''আমাদের সময়'' পত্রিকার হেডলাইনে দেখলাম একটা নিউড ফিড করা হয়েছে যে আইএস এর নামে জামাত শিবিরের কর্মীরা সক্রিয়!!! দেশে কি আদৌতেই আর জামাত শিবির আছে? যুদ্ধপরাধি বিচার বানচাল করার উদ্দেশ্য জামাত শিবিরের নাশকতা দমন করতে প্রকাশ্যে গুলি ও ক্রুস ফায়ারের মাধ্যমে জামাত শিবিরকে যে পুরোপুরি দমন করা হয়েছে তা কি এদেশের জনগন জানে না? অনেকেই এই বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ড নিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করলেও জনগন এই ইস্যুতে মোটামোটি নিরবতা পালন করেছে। কারন এতে বিএনপি জামাতের পেট্রোল বোমা সন্ত্রাস বন্ধ হয়েছে। জনগনগ রাস্তাঘাটে নিরাপদে চলাচল করতে পেরেছে।বিএনপি জামাতের বাংলাদেশে রাজনীতি করার আর কোন রাস্তাই দেশে খোলা রাখে নি সরকার। যেটুকু রাজনীতি এখনও আছে সেটাও লন্ডনে গিয়ে ঠেকেছে।
বিরোধী দল দমন প্রসঙ্গে জনগনের নিরাবতা পালনের মুল কারন হল আমাদের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের ওপড় মানূষ প্রচন্ড ত্যক্ত বিরক্ত। দুই দলের হরতাল, অবরোধ ভিত্তিক জনবিরোধি রাজনীতি জনগনের জন্য অশেষ কষ্ট বিনা আর য়ার কিছু বয়ে আনেনি। এখন অন্তত মানুষ এই হরতাল, পেট্রোল বোমা সন্ত্রাসের রাজনীতি থেকে মুক্তি পেয়েছে। যে কারনে বিরোধী দল দমনে সরকার জনগনের প্রচ্ছন্ন সায় পেয়েছে বলা যায়।
কিন্তু এরপরও সরকার আর কি চায়? কেন সরকার সাধারন মানুষ হত্যাকান্ডের বিচার করতে চায় না? যে কোন হত্যাকান্ডের পর পর অদৃষ্য ইসলামী জঙ্গীদের ওপর দায় চাপানো হচ্ছে। অদৃষ্য বলার কারন এই যে প্রত্যক্ষদর্শী দ্বারা ও সিসিটিভিতে সনাক্ত হওয়া আসামীরা ভোজভাজির মত অদৃষ্য হয়ে যাচ্ছে। আই এস ও আন্সারুল্লাহ তত্ব তেমন বাজার না পাওয়ায় এখন আজকে আবার বলা হচ্ছে জামাত শিবিরেরাই আই এস!! এইভাবে আর কত গালগল্প শোনাবে পুলিশ? পাবলিকের টাকায় তাদের বেতন দেয়া হচ্ছে কি এই অদ্ভুত গাল গল্প শোনানোর জন্য? পুলিশবাহিনী এখন কতটা খারাপ পর্যায়ে গেছে যে তারা প্রকাশ্যে টকশোতে এই কথা দম্ভের সাথে উচ্চারন করে যে , ইম্রান এইচ সরকারের নিরাপত্তার পেছনে প্রতিদিন পুলিশের খরচ ৭০০০ টাকা!!!! পুলিশ কি তার বাপের টাকায় বিশেষ একজনের নিরাপত্তা দিচ্ছে? এই দেশের বাদবাকি জনগনের নিরাপত্তা প্রদান কি তাদের দ্বায়িত্বের মাঝে পড়ে না?
মানূষ এখন আস্তে আস্তে মুখ খুলতে শুরু করেছে। গনমাধ্যমে অলিখিত সেন্সরশীপ চলছে। তাই এখন প্রতিবাদের মুল জায়গা হয়ে দাড়িয়েছে ফেসবুক। ৫৭/ ৫৮ ধারা দিয়ে এই জনগনের মুখ বন্ধ করা যাবে না। সবচেয়ে বড় ব্যাপার যে ফেসবুক, ব্লগে এক বিরাট গোষ্ঠী যারা সরকারের পক্ষে নিয়মিত গান গাইত তারাও এখন আর সরকারের পক্ষে গান গাইতে রাজী নয়। ''বিচার চাই না'' বলে এক পুত্রহারা বাবা প্রতিবাদের যে রাস্তা দেখিয়েছে সেই রাস্তাতেই এখন জনগন এক প্ল্যটফর্মে এসে দাড়িয়েছে।