্ত বিয়ে না করা বিরাট বৈপ্লবিক ব্যাপার। অর্থাৎ মেয়ে,যদি তুমি ডাক্তারি পড়,কোন অবস্থাতেই সহপাঠীর সাথে মন দেয়ানেয়া করা যাবেনা, যদি কর,তবে অবশ্যই ফিফথ ইয়ারের মধ্যেই তাকে ছ্যাঁকা সহকারে বিদায় জানিয়ে বাবা-মার পছন্দের প্রতিষ্ঠিত পাত্রকে বিয়ে করে ফেলতে হবে ; আর যদি তুমি প্রেম-ভালবাসা-বিশ্বাস নিয়ে সিরিয়াস হও, তাহলেই চিত্তির। এখন তুমি সহপাঠী বিয়ে করে ফেঁসে যাবে ; একজন প্রাইভেট ক্লিনিকে চাকরি করে , আরেকজন ট্রেনিং করে দিন এনে দিন খেয়ে সংসার চালাতে হবে।

আর যদি ছেলে তোমার বাবার আর্থিক অবস্থা রমরমা না হয়, তাহলে তোমার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন এখানেই গলা টিপে মেরে ফেলতে পারলে মঙ্গল। নয়ত তুমি যখন এমবিবিএস পাশ করে বের হবে, তখন বাবা-মা আশা করবে এবার ছেলে সংসারের হাল ধরবে। তখন বাবা-মার আশা পূরণ করে,দায়িত্ববোধ থেকে সংসারের হাল ধরতে গেলে কি হবে সহজেই অনুমেয়।

এ প্রেক্ষাপটে আমরা কিভাবে আশা করি আমাদের ডাক্তাররা আরো দায়িত্বশীল হয়ে দেশ ও জাতির সেবায় নিজেকে সমর্পণ করবে, আমি বুঝিনা।

এলোমেলো ০...

পত্রিকায় খুব লেখা দেখতাম, ট্রাফিক পুলিশ মানেই চরম ঘুষখোর , তখন রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ দেখলেই আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যেত ; আজ যখন শুনেছি, তাদের বেতন ২/৩ হাজার টাকা , তখন রাস্তায় এদের দেখেই মায়া লাগছে। আহারে বেচারা, বউ-বাচ্চাকে খাওয়াবে কি আর বাচ্চাদের পড়ালেখার খরচ কিভাবে দেবে।
আমার মনে হয়, আজ যদি সব সরকারি চাকরির বেতন ভদ্রভাবে খেয়ে পরে বাঁচার মত হয়, তাহলে ৬০% ঘুষখোর ঘুষ খাওয়া ছেড়ে দেবে। বাকি ৪০% এর মধ্যে ২০% এমনি এমনি খাবে, আর বাকিরা চরম লোভী।
আমার চিন্তা ভুল হতে পারে, কিন্তু আমার এরকম মনে হচ্ছে।

এলোমেলো ০.....

ডলার এর পেছনে পরিষ্কার লেখা আছে, In God we trust, তবু তাদের কেউ মৌলবাদী বলেনা কেন? আমাদের দেশে কেন আল্লাহ / ইসলাম নিয়ে কোনো কথা বল্লেই মৌলবাদী মৌলবাদী রব উঠতে থাকে? আমাদের দেশের কিছু বুদ্ধিজীবীর কথা শুনলে আমার মনে হয়, এরা ধর্ম নিরপেক্ষ কোনোভাবেই না, এরা হচ্ছে ইসলাম বিদ্বেষী।