গত ৮ই ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ইং তারিখে ‘আমাদের অর্থনীতি’ পত্রিকায় ব্লগারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ডা. অপূর্ব পণ্ডিত। বিষয়টি খতিয়ে দেখার প্রয়োজন এই জন্য যে, কেন এই ধন্যবাদ? মধ্যপ্রাচ্যের যেসব মুসলিম দেশে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চলছে, খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে ওইসব মুসলিম দেশে ধ্বংসযজ্ঞের শুরুতে ব্লগাররাই ছিল তার উৎস শক্তি। আমাদের দেশেও ওই ‘আরব স্প্রিং’-এর মতো একটি ‘বাংলা স্প্রিং’ শুরু করতে হলে প্রয়োজন ছিল একটি রাজনৈতিক ইস্যু। জঘন্য অপরাধী রাজাকার আব্দুল কাদের মোল্লাকে ফাঁসি না দিয়ে সরকার যে কোনো কারণেই হোক ইচ্ছায়/অনিচ্ছায় সেই সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে।
লাকড়ির চুলাতে আগুন দেয়া হয়েছে ওই দণ্ডাদেশের মাধ্যমে এখন ওই সামাজিক নেটওয়ার্ক দিয়ে ফুঁ দেয়া হচ্ছে ওই আগুন বৃদ্ধিতে। ঠিক এভাবেই প্রতিটি মুসলিম দেশকে গোলযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে ধ্বংস করা হচ্ছে। দুটি মানসিকতার সৃষ্টি করে প্রচন্ড - সংঘর্ষ সৃষ্টি, অস্ত্র সরবরাহ এবং সবশেষে সিভিল ওয়্যার। নিরপেক্ষতার ছদ্মাবেশে শত্রু গোয়েন্দা বাহিনী পরিচালিত ব্লগগুলো খুব সফলভাবেই এই কঠিন কাজটি করেছে সকল মুসলিম দেশে গত ৫/৬ বছর যাবৎ।
গত ৪২ বছরে যেখানে কোন হিন্দু কোন মুসলমান মেয়েদের সম্ভ্রমহরণ করতে সাহস করেনি, কেন এখন তা একটি স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে? এসব সম্ভ্রমহরণকারীদের বিরুদ্ধে কোন রাগ-বিদ্বেষ নেই কেন, নেই কোনো প্রতিবাদের শাহবাগ স্কোয়ার কিংবা তাহরীর স্কোয়ার? অথচ ৪২ বছর পূর্বের সম্ভ্রমহরণের জন্য আজ ব্লগের সাহায্যে উত্তেজনা সৃষ্টির মাধ্যমে তৈরি করা হচ্ছে প্রতিবাদী শাহবাগ স্কোয়ার।
মিডিয়া এতদিন শুধু নারী নির্যাতন এবং বিভিন্ন ইস্যুতে বিপ্লবী ধ্যান-ধারণা দিয়ে একটি যুব সমাজকে সংগঠিত করেছে। তাদেরকে সংগঠিত করতে দেশে-বিদেশে নিয়ে গিয়ে পিকনিক এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রদান করছে। ওই প্রভাবিত যুব সমাজকে তারা এখন পরিকল্পিতভাবে রাজাকার কাদের মোল্লার বিচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামের জন্য উত্তেজিত করছে।
বর্তমান সময়ে চীন ছাড়া কোনো অমুসলিম দেশে এ ধরনের রাজনৈতিক সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়নি। বিশেষ করে প্রতিটি মুসলমান দেশেই একে একে এহেন পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে, তাদের কী কোন সরকার নেই? কোন গোয়েন্দা বাহিনী নেই? সব আছে। শুধু নেই দেশ পরিচালনার প্রয়োজনীয় বুদ্ধিমত্তাটুকু। তাছাড়া সরকারের প্রতিটি স্তরে রয়েছে শত্রুদেশের গোয়েন্দাবাহিনী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত শত শত এজেন্ট। এদের মধ্যে কেউ কেউ সামরিক/বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কিংবা রাজনৈতিক নেতা। যার ফলে মুসলিম দেশসমূহে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আশা করা বর্তমান পরিস্থিতিতে অবাস্তব।
নরকের কীট কাদের মোল্লার ফাঁসি হওয়াটাই স্বাভাবিক ছিলো। কিন্তু যে কোন কারণেই হোক সরকার বাধ্য হয়েছে যাবজ্জীবন দন্ডাদেশ প্রদানে; যাতে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা যায়। আর এই ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টিতে চরম ইসলাম বিদ্বেষী ‘র’, সিআইএ কিংবা মোসাদ নিয়োযিত। জামাত-শিবির এদেরই তৈরি ।আজো এরা জাশিকে সাপোর্ট দেয় ।
আমাদের দেশে এমন নেতৃত্বের এখন প্রয়োজন যিনি তার গোয়েন্দা প্রধান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এমনকি সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান, বিমানবাহিনী প্রধানকে চাকরিচ্যুত করে হলেও দেশকে বিদেশী গোয়েন্দা প্রভাবমুক্ত করতে পারেন। বর্তমানে দেশ অর্থনীতিতে সেই গতিতে এগিয়ে চলছে, যে গতিতে আমেরিকার অর্থনীতি ধ্বংস হচ্ছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




