ইসলাম শান্তির ধর্ম। অন্যায়ভাবে নিরপরাধ মানুষের উপর, তাদের জান-মালের উপর হামলা করা বা ক্ষতি করা ইসলাম কোনো শর্তেই সমর্থন করে না। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যার হাত ও জবান হতে মানুষ নিরাপদ নয়, সে আমার উম্মত নয়।” আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “ফিতনা কতলের চেয়েও ভয়ঙ্কর।” এছাড়াও শান্তি-শৃঙ্খলার বিষয়ে পবিত্র ইসলামী শরীয়তে অনেক আদেশ নিষেধ রয়েছে।আল্লাহ পাক বলেন,
ولا تفسدوا فى الارض.
“তোমরা জমীনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করোনা।”
আল্লাহ পাক আরো বলেন,
الفتنة اشد من القتل.
“ফিৎনা-ফাসাদ কতলের চেয়েও খারাপ।”
হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে,
ايذاء المسلم كفر
“কোন মুসলমানকে কষ্ট দেয়া কুফরী।”
আর যারা আল্লাহ পাক-এর বিধান অনুযায়ী চলবেনা, তাদের সম্পর্কে আল্লাহ পাক বলেন, “আল্লাহ পাক যা নাযিল করেছেন, তদনুযায়ী যারা ফয়সালা করেনা, তারাই কাফের।”
প্রসঙ্গত, মওদুদীবাদী জামাত ও তাদের সহযোগী সংগঠন শিবির তাদের নামের সাথে ‘ইসলামী’ পবিত্র শব্দটি ব্যবহার করে থাকে। যা মূলত পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে অবমাননা করার শামিল।
কেননা, প্রথমতঃ এরা কোনো ইসলামী দল নয়, বরং হারাম গণতন্ত্রের অনুসারী রাজনৈতিক দল। যেটা তাদের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে ‘আল্লাহ্-রসূল’ পবিত্র শব্দদ্বয় বাদ দেয়া থেকে প্রমাণিত হয়েছে। দ্বিতীয়তঃ এদের কার্যক্রম, আমল, আক্বীদা সম্পূর্ণরূপে অনৈসলামিক।
তৃতীয়তঃ অতীতে বিভিন্ন সময়ে ও বর্তমানে তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ থেকেও স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে- এরা মূলত সন্ত্রাসবাদী।
‘ইসলাম’ শুধু তাদের কাগজে কলমে। অন্তরে যদি ইসলাম থাকতো তবে মহান আল্লাহ পাক উনার ভয় তাদের অন্তরে থাকতো, অন্যায়ভাবে মানুষের উপর হামলা করতো না, তাদের জান-মালের ক্ষতি করতো না, বোমাবাজি করতো না। এই জামাত-শিবির মূলত হচ্ছে মওদুদীবাদী। তারা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার আদর্শ মুবারক অনুসরণ করে না, বরং গুমরাহ মওদুদীর আদর্শ অনুসরণ করে। মৌলবাদ, সন্ত্রাসবাদ অনুসরণ করে।
উপরের বর্ননানুযায়ী জামাত-শিবির মুসলমান নয় , কাফির । বরং কাফিরের থেকেও খারাপ ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




