somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সম্প্রতি পড়া বই আলোচনা : স্টিফেন কিংয়ের ১১.২২.৬৩ এবং ডাউন লোড লিংক

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ধরুন, একদিন ছুটির সকাল। ২০১২ সাল। মোবাইল টিপে সময় দেখলেন, কোন ফোন আসছে কিনা কারো তাগাদা সহ, চেক করলেন, নাহ। মানে কোন তাড়া নেই।আয়েশ করে ঘুম থেকে উঠলেন। আড়মোড়া ভাঙলেন, দাঁত দুই ঘসা দিয়ে ভাবলেন, যাই, মফিজ মিয়ার স্টল থেকে চা খেয়ে আসি। মফিজ আপনার পাড়ার দোকানদার। চা খেতে গিয়ে সাথে পান খেলেন, পানের পিক ফেলার জন্য মফিজের দোকানের পেছনে একটা জায়গা আছে যাতে মফিজ তার জিনিসপত্র রাখে। আপনি তার পরিচিত, গটগট করে ভিতরে ঢুকে গেলেন, বেড়ার কাছে পানের পিক ফেলতে গিয়ে অসাবধানে পা পড়ল একটা গর্তে। গর্ত তো না যেন সিঁড়ি। আপনি অবাক হয়ে ভাবলেন , ঘটনা কি? সিঁড়ি দিয়ে কই যাওয়া যায় দেখি তো। এগিয়ে গেলেন যদিও সিঁড়ির মাথা দেখা যায়না। নামতে নামতে খানিকপরে যেখান দিয়ে আপনার পা বেরিয়ে এলো সেটা মফিজের স্টলের পেছনের কোন জায়গা না।
জায়গাটা আপনার পরিচিত লাগছে কিন্তু বুঝতে পারছেননা, পেছনে তাকায়ে আপনার চোখ চানাবড়া হয়ে গেলো, আপনার পরিচিত মফিজের দোকান এবং তার সংলগ্ন কোন ঘরবাড়িই আর নেই। আপনি হতভম্ব হয়ে আবিষ্কার করলেন আপনি প্রায় ৫০ বছর আগের পৃথিবীতে চলে গেছেন। যে পৃথিবীতে টেলিফোন প্রায় স্বপ্ন, টিভি সহজে খুঁজে পাওয়া যাবেনা, মোবাইল ফোন এবঙ ইন্টারনেট আমেরিকার প্রেসিডেন্টও চোখে দেখে নাই, দুস্টু পোলাপানে যে বলে, কেমতে কি, আপনার হতভম্ব ভাব আসার আগেই সে প্রশ্ন মাথায় চলে এলো। আসলেই তো, কেমতে কি?
কনগ্র্যাচুলেশান্স। আপনি এই মাত্র টাইম ট্রাভেল করে ফেললেন। প্রশ্ন এটা না যে কিভাবে করলেন? প্রশ্ন এটা যে আপনি অতীতে যেতে পারলে কি করতে চাইবেন।

মহাভারতে আছে ছোট্ট এক কাহিনী....Revaita স্বর্গে গেলো স্রষ্টা Brahma-র সাথে দেখা করতে.. পৃথিবীতে ফিরে এসে দেখে এর মাঝে কেটে গেছে বহুকাল...।
মহাভারত কোন সময়ে লেখা! ধারণা করা হয় 700s BCE থেকে 300s CE এর মধ্যে। সাহিত্যকর্ম বা মানুষের লিটারেচারে টাইম ট্রাভেলিংয়ের রেফারেন্স এত দূর পর্যন্ত পাওয়া যায়। তারপর আরো সাহিত্য কর্মে আছে টাইম ট্রাভেলিংয়ের ধারণা তবে টাইমে ট্রাভেলিংয়ের শব্দবন্ধটি বোধহয় প্রথম ব্যবহার করেন H.G Wells তার Time Machine বইয়ে। টাইম ট্রাভেলিং মানে সময়ের আগে বা পরে যাওয়া, সহজ কথায়, সময় যেন একটা লম্বা সিঁড়ি, আপনি এখন যে সিঁড়িতে আছেন, তার আগের কোন সিঁড়ি কিংবা যেখানে এখনো প‌ৌঁছেননি, সে সিড়িঁতে যাওয়া। ঝামেলার শুরু এখান থেকেই। ভবিষ্যতে যান , ঠিক আছে, পিছনে গেলেই শুরু রাজ্যের প্যারাডক্সের। সেই যে জনপ্রিয় প্যারাডক্স: অতীতে গিয়ে আপনি যদি আপনার দাদাকে মেরে ফেলেন, তাহলে কি হবে?




একদম প্রথমে যে ফিকিশাস হালকা গল্প শুরু করেছিলাম, স্টিফেন কিংয়ের সাম্প্রতিক উপন্যাস ১১.২২.১৯৬৩-র কাহিনী প্রায় এরকম এক ক্যাজুয়াল ভাবে শুরু হওয়া সময় পরিভ্রমন নিয়ে। তবে বই টি সায়েন্স ফিকশান নয় মোটেই,বরং দ্যা ইনডিপেন্ডন্ট এর ভাষায়: Stephen King's new epic is arguably literature's first romantic-time-travelling-conspiracy-thriller.


গল্পের নায়ক জ্যাক এপিং স্কুলে পড়ায়, পাড়ার বার্গার দোকানে সস্তা বার্গার খেতে গিয়ে রেস্টুরেন্ট মালিক অ্যাল-এর সাথে হালকা পরিচয় হয়। জ্যাকের বউ তাকে ছেড়ে অন্য লোকের সাথে চলে গেছে। কারণটা মজার: জ্যাকের সহজে কান্না পায়না মানে কিনা বউয়ের ভাষায় তার মধ্যে আবেগ-অনুভূতির বালাই নেই। তাদের বাচ্চা কাচ্চা নেই। মানে জ্যাক একা , শিক্ষিত, স্বাধীন এবং হ্যান্ডসাম। তো একদিন সেই স্বল্প পরিচিত অ্যাল তাকে ফোন করে অনুরোধ করে দেখা করার জন্য। জ্যাক দেখা করে। অ্যাল তাকে জানায় তার দোকানের পিছনে একটা হোল আছে যা দিয়ে সে অতীতের পৃথিবীতে চলে যেতে পারে। তবে যে কোন সময়ে না, ১৯৫৮ সালের সেপ্টেম্বর ৯ তারিখ, সকাল ১১.৫৮তে, স্থান: লিসবন ফলসে। সেখানে গিয়ে যতবছর ইচ্ছে কাটিয়ে আসা যাবে, যে কোন ঘটনায় অংশগ্রহণ করা যাবে, অতীতের কোন ঘটনাকে পরিবর্তন করে আসা যাবে, তবে যখনি ফিরে আসবে ততক্ষনে বর্তমান পৃথীবীতে মাত্র দুই মিনিট সময় অতিবাহিত হবে। তবে যতবার যাওয়া যাবে, প্রতিবার হবে নতুন একটা জার্নি। মানে সে যদি একটা কিছু পরিবর্তন করে আসে, পরবর্তীতে তার জার্নির সাথে সাথে আবার সেই নির্দিষ্ট টাইম লাইন শুরু হবে, ফলে কোন ঘটনার কোন দাগ থাকবেনা, কেউ তাকে মনে রাখতে পারবেনা। ব্যাপারটা পরিক্ষিত, অ্যাল বহুবছর তাই করে আসছে, মূলত তার দোকানের কম দামী বার্গারের কারণ হলো সে সেসব উপাদান কিনে আনে ১৯৫৮ সালের দোকান হতে ১৯৫৮ সালের দামে, ফলে ২০১১ সালের পৃথিবীতে তা অতি কম দামে বিক্রি করা যায়। কি করে কি হয় অ্যাল জানেনা, শুধু জানে এটা হয়। ঘটনা হল, এতদিন পর কেন অ্যাল জ্যাককে এটা জানালো? কারণ, অ্যালের দৃঢ় ধারণা, যদি অতীতের একটা বিশাল কোন খারাপ ঘটনাকে সে পরিবর্তন করে দিয়ে আসতে পারে, তবে বর্তমানের পৃথিবী নিশ্চয় আরো সুন্দর হবে। যেমন, যে সময়ে সে ফিরে যায়, তার মাত্র ৫ বছর পর ডালাসে প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি হত্যা কান্ড ঘটে। য়টানার নায়ক লি হার্ভে অসওয়াল্ড। যদি সেই নভেম্বরের ২২ তারিখের আগেই তাকে মেরে ফেলা যায়, তাহলে কেনেডি মরবেনা, তার কনসিকোয়েন্সে ভিয়েতনাম ওয়ার হবেনা, রেস রায়ট হবেনা, বর্তমানের পৃথিবী হতে পারে এক সুন্দর পৃথিবী। কিন্তু সে নিজে তা করছেনা, কারণ সে চেষ্টাও সে করেছিল, কিন্তু তার ক্যান্সার ধরা পড়ে, হাতে মাত্র কয়টা দিন তার, ১৯৫৮ তে গিয়ে ৫ বছর অপেক্ষার করতে সে পারবেনা, তার আগেই সে মারা যাবে। ব্যাপারটা জ্যাককে দারুন একটা অভিজ্ঞতার মুখোমুখি করে দেয়। নিজেই পরিক্ষা করে জ্যাক, কয়েক মুহূর্তের জন্য সে অতীতের পৃথীবীতে যায়, দারুন স্বাদের রুট বিয়ার খেয়ে প্রত্যক্ষ করে আসে ব্যাপারটা। মৃতপথযাত্রী একজনের বিশেষ অনুরোধ, সাথে তার নিজস্ব কৌতূহল আর ব্যক্তিগত একটা কারণ, সবমিলিয়ে জ্যাক প্রস্তুত হয়, শুরু হয় স্টিফেন কিং পাঠকের প্রায় ৭০০ পৃষ্টা ব্যাপী এক এপিক জার্নির।

সাধারণত টাইম ট্রাভেলিংয় গল্পের বইগুলোতে যা হয়, প্রথম কিছু চ্যাপ্টার জুড়ে নানাবিধ তত্ত্ব, যন্ত্র এটা সেটা দিয়ে পাঠককে তৈরী করে নেওয়া হয় এ অবিশ্বাস্য কান্ডের সাথে একাত্ন করে নেবার জন্য। কিং কিছুই করেননা, ২৪-২৫ পৃষ্ঠার মাথায়ই পাঠককে জ্যাকের সাথে পাঠিয়ে দেন টাইম ট্রাভেলিংয়ে। তত্ত্ব নিয়ে তিনি সময় নষ্ট করেন দু'লাইন। সব কিছু শোনার পর, গল্পের ন্যারোটর জ্যাক নিজেই, বলছে,

but I remembered a hoary old time-travel paradox and pulled it out. “Yeah, but what if you went back and killed your own grandfather?”
He stared at me, baffled. “Why the fuck would you do that?”
That was a good question, so I just told him to go on.

সো সিম্পল। হোয়াই দ্যা ফাক উড ইউ ডু দ্যাট। চিরন্তন প্যারাডক্সের জবাব দিয়ে আসল মিশন শুরু করে দেন কিং। তিনি গল্প শোনাতে্বসছেন, সায়েন্সের সম্ভাব্যতা অ সম্ভাব্যতা না।

তারপর সংঘাত, প্রেম, রোমান্স, ধাওয়া , পাল্টা ধাওয়া , ফাইট , জুয়া খেলা এবং সারাক্ষন তারপর কি ? তারপর কি? 'র মধ্যে রেখে জ্যাকের জার্নি সামনে এগিয়ে যায় অতীতে যেখানে সে নিজেকে পরিচয় জর্জ এম্বারসন নামে। সাথে সাথে পাঠকের। কি হতে পারে অতীত পাল্টে দিয়ে আসলে?
তাছাড়া চাইলেই পাল্টে দেয়া যায়না অতীতঘটনা প্রবাহ, কেননা সেটা একটা হারমোনি, পাল্টাতে চাইলে সে পাল্টা বাধা দেবার চেষ্টা করে, কিংয়ের ভাষায়... ইট ফাইটস ব্যাক।কেন? জবাব আছে এডওয়ার্ড লরেন্জের Butter fly Effect-
এ। এক কথায় ব্যাপারটা এমন, কোন এক স্থানের ঘটে যাওয়া একটা ছোট্ট পরিবর্তন ( হতে পারে অনুল্লেখ্য ) অন্য স্থানের একটা বড় ঘটনার নিয়ামক হিসেবে কাজ করতে পারে। কিংবা যদি বলি, চীন দেশে একটা প্রজাপতি পাখা নাড়ালো, আমেরিকাতে তুফান হওয়ার কারণ হিসেবে তার প্রভাব কতটুকু পড়তে পারে? এ ইফেক্ট নিয়ে দারুন একটা গল্প আছে Ray Bradbury-র দ্যা সাউন্ড অফ থান্ডার। তো, জ্যাকের পাল্টে দেয়া একটা বড় ঘটনার কি ইফেক্ট হতে পারে, বইটি পড়ার জন্য এই একটা কৌতুহলই যথেষ্ট হয়তো, কিন্তু স্টিফেন কিংয়ের লেখা মানে ঘটনা জানা না শুধু। তার মোহনীয় গল্প বলার ভঙ্গিই ৮০০ পৃষ্টা ধরে রাখে পাঠককে। গোস্ট স্টোরী আর প্যারানরমাল কাহিনী লেখার জন্য স্টিফেন কিং একজন কিং। এই প্রথম তিনি অন্য ধরনের গল্প শোনাতে নামলেন তার ৫৮তম বইয়ে, ক্রিটিকদের মতে , এটা হয়তো তার ক্লাসিক বই নয়, তবে অন্যতম নিঃসন্দেহে।

শেষে কি হয়? শেষের টুইস্ট গুলোর জন্যই যেন পুরো বই পড়া। ব্রাভো কিং।



কিংয়ের মতে, এই বই লিখার পরিকল্পনা মাথায় নিয়ে তিনি ঘুরছেন সেই ১৯৭১ সাল থেকে, কেনেডির হত্যার মাত্র কয়বছর পরই। তখন তার প্রথম বইটি বেরিয়ে ছিলো, কেরি নামে। সেই পরিকল্পিত বইটার নাম ঠিক করেছিলেন, স্প্লিট ট্রেক। কিন্তু তার মনে হয়ে, এমন একটা বই লিখার জন্য তার যথেষ্ট লিটারেরি টেলেন্ট তখনো জন্মে নি। ফলেগল্পটড মাথায় নিয়ে ঘুরেন এই ৪০ বছর।

আমার পড়ার সংগী আমার কিন্ডল। নাম দিয়েছি সাগর'স ফ্রেন্ড । আসলেই তাই। টিউবে বাসে ট্রেনে পড়ার জন্য আমি কিন্ডল টিকে আমার মানিব্যাগের মত সাথে রাখি। স্টিফেন কিংয়ের বইটি নেট থেকে নামানো , বিনে পয়সায়। পিডিএফ ফরমেট। কিন্ডলে পিডিএফ পড়া যায়, তবে .মোবি ভার্সনে সব ইউজুবিলিটি পাওয়া যাওয়া। তাই সফট ওয়্যারে কনর্ভাট করে নিয়েছি। গত কয়দিন সুস্বাদু খাবারের মত গিলেছি বইটি, আগে ভোরে ( ভোর মানে কখনও কখনও ৫টা) কোথা্‌ও যেতে হলে ট্রেনে উঠেই চোখ বন্ধ করে ফেলতাম ঘুমের চাপে, বইটি ধরার পর চাইলেও চোখ বন্ধ করতে পারিনা, আপাতত বইটি পড়ার সময় আমি কেমন আগ্রহ ফিল করেছি, সেটা বোঝানোর চেষ্টা করলাম।

স্টিফেন কিং নিয়ে একটা পোষ্ট দেবার চেষ্টা করতে হবে। আপাতত যারা তাকে তেমন করে চিনেননা , তাদের বলি, হলিউডের সেরা কিছু মুভি তার গলপ নিয়ে তৈরী হয়েছে। যেমন:
দ্যা শাইনিং( কুবরিক), দ্যা শশাংক রিডেম্পশান, দ্যা গ্রিন মাইল, পেট সিমেটারি, দ্যা মিস্ট, ১৪০৮, ইট, সিক্রেট উইন্ডো.... ইত্যাদি, ইত্যাদি...


১১.২২.৬৩ প্রকাশিত হবার আগেই সিনেমার বানাবার জন্য চুক্তি হয়ে গেছে। সিনামেটি বানাচ্ছেন দ্যা সাইলেন্স অব দ্যা লেম্ব খ্যাত Jonathan Demme , তিনিই এটার চিত্রনাট্য লিখছেন, কিং একজন এক্সিকিউটিব প্রোডিউসার হিসেবে থাকবেন।

এক নজরে বইটি:
টাইটেল: 11/22/63
লেখক: Stephen King
দেশ; USA
ভাষা: English
Genre(s) Science fiction -Alternate history- Romance, thriller
প্রকাশক Scribner
প্রকাশনা তারিখ: November 8, 2011
পৃষ্টা 849

নিউইয়র্ক টাইমস বইটিকে বছরের সেরা ৫ বইয়ের তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করেছে। এন পি আর বই সমালোচক Alan Cheuse -এর ভাষায়: "I wouldn't have [King] change a single page."
টাইম ম্যাগাজিনের রিভিউয়ার Lev Grossman বলছেন, "the work of a master craftsman" যদিও তার মতে বইটি মাঝে মাঝে তার জেনার পাল্টাচ্ছিল....
ধুর, আসলে এসব রিভিউয়ের কথা লিখলে মনে হয় পোস্ট ভারী দেখায়, কিন্তু আমার ভাললাগার জন্য এসব নেহায়েত অদরকারী। আমার ব্যক্তিগত সমালোচনা হলো, দুর্দান্ত, শুধু মাঝের প্রেমের অংশটা একটু কম থাকলেই ভাল লাগতো যদিও সিনেমা বানালে এ অংশটা অতি দরকারী হয়ে পড়বে।

বইটি ডাউনলোড করবেন: এইযে এখানে, মিডিয়াফায়ার লিংক, আমার ডাউনলোড করা, ব্লগার ছন্দহীনের একাউন্টে।

শেষে আরেকটা জিনিস শেয়ার করি, কখনো স্টিফেন কিংয়ের ওয়েব সাইট দেখেছেন। দেখেন । দেখলে বুঝবেন, শুধু মেধাবী হলেই হবেনা, তা সেল করতে জানতে হবে। আমার প্রোগামিং ক্লাসের স্যারের বক্তব্য এটা: Talent is nothing but the art of selling your ability. আসলেই।

উৎসর্গ: ভাবছিলাম একটা রোমান্টিক কবিতা লিখে আমার প্রিয় গল্পকার হাসান ভাই ( হাসান মাহবুব) তার তার নবপরিণীতা বউ ব্লগার সমুদ্র কণ্যাকে উৎসর্গ করি। হাসান ভাইয়ের সাথে আমার কখনও দেখা হয়নি, ফোনে ফেসবুকে মেইলে কোথাও না, অর্থাৎ কিনা নেহায়েত ব্লগীয় ভাল লাগছে, অসাম, ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতার সম্পর্ক, অথচ আমার মত একজন অনিয়মিত ও একদম অনুল্লেখ্য ব্লগারের কোন পোষ্টেই উনি মন্তব্য করতে দ্বিধা/দেরী করেননি। একজন বললো , এত অবাক হবার কি আছে, বোধহয় আপনি তার অনুসারিত লিস্টে আছেন, আমি বললাম , তাইতো বেশি অবাক হবার মত, আমার মত একজনকে উনি অনুসারিত লিস্টে রেখেছেন কেন? বাপারটা শুধু আমার জন্য না, নির্বিচারে তার মন্তব্য করার সংখ্যা দেখলেই বোঝা যায, ব্লগার কেমন হওয়া উচিত।

হাসান ভাই, এই বইটি আপনি পড়বেন আশা করি, আমার মনে আশা, আপনার অদ্ভুত সব গণ্পের প্লটে বাটার ফ্লাই ইফেক্ট বা এই জাতীয় কিছু একটা নিয়ে গল্প তৈরী হয়ে যাবে। আপনার গল্পের আমি একজন মুগ্ধ পাঠক , আপনার প্রায় সব গল্পই আমি পড়েছি, কখনো কখনো মন্তব্য করা হয়ে উঠেনি নানা কারণে, এটা সে কথা জানানোর একটা কৌশল আপাতত।


ছবিসুত্র: একদম প্রথমে আছে টাইম ট্রাভেল by steve-hester, এখান হতে
বাকি গুলো বইয়ের প্রচ্ছদ, স্টিফেন কিং নিজে। গুগল হতে।।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:৩৪
২৬টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×