somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৪ নক আউট ডায়েরী-১ , যা কিছু থাকা উচিৎ স্মৃতিতে !!

০৩ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথম রাউন্ডের খেলা শেষ হবার পরেই আঁচ করা গেছে, স্মরণকালের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে ফুটবলের তীর্থভূমি ব্রাজিলে ! দুর্দান্ত নাটকীয় ম্যাচ , খেলার এক্কেবারে শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে থাকা দলগুলোর লড়াই করার মানসিকতা উপহার দিয়েছে একের পর এক স্নায়ুচাপের ম্যাচের। বাজে রেফারিং ও দেখেছি আমরা । কাগজে কলমে কয়েকটা ছোট দল নক আউটে থাকায় বড় দলগুলোর মারাকানার রাস্তাটা সোজা মনে হলেও বাস্তবতা ভিন্ন ,মাঠের লড়াইয়ে অপেক্ষাকৃত কম ঐতিহ্যবাহী দলগুলোই বরং সবচেয়ে বেশী ধারাবাহিক । এখন মূলত স্নায়ুচাপের লড়াই , এখানে কেউ দ্বিতীয় হতে আসেনা , সবাই প্রথম হতে চায় । একপাশে কান্না আরেকপাশে আনন্দ অশ্রু গ্রেটেষ্ট শো অন দা আর্থের নিখাদ বাস্তবতা।
দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলাগুলোতেও আমরা তাই দেখেছি !

২৮ জুন ২০১৪:
স্বাগতিক ব্রাজিল বেলা হরিজন্তে মুখোমুখি হয় আরেক ল্যাটিন দল চিলির । একেবারে ফেলে দেয়ার মত দল নয় চিলি , নক আউটে এসেছে স্পেনকে টেক্কা দিয়ে ! তার উপরে ২৫ বছর আগে বেলা হরিজন্তেতেই দলদুটোর তিক্ত অভিজ্ঞতা ও ফিরে ফিরে আসছিল !
ঐ ম্যাচ টিও ছিল বিশ্বকাপেরই তবে মূল পর্বের নয় , বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের যে জিতবে সেই মূল পর্বে খেলবে । এমন হাই টেম্পার ম্যাচে ব্রাজিল এগিয়ে গিয়েছিল ১ গোলে , ল্যাটিন ফুটবলে বাজি ফুটানোটা নতুন কিছু ছিলনা , একটা ফটকা ফুটে চিলির গোল-কিপারের পাশে , মুখে রক্ত সিরিয়াস ইঞ্জুরড। চিলির খেলোয়াড়রা খেলবেনা , ফিফার নিয়ম অনুযায়ী দর্শক হাঙ্গামায় স্বাগতিক দেশ নিষিদ্ধ পর্যন্ত হতে পারে !! হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়লেন দুঙ্গা , রবাতোরা ! কিন্তু মূল কাহিনী তখনো বাকী , এক জাপানী সাংবাদিক ছবি তুলেছিলেন সেখানে ধরা পড়ে চিলির গোলকিপারের ব্লেড দিয়ে নিজের মুখ নিজেই রক্তাত্ব করার ঘটনা ! সেই ছবি ব্রাজিল সরকার কিনে নিয়ে ফিফায় জমা দেয় , আজীবন নিষিদ্ধ হয় চিলির গোলকিপার আর ব্রাজিল চলে যায় মূল পর্বে , পেছনের রাস্তা দিয়ে চিলির বিশ্বকাপ যাত্রাটা থমকে যায় ।

সেই ঘটনার ফুটেজের এর লিঙ্ক দেয়া থাকলো !!
এমন তিক্ত অভিজ্ঞতাই হয়তো স্কলারীকে বাধ্য করেছে বলতে আমরা বরং অন্য কাউকেই পেলেই খুশি হতাম । ওনার কথা রেখেছেন চিলিয়ানরা । বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল ব্রাজিলের , হেক্সার নেশায় মাতাল তরুন ব্রাজিল দলকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে স্কিল এর পাশাপাশি টেম্পারমেন্ট , ধারাবাহিকতা , নিয়মতান্ত্রিকতাও লাগে বিশ্বসেরা হতে !!
শুরুতেই কর্ণার থেকে এগিয়ে যায় ব্রাজিল , গোল করেন সেন্টার ব্যাক লুইজ। কিন্তু চিলি লড়াই ছাড়েনি , ব্রাজিলের মাঠ-মাঝ হাওয়া হয়ে যাওয়ায় খুব সহজেই নিজেদের অর্ধের বিপদ কাটিয়ে ব্রাজিলের দুর্গে হানা দিচ্ছিল সানচেজরা । ফলাফল হিসেবে গোল ও পেয়ে যায় চিলি । বাকী সময়েও অনভিজ্ঞ দলটি গুছানো নান্দনিক ফুটবল উপহার দিতে ব্যার্থ হয়েছে !


মাঝে হাল্কের একটি গোল রেফারী হ্যান্ডবলের অযুহাতে বাতিল করে !
নেইমার কে আটকে রেখে কাউন্টার এটাকে কিছুক্ষণ পরপরই আতঙ্ক তৈরি করছিল চিলি ! ৯০ মিনিটের ঠিক কিছু আগে চিলির গোল ঠেকিয়ে দেয় গোলবার ! দুর্দান্ত কিছু সেভ করেছেন অভিজ্ঞ গোলকিপার সিজার। অতিরিক্ত সময়েও আর কোন গোলের দেখা না পাওয়ায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে ,তারপর পেনাল্টি শুট আউটের ভাগ্য পরীক্ষা !
তীব্র স্নায়ুচাপের খেলায় সারাবিশ্বের দর্শক ও তখন স্নায়ুচাপের স্বীকার , ব্রাজিলের বিশ্বকাপ মিশন দ্বিতীয় রাউন্ডেই থেমে যাবে ? মানাই যায়না , বিশ্বকাপ যে রঙ হারাবে!!তারপরের গল্পটা সিজারের অতিমানবীয় গোল-কিপিং এর !


ব্রাজিলকে উদ্ধার করলেন সিজার !


খেলা শেষে চিলির খেলোয়াড়রা , দর্শক কাঁদলেন , ব্রাজিলের খেলোয়াড়রাও কাঁদলেন সম্ভবত ভয় আর বিপদ কেটে যাবার কান্না


আপাতত হেক্সার স্বপ্ন এখনো অটুট !

দিনের অন্য খেলায় মুখোমুখি দুই ল্যাটিন দল উরুগুয়ে আর কলম্বিয়ার। সুয়েরেজ বিহীন উরুগুয়ে আর ফালকাও বিহীন কলম্বিয়ার ফারাক খুব বেশী না , কিন্তু ব্যাবধান গড়ে দিলেন এক তরুন কলম্বিয়ান! প্রথম অর্ধেই দুর্দান্ত এক গোল করেন কলম্বিয়ান বিষ্ময় বালক , ফুটবল দুনিয়ার নতুন সুপার স্টার জেমস রোদ্রিগুয়েজ !


দুরন্ত এক বলিতে বিদ্যুত গতির সেই টপ কর্ণার ছুঁয়ে জাল খুঁজে পাওয়া গোলটি যে মিস করেছেন সে অনেক কিছুই মিস করেছেন । এমন কিছু গোলের জন্যই রোমাঞ্চের ঝাপি নিয়ে হাজির হয় বিশ্বকাপ !
কলম্বিয়া মাঠে নিজেদের প্রমাণ করে ২-০ গোলে এগিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নেয় , আরো একটি গোল করে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশী স্কোরার রোদ্রিগুয়েজ !

২৯ জুন ২০১৪:

নক আউটের আগুন ম্যাচে মাঠে নামে টপ ফেবারিট হল্যান্ড আর দুর্দান্ত খেলা মেক্সিকো ! প্রথম ৪৫ মিনিটে মাঠ দখলে ছিল মেক্সিকানদেরই। দ্বিতীয় অর্ধের শুরুতেই গোল করে বসে মেক্সিকোর সান্টোস ! এগিয়ে যায় মেক্সিকো ।


তবে কি ডাচ রূপকথার সমাপ্তি !! খেলায় ফিরে আসার জন্য প্রাণপনে লড়াই শুরু করে ডাচরা । তীব্র গরমে কাহিল সবাই , প্রথম বারের মত ফুটবল বিশ্ব দেখলো কুলিং ব্রেক । অধিনায়ক ব্যান পার্সির বদলে মাঠে নামলো হান্টেলার , গতি বাড়ে খেলায় , একের পর এক আক্রমণে খেলার শেষ ২৫ মিনিট হয়ে উঠে জমজমাট । এই বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা গোলকিপার বারবার ফিরিয়ে দিচ্ছিল ডাচ আক্রমণ গুলো , মানব দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে তিনি! স্নেইডার ভাঙ্গলেন ডেড লক , পরাস্ত করলেন দুর্দান্ত ওচেয়াকে । এত তীব্র শট ছিল সেটি ওচেয়াে টের পেলেন বল জালে জড়বার ঠিক আগে !


খেলায় ফিরলো হল্যান্ড । ৯০ মিনিটের সময় মেক্সিকান ডি বক্সে ফাউলের স্বীকার হন রোবেন । পেনাল্টি কি ?


অনেকেই পেনাল্টির বিপক্ষে , কিন্তু এটি পরিস্কার ভাবেই পেনাল্টি ছিল , রিপ্লাই দেখে মেক্সিকান ডিফেন্ডার অনেক দিন পুড়বেন , তার টেকল করার কোন দরকার ই ছিলনা , বল পেত মেক্সিকান রাই যারা ক্লিয়ার করতো !
নাটকীয় ম্যাচের শেষ প্রান্তে পেনাল্টি পেয়ে হান্টেলারের দুর্দান্ত শটে শেষ আটে হল্যান্ড !


দিনের অন্য খেলায় মুখোমুখি ইতালি - ইংল্যান্ড কে বিদায় করে দেয়া বিশ্বকাপের ডার্ক হর্স কোষ্টারিকা আর সক্রেটিসের দেশ গ্রিস। গ্রীক রূপকথার মুখোমুখি ফুটবল বিশ্ব !


গ্রীস খেলছে বিশ্বকাপের নক আউটে মাঠে এরিস্টটল - সক্রেটিস না থেকে পারেন ?

কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে কিংবা টুর্নামেন্টের পেছনের ইতিহাসে কোষ্টারিকা পরিস্কার ফেবারিট । অধিনায়ক রুইজের গোলে এগিয়ে যায় কোষ্টারিকা , ৬০ মিনিটের কিছুক্ষন পরেই দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ে এক কোষ্টারিকান ডিফেন্ডার । ১০ জনের প্রতিপক্ষ পেয়ে আরো উদ্দীপ্ত হয়ে উঠে গ্রীকরা । কোষ্টারিকার আক্রমনভাগে গিয়ে আর আলোর মুখ দেখছিলনা গ্রীকরা। কিন্তু এই বিশ্বকাপ যে শেষ মিনিটের গোলের বিশ্বকাপ , তাই সক্রেটিসের দেশের ছেলেরা এখনই হার মানতে নারাজ। ৯০ মিনিটে গোল করে বসেন সক্রেটিস পাপাসটাথোপলোস ! অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও আর গোল পেলনা কোন দল , ১০ জনের দল নিয়েই শেষ লড়াই টা করলো কোষ্টারিকা , টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলা কোষ্টারিকার বিশ্বকাপ মিশন কি গ্রীসের সামনেই শেষ ? মরতে মরতে বেঁচে উঠা গ্রীসেরই বা কি হবে ? দুই দলের সমর্থক , খেলোয়াড় সবারই চোখ ছলছল !


পেনাল্টি শূট আউটের ভাগ্য পরীক্ষায় উতরে গিয়ে কোষ্টারিকা শেষ ১৬ তে , দুর্দান্ত একটি সেভ করেই ভাগ্য গড়ে দেন কোষ্টারিকান গোলকিপার ! আর গ্রীকদের বিশ্বকাপ মিশন আপাতত চোখের জলে সমাপ্ত ।

৩০ জুন ২০১৪:
উড়তে থাকা ফ্রান্সের মুখোমুখি আফিকার সুপার ঈগলরা । ফ্রান্স - নাইজেরিয়া ম্যাচ টিও ছিল উত্তেজনায় ঠাঁসা। গোল ব্যাবধান ২-০ , কিন্তু একেবারে শেষ পর্যন্ত তা ছিল ০-০ । আক্রমন -পালটা আক্রমনে চমৎকার একটি ম্যাচ ছিল ।



খেলা শেষ হবার কিছুক্ষণ আগে হেডে গোল করেন ফরাসী তরুন পগবা । অল্প সময়ে গোল শোধের নেশায় উলটো আরেকটা খেয়ে বসে নাইজেরিয়া । সুপার ঈগলদের বিশ্বকাপ মিশন শেষ ১৬ তে থমকে গেল , আর বেনজেমার ফ্রান্স চলে গেল শেষ ৮ এ।

দিনের অন্য খেলায় মুখোমুখি হট ফেবারিট জার্মানী আর টিকে থাকা একমাত্র আরব দেশ আলজেরিয়া ! যারা কিনা আলজেরিয়াকে সহজ প্রতিপক্ষ ভেবেছিলেন তারা কত বড় ভ্রমে ছিলেন সেটা ওনারা নিজেরাও জানেন না । খেলা শুরু হবার পর থেকেই আলজেরিয়াই বড় দল , দুর্দান্ত গতি , পাসিং আর ড্রিবলিং দিয়ে জার্মানীর স্বাভাবিক খেলাটাই নষ্ট করে দিলো । দু দলই দ্রুত গতিতে আক্রমনে যাচ্ছিলো , জার্মানীর চেয়ে আলজেরিয়ার আক্রমণ গুলোই ছিল অনেক বেশী সংঘবদ্ধ ! যে কোন মুহুর্তে গোল খেয়ে বসতে পারে জার্মানী । কিন্তু জার্মান রা খেলছিলেন ১২ জন নিয়ে , গোলকিপার ম্যানুয়েল নুয়ার একাই একজন সেন্টার ব্যাকের ভূমিকার পাশাপাশি গোল-কিপিং ও করছিলেন !


৯০ মিনিটের খেলা শেষে ফলাফল গোলশুন্য ড্র , অনেক সময় গোলে ভরপুর ম্যাচে ও এত উত্তেজনা থাকেনা !
অতিরিক্ত সময়ের ৯০ সেকেন্ডের মাথায় আলজেরিয়ার বুকে ছুড়ি বসায় জার্মানরা । দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে যায় জার্মানী , গোল শোধে মরিয়া আলজেরিয়ানরা ডিফেন্সের ভুলে খেলা শেষের ২ মিনিট আগে আরেকটি গোল খেয়ে পুরো ১২০ মিনিটের লড়াইয়ে পানি ঢালে ,শেষ বাশি বাজার ১ মিনিট আগে গোল করে বসে আলজেরিয়া , ২ মিনিট আগে গোল টা পেলে গল্পটা অন্যরকম হতো। নিজেদের কষ্ট বাড়ানোর জন্যই মনে হয় এমন গোল দেয়া । শেষ ৩০ সেকেন্ডেও জার্মান দুর্গে শেষ আক্রমণ টা করেছিল কিন্তু হলোনা শেষ ৮ এ জার্মানী , আর অনেক কাছে এসেও পরাশক্তিদের পরাস্ত করতে না পেরে আফ্রিকান আরবদের বিশ্বকাপ মিশন শেষ ১৬তেই সমাপ্ত !
১ জুলাই ২০১৪:
দিনের প্রথম খেলায় মুখোমুখি ল্যাটিন জায়ান্ট আর্জেন্টিনা আর ইউরোপীয়ান ডার্ক হর্স সুইজারল্যান্ড । সুইজারল্যান্ড দলে বেশ কয়জন তারকা প্লেয়ার থাকায় অনেকেই ভুলে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা দলে জাদুকর খেলে ! খেলায় বেশীরভাগ বল আর্জেন্টিনার দখলেই ছিল , মাঝে মাঝেই ভয়ানক কিছু প্রতি আক্রমণ করছিল সুইসরা। বিশেষ করে সুইস তারকা শাকিরির দ্রুত গতির আক্রমণ গুলো দেখার মত ছিল , তথাকথিত দুর্বল আর্জেন্টিনা দুর্বল ডিফেন্স লাইন বেশ দক্ষতার সাথে তা প্রতিহত করেছে। কেমন খেলেছে আর্জেন্টিনা? আমার জন্য মাঝমাঠে সুন্দর বুঝাপড়া ছিল , আক্রমণ গুলো ভাগ্যের ছোঁয়ায় পরিপূর্ণতা পাচ্ছিলোনা । মেসিদের কপালের ভাঁজ ধরিয়ে দিয়ে নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষে অতিরিক্ত সময়ের প্রথম ভাগে ও গোল পায়নি কোন দল ? তবে কি ব্রাজিলের মত আর্জেন্টিনাকেও যেতে হবে ভাগ্য পরীক্ষায়। মেসিকে এই ম্যাচে শুরু থেকেই পাহারায় রেখেছে সুইসরা , এঙ্গেল ডি মারিয়া বেশ কয়েকটি শট নিলেও গোল কিপার দক্ষতার সাথে ফিরিয়ে দেন! একবার সুযোগ পেয়েই মেসি খুব সুন্দর একটি পাস দিয়ে ডি মারিয়াকে বল দেন , চমৎকার ফিনিশিং এর মাধ্যমে গোলে পরিণত করেন ডি মারিয়া !


খেলার শেষ মিনিটে সুইজারল্যান্ডের একটি হেড বারে লেগে ফিরে আসে , ভাগ্যদেবী ব্রাজিল -আর্জেন্টিনা দুই দলের সাথেই আছেন ! পেনাল্টি শুট আউটের ভাগ্য পরীক্ষায় না গিয়েই মেসি জাদুতে শেষ আটে , আর্জেন্টিনা ! সুইসদের বিশ্বকাপ মিশন চোখের জলে শেষ হলো শেষ ১৬ তে । টানা চতুর্থ বারের মত ম্যান অফ দা ম্যাচ হলেন জাদুকর মেসি!

দিনের অন্য খেলায় মুখোমুখি ডার্কহর্স বেলজিয়াম আর ক্লিন্সমেনের যুক্তরাষ্ট্র ! নিঃসন্দেহে এই বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা খেলা ছিল এটি । আক্রমণ পালটা আক্রমনের এক দুর্দান্ত ম্যাচ ছিল সেটি । দুই দলই খেলেছে ওপেন , পুরো আক্রমণাত্বক খেলা। হ্যাজার্ড , ফেলানিরা কিছুটা ফেবারিট ছিল , একই ম্যাচে ১৬ টি সেভ করে রেকর্ড গড়েন আমেরিকান গোল রক্ষক । গোলশুন্য ৯০ মিনিট , কিন্তু চোখের পলক ফেলার উপায় নেই , এই বুঝি গোল হলো ! অবশেষে গোল হলো অতিরিক্ত সময়ে গিয়ে , দ্রুত দুটি গোল করে বসে বেলজিয়াম , হার মানেনি আমেরিকা ! পালটা আক্রমনে খেলা শেষের ১০ মিনিট আগে একটি গোল শোধ করে , টিকে থাকার লড়াইয়ে বাকী ১০ মিনিটে গোল হবার মত আরো বেশ কয়েকটি আক্রমণ করলেও ভাগ্যদেবীর সহায়তা না পাওয়ায় বেলজিয়াম চলে গেল শেষ আটে , আমেরিকান সকার টিমের বিশ্বকাপ মিশন শেষ ১৬ তেই থমকে গেল !

ইতালি , স্পেন , ইংল্যান্ড এমন হেভিওয়েট টিম গুলোর অভাব কিছুতেই বুঝতে দেয়নি তথাকথিত ছোট দল গুলো , বরং এদের লড়াই করার মানসিকতা উপহার দিচ্ছে স্মরণ কালের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর বিশ্বকাপ , আমার বিশ্বাস কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাকী ম্যাচ গুলো ও আমাদের ফুটবল উন্মাদনায় মাতিয়ে রাখবে, বিশ্বকাপ যে চার বছর পর পর আসে !

গ্রুপ পর্বের স্মৃতিমালা !
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৪২
৩৪টি মন্তব্য ৩৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এশিয়ান র‍্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান !!

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:২০

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন' ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।তালিকায় ভারতের ৪০, পাকিস্তানের ১২টি, মালয়েশিয়ার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা শহর ইতিমধ্যে পচে গেছে।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



স্থান: গুলিস্থান, ঢাকা।

ঢাকার মধ্যে গুলিস্থান কোন লেভেলের নোংড়া সেটার বিবরন আপনাদের দেয়া লাগবে না। সেটা আপনারা জানেন। যেখানে সেখানে প্রসাবের গন্ধ। কোথাও কোথাও গু/পায়খানার গন্ধ। ড্রেন থেকে আসছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজত্ব আল্লাহ দিলে রাষ্ট্রে দ্বীন কায়েম আমাদেরকে করতে হবে কেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:০৬



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) কেড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তির কোরাস দল

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৫



ঘুমিয়ে যেও না !
দরজা বন্ধ করো না -
বিশ্বাস রাখো বিপ্লবীরা ফিরে আসবেই
বন্যা ঝড় তুফান , বজ্র কণ্ঠে কোরাস করে
একদিন তারা ঠিক ফিরবে তোমার শহরে।
-
হয়তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাইডেন ইহুদী চক্তান্ত থেকে বের হয়েছে, মনে হয়!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮



নেতানিয়াহু ও তার ওয়ার-ক্যাবিনেট বাইডেনকে ইরান আক্রমণের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো; বাইডেন সেই চক্রান্ত থেকে বের হয়েছে; ইহুদীরা ষড়যন্ত্রকারী, কিন্তু আমেরিকানরা বুদ্ধিমান। নেতানিয়াহু রাফাতে বোমা ফেলাতে, আজকে সকাল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×