আমেরিকায় ক্যাথলিক বিশপদের পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১৯৫০ দশকের গোড়ার দিক থেকে এ পর্যন্ত ৪ হাজারের বেশি মার্কিন পাদ্রী ছেলে শিশুদের উপর নিপীড়নের ঘটনায় জড়িত ছিলো এছাড়াও তাদের হাতে ১০ হাজারের বেশি শিশু নির্যাতিত হয়েছে।
শুধুমাত্র নিপীড়নের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য ২০০৭ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের শীর্ষ কর্মকর্তাকে ৬৬ কোটি ডলার গুনতে হয়েছে। আদালতের নির্দেশে গত সপ্তাহে সে এ সংক্রান্ত কাগজ-পত্র প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছে।
সেইসব নথিপত্র থেকে জানা যায়, ১৯৮০-এর দশকে তৎকালীন আর্চ বিশপ রজার মাহোনি এবং তার শীর্ষ সহযোগী থমাস কারি পাদ্রীদের রক্ষা করার জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছে এবং এ বিষয় চার্চ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে পর্যন্ত জানানো হয়নি।
চার্চের অন্যান্য কর্মকর্তা ১৪ জন পাদ্রীকে বিচারের হাত থেকে রক্ষা করেছে। যদিও তারা জানতো যে, এ সব পাদ্রীর মধ্যে একজন ১১ বছরের ছেলেকে বলাৎকার এবং অপর ১৭ জনকে নিপীড়ন করেছে।
এদিকে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত এক পাদ্রীকে তার দেশ স্পেনে অন্তত সাত বছর অবস্থানের ব্যাপারে সম্মত হয়েছিলো তৎকালীন আর্চবিশপ রজার মাহোনি এবং ওই সাত বছর অভিযুক্ত পাদ্রীকে প্রতি মাসে ৪০০ ডলার ভাতা প্রদান করত।
আরেকটি ক্ষেত্রে নির্যাতিত বালকদের তালিকা পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার তৎপরতা ঠেকিয়ে দেন মাহোনি। সে সময় পুলিশ মেক্সিকো সফররত এক পাদ্রীর বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের অভিযোগ তদন্ত করছিল। ওই পাদ্রী ১০ মাস লস অ্যাঞ্জেলেসে থাকার সময় ২৬টি শিশুকে হেনস্তা করেছিল।
৬১ বছর বয়সী কেভিন ওয়ালিনকে (কানেকটিকাটের ব্রিজপোর্ট থেকে সেন্ট আগষ্টিন ক্যাথেড্রালের সাবেক পাদ্রী) মেথাফেনামিনস রাখার দায়ে আটক করা হয়। এ নেশার ওষুধ বিক্রি করে সে সপ্তাহে ৯ হাজার ডলার আয় করতো। সে মাঝে মাঝে নারীর পোশাক পরে অন্য পুরুষদের মনোরঞ্জন করতো।
গত মাসে মিসৌরির ক্যানসাস সিটি বিশপ রবার্ট ফিনকে কেলেঙ্কারির ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। তার অধীনস্থ পাদ্রীদের একজনের কম্পিউটারে শিশু পর্নো ছবি পাওয়ার পরও বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়নি। এ সব ছবি ওই পাদ্রী নিজেই তুলেছে।
মার্কিন বিশপদের তৈরি করা চার্চের আইন অনুযায়ী এ ঘটনার পর বিশপ রবার্ট ফিনকে সরিয়ে দেয়া উচিত। যেটা করা হয়নি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




