somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিম্মবিত্তের ভালবাসা!!

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মকুল তার সা‌থে ভা‌লো ব্যবহার করে‌ছে এমন‌টি জেবার ম‌নে প‌ড়ে না। তারপরও সে বারবার মুকু‌লের কা‌ছে আ‌সে,কথা‌ বলার চেষ্টা করে। যেমন আজ‌কে কর‌ছেঃ
-কি ক‌রো?
-‌দেখতাছস না কি ক‌রি?
-দেখ‌তাছি তো, রিক্সা ধুইতা‌ছো। মু‌খে বল‌লে কি অয়?
-যা ভাগ! জ্বালাইস না।
-‌ বিকাল বেলায় ঠান্ডা পা‌নি ধ‌রো ক্যান? জ্বর বাড়‌বো না?
-যা‌বি এখান থাইকা, না পা‌নি ঢাইল্যা দিমু??
-এমন চ্যাডাং চ্যাডাং কতা কও ক্যান? ভা‌লো ম‌তো কতা কই‌তে পা‌রোনা?
-তুই কেড‌া যে তোর ল‌গে বালা ম‌তোন কতা কই‌তে অই‌বো?
-‌কেউ অওন লা‌গেনা। বালা মাইন‌সে সবার ল‌গে বালা ম‌তোন কতা কয়। ত‌োমার লাহান চ্যাডাং চ্যাডাং ক‌রেনা!!
-বালা মাইন‌সের কা‌ছে যা, আমার এইহা‌নে আইছস ক্যান??
মুকুলের একথার জবাব জেবা দেয়না, যায়ও না। চুপ কইরা দাড়াইয়া দাড়াইয়া মুকুলের রিক্সা ধোয়া দে‌খে। মুকুল রিক্সার সাম‌নের চাকায় পা‌নি ঢালে, পিছ‌নের চাকায় পা‌নি ঢা‌লে, রিক্সার ব‌ডি‌তে পা‌নি ঢা‌লে, হা‌তের নেকড়া দি‌য়ে রিক্সার ময়লা প‌রিস্কার ক‌রে, তারপর কাঁ‌ধের শুক‌নো গামছা দি‌য়ে চাকার শিক মু‌ছে, ব‌ডি মু‌ছে। য‌দিও এখা‌নে দেখার কিছু নেই তবু জেবা ম‌নো‌যোগ দি‌য়ে রিক্সা ধোয়া দে‌খে,মুকুল‌কে দে‌খে। দে‌খতে দেখ‌তে আবার ব‌লেঃ-
-‌"যে য‌ত্নে তু‌মি এই রিক্সা প‌রিস্কার ক‌রো, এর এদুল্লা যত্নও য‌দি শরী‌রের নি‌তা তাই‌লে দুই‌দিন পরপর তোমার জ্বর অাই‌তোনা!!"
মুকুল চোখ বড়বড় ক‌রে জেবার দি‌কে তাঁকায়।
-‌"এ্যাহ!!! তোমার চোখ রাঙা‌নো‌রে আ‌মি ডরাই!!" ভেং‌চি কে‌টে ব‌লে জেবা।
"এত চোখ রাঙান ভা‌লোনা,একবার হারাই গে‌লে বুজবা আ‌মি কেডা আ‌ছিলাম" কিছুটা অ‌ভিমান ক‌রে ব‌লে জেবা। বল‌তে বল‌তে ওড়নার আড়াল থাইকা দুইটা টি‌ফিন বক্স বের করে মুকুলের দি‌কে এগি‌য়ে দেয়ঃ-
-‌তোমার লাইগ্যা আন‌ছি নেও, খাও।
-"না, খামু না, ভাগ!" বক্সের দিকে না তাঁ‌কি‌য়েই মুকুল ব‌লে।
জেবার মন খারাপ হয়। কথা না ব‌লে দা‌ড়ি‌য়ে থা‌কে। মুকু‌লের জন্য তার মায়া লা‌গে। মুকু‌লের জন্য তার মন পুড়ে। অথচ মুকুল তাঁ‌কে পাত্তাই দি‌তে চাইনা। অ‌ভিমান হয় তার। বাক্স দু‌টো রিক্সার সী‌টে রাখ‌তে রাখতে ব‌লেঃ
- "ব‌ক্স দু‌টো গ‌দির উপর রাখলাম, মন চাই‌লে খাই‌য়ো, না খাই‌লে বক্স দুইডা প‌রিস্কার কইরা ঘ‌রে পৌছায়া দিও, আ‌মি গেলাম।" তারপর হনহন ক‌রে শে‌খের টেক ৭নম্বর রো‌ডের টিন‌সেড বি‌ল্ডিং এর দশ নম্বর রুম‌টি‌তে ঢু‌কে প‌ড়ে।
মুকুল জেবার রা‌গের তোয়াক্কা ক‌রে না, ও‌দি‌কে তাঁকায়ও না। ম‌নো‌যোগ দি‌য়ে রিক্সা ধু‌য়ে শেষ ক‌রে। শরীর টা জ্বর জ্বর লাগ‌ছে, একটু বিশ্রাম নি‌তে হ‌বে। রিক্সাটা টান দেয় একটু শুকনা জায়গায় নেয়ার জন্য, টান লে‌গে সি‌টে রাখা টি‌ফিন বক্স ন‌ড়ে উ‌ঠে, নড়ার শ‌ব্দে মুকুল পিছ‌নে তাঁকায়। আঙ্গু‌রের থোকা আকৃ‌তির দু‌টো টি‌ফিন বক্স তার চো‌খে প‌ড়ে। বির‌ক্তি নি‌য়ে টি‌ফিন বক্স দু‌টি হা‌তে নেয়। বাক্স দু‌টি স্বচ্ছ হওয়ায় বা‌হির থে‌কে দেখা যায় ভিত‌রে কি আ‌ছে। এক‌টি‌তে দুধ চিতই; তার প্রিয় খাবার। অন্য‌টি‌তে ঝাল গুড়া। চালভাজা, ম‌রিচ,ধ‌নেপাতা আর দমকল‌সের পাতা দি‌য়ে বানা‌নো এই গুড়া ছোট বেলায় জ্বর আস‌লেই মা বানি‌য়ে দিত। জ্ব‌রের মু‌খে খাওয়ার জন্য এর চে‌য়ে স্বা‌দের কিছু হয়না। দু‌টো খাবারই মুকুলের জি‌ভে পা‌নি নি‌য়ে আ‌সে। মুকুল আ‌শে পা‌শে তাঁকায়। কেউই নেই, জেবার ঘ‌রের দি‌কে তাঁকায়, জেবাও নেই। বক্স খু‌লে প্রথ‌মে দুধ চিতই খায়। দুধ চিতই খে‌য়ে ঝাল গুড়া খায়। ঠান্ডায় এগুড়াটার প্র‌য়োজন ছি‌লো মুকু‌লের, কিছুটা আরাম পা‌বে সে। খাওয়া শে‌ষে বক্সের ঢাকনা লাগা‌তে লাগা‌তে জেবার ঘ‌রের দি‌কে আবার উ‌কি দেয়। এবার জেবা‌কে চো‌খে প‌ড়ে। জেবা দরজায় হেলান দি‌য়ে তার দিকে তাঁ‌কি‌য়ে আ‌ছে। মুকুল ইশারায় ডা‌কে। জেবা সাড়া দেয়না। মুকুল আবার ডা‌কে। জেবা তবু সাড়া দেয়না। এবার একটু জোর দি‌য়ে অ‌ধিকার খা‌টি‌য়ে হা‌সি হা‌সি মুখে ডাক দেয়।
-আ‌রে আয়না!!
জেবা অ‌ভিমানী ভাব নি‌য়ে কা‌ছে আ‌সে। মুখ অন্য‌দি‌কে ঘু‌রি‌য়ে রিক্সা থে‌কে একটু দু‌রে দাড়ায়।
-‌"দুধ চিতই কই পাই‌লি?" মুকুল জি‌ঙ্গেস ক‌রে।
-"মামায় আন‌ছে।" মুড অফ ক‌রে ব‌লে জেবা।
-ঝাল গুড়া তুই বানাইছস?"
জেবা মাথা‌ ঝাকায়।
-"ঝাল গুড়াটা অ‌নেক স্বাদ হই‌ছে এবং আমি ম‌নে মনে এইটা খুজ‌ছিলাম।" মুকুল ব‌লে।
জেবা কথা কয়না।
-‌রিক্সায় ঘুরবি?
জেবা চুপ থা‌কে।
মুকুল এ‌গি‌য়ে গি‌য়ে চাল‌কের সীটে ব‌সে, ব‌সে জেবার দি‌কে তাঁকি‌য়ে ইশারা দি‌য়ে রিক্সার গ‌দিটা দে‌খি‌য়ে দি‌য়ে ব‌লেঃ
-উঠ!!
জেবা মুকুলকে অ‌নেক সময় দে‌খে‌ছে রিক্সায় ক‌রে পে‌সেঞ্জার নি‌য়ে যে‌তে। চাল‌কের আস‌নে মুকুলকে বসা দেখলেই জেবার যাত্রীর আস‌নে বসার ই‌চ্ছে হ‌তো। সে সী‌টে ব‌সে থাকবে আর মুকুল প্যা‌ডেল দি‌বে এভাবনা তা‌কে শিহ‌রিত কর‌তো। কিন্তু মুকুল তাঁ‌কে সহ্য কর‌তে পা‌রেনা তাই কখনও বলার সাহস হয়‌নি। আজ‌কে মুকুল নি‌জে থে‌কে বলায় জেবা অ‌ভিমান ভু‌লে যায়।
একটা মুচকী হা‌সি দি‌য়ে রিক্সায় উ‌ঠে ব‌সে। মুকুল রিক্সার প্যা‌ডেল দেয় আর হা‌সি হা‌সি মুখে জেবার দিকে তাঁকায়। জেবা হা‌সে,মুকুল হা‌সে। রিক্সা এ‌গি‌য়ে চ‌লে শে‌খের টে‌কের এগ‌লি থে‌কে ও গ‌লি। নিম্ম‌বিত্ত প‌রিবা‌রের দুজন তরুণতরুণীর ম‌ধ্যে জীব‌নের প্রথম ডে‌টিং চ‌লে। এ ডে‌টিং এ তা‌দের ম‌ধ্যে কোন শারী‌রিক স্পর্শ হয়না, কোন আ‌বেগ‌ি কথা হয়না। অথচ দুজনেই শিহ‌রিত বিশুদ্ধ ভালবাসার স্বর্গীয় সু‌খে!!
মুকুল তার সা‌থে ভা‌লো ব্যবহার করে‌ছে এমন‌টি জেবার ম‌নে প‌ড়ে না। তারপরও সে বারবার মুকু‌লের কা‌ছে আ‌সে,কথা‌ বলার চেষ্টা করে। যেমন আজ‌কে কর‌ছেঃ
-কি ক‌রো?
-‌দেখতাছস না কি ক‌রি?
-দেখ‌তাছি তো, রিক্সা ধুইতা‌ছো। মু‌খে বল‌লে কি অয়?
-যা ভাগ! জ্বালাইস না।
-‌ বিকাল বেলায় ঠান্ডা পা‌নি ধ‌রো ক্যান? জ্বর বাড়‌বো না?
-যা‌বি এখান থাইকা, না পা‌নি ঢাইল্যা দিমু??
-এমন চ্যাডাং চ্যাডাং কতা কও ক্যান? ভা‌লো ম‌তো কতা কই‌তে পা‌রোনা?
-তুই কেড‌া যে তোর ল‌গে বালা ম‌তোন কতা কই‌তে অই‌বো?
-‌কেউ অওন লা‌গেনা। বালা মাইন‌সে সবার ল‌গে বালা ম‌তোন কতা কয়। ত‌োমার লাহান চ্যাডাং চ্যাডাং ক‌রেনা!!
-বালা মাইন‌সের কা‌ছে যা, আমার এইহা‌নে আইছস ক্যান??
মুকুলের একথার জবাব জেবা দেয়না, যায়ও না। চুপ কইরা দাড়াইয়া দাড়াইয়া মুকুলের রিক্সা ধোয়া দে‌খে। মুকুল রিক্সার সাম‌নের চাকায় পা‌নি ঢালে, পিছ‌নের চাকায় পা‌নি ঢা‌লে, রিক্সার ব‌ডি‌তে পা‌নি ঢা‌লে, হা‌তের নেকড়া দি‌য়ে রিক্সার ময়লা প‌রিস্কার ক‌রে, তারপর কাঁ‌ধের শুক‌নো গামছা দি‌য়ে চাকার শিক মু‌ছে, ব‌ডি মু‌ছে। য‌দিও এখা‌নে দেখার কিছু নেই তবু জেবা ম‌নো‌যোগ দি‌য়ে রিক্সা ধোয়া দে‌খে,মুকুল‌কে দে‌খে। দে‌খতে দেখ‌তে আবার ব‌লেঃ-
-‌"যে য‌ত্নে তু‌মি এই রিক্সা প‌রিস্কার ক‌রো, এর এদুল্লা যত্নও য‌দি শরী‌রের নি‌তা তাই‌লে দুই‌দিন পরপর তোমার জ্বর অাই‌তোনা!!"
মুকুল চোখ বড়বড় ক‌রে জেবার দি‌কে তাঁকায়।
-‌"এ্যাহ!!! তোমার চোখ রাঙা‌নো‌রে আ‌মি ডরাই!!" ভেং‌চি কে‌টে ব‌লে জেবা।
"এত চোখ রাঙান ভা‌লোনা,একবার হারাই গে‌লে বুজবা আ‌মি কেডা আ‌ছিলাম" কিছুটা অ‌ভিমান ক‌রে ব‌লে জেবা। বল‌তে বল‌তে ওড়নার আড়াল থাইকা দুইটা টি‌ফিন বক্স বের করে মুকুলের দি‌কে এগি‌য়ে দেয়ঃ-
-‌তোমার লাইগ্যা আন‌ছি নেও, খাও।
-"না, খামু না, ভাগ!" বক্সের দিকে না তাঁ‌কি‌য়েই মুকুল ব‌লে।
জেবার মন খারাপ হয়। কথা না ব‌লে দা‌ড়ি‌য়ে থা‌কে। মুকু‌লের জন্য তার মায়া লা‌গে। মুকু‌লের জন্য তার মন পুড়ে। অথচ মুকুল তাঁ‌কে পাত্তাই দি‌তে চাইনা। অ‌ভিমান হয় তার। বাক্স দু‌টো রিক্সার সী‌টে রাখ‌তে রাখতে ব‌লেঃ
- "ব‌ক্স দু‌টো গ‌দির উপর রাখলাম, মন চাই‌লে খাই‌য়ো, না খাই‌লে বক্স দুইডা প‌রিস্কার কইরা ঘ‌রে পৌছায়া দিও, আ‌মি গেলাম।" তারপর হনহন ক‌রে শে‌খের টেক ৭নম্বর রো‌ডের টিন‌সেড বি‌ল্ডিং এর দশ নম্বর রুম‌টি‌তে ঢু‌কে প‌ড়ে।
মুকুল জেবার রা‌গের তোয়াক্কা ক‌রে না, ও‌দি‌কে তাঁকায়ও না। ম‌নো‌যোগ দি‌য়ে রিক্সা ধু‌য়ে শেষ ক‌রে। শরীর টা জ্বর জ্বর লাগ‌ছে, একটু বিশ্রাম নি‌তে হ‌বে। রিক্সাটা টান দেয় একটু শুকনা জায়গায় নেয়ার জন্য, টান লে‌গে সি‌টে রাখা টি‌ফিন বক্স ন‌ড়ে উ‌ঠে, নড়ার শ‌ব্দে মুকুল পিছ‌নে তাঁকায়। আঙ্গু‌রের থোকা আকৃ‌তির দু‌টো টি‌ফিন বক্স তার চো‌খে প‌ড়ে। বির‌ক্তি নি‌য়ে টি‌ফিন বক্স দু‌টি হা‌তে নেয়। বাক্স দু‌টি স্বচ্ছ হওয়ায় বা‌হির থে‌কে দেখা যায় ভিত‌রে কি আ‌ছে। এক‌টি‌তে দুধ চিতই; তার প্রিয় খাবার। অন্য‌টি‌তে ঝাল গুড়া। চালভাজা, ম‌রিচ,ধ‌নেপাতা আর দমকল‌সের পাতা দি‌য়ে বানা‌নো এই গুড়া ছোট বেলায় জ্বর আস‌লেই মা বানি‌য়ে দিত। জ্ব‌রের মু‌খে খাওয়ার জন্য এর চে‌য়ে স্বা‌দের কিছু হয়না। দু‌টো খাবারই মুকুলের জি‌ভে পা‌নি নি‌য়ে আ‌সে। মুকুল আ‌শে পা‌শে তাঁকায়। কেউই নেই, জেবার ঘ‌রের দি‌কে তাঁকায়, জেবাও নেই। বক্স খু‌লে প্রথ‌মে দুধ চিতই খায়। দুধ চিতই খে‌য়ে ঝাল গুড়া খায়। ঠান্ডায় এগুড়াটার প্র‌য়োজন ছি‌লো মুকু‌লের, কিছুটা আরাম পা‌বে সে। খাওয়া শে‌ষে বক্সের ঢাকনা লাগা‌তে লাগা‌তে জেবার ঘ‌রের দি‌কে আবার উ‌কি দেয়। এবার জেবা‌কে চো‌খে প‌ড়ে। জেবা দরজায় হেলান দি‌য়ে তার দিকে তাঁ‌কি‌য়ে আ‌ছে। মুকুল ইশারায় ডা‌কে। জেবা সাড়া দেয়না। মুকুল আবার ডা‌কে। জেবা তবু সাড়া দেয়না। এবার একটু জোর দি‌য়ে অ‌ধিকার খা‌টি‌য়ে হা‌সি হা‌সি মুখে ডাক দেয়।
-আ‌রে আয়না!!
জেবা অ‌ভিমানী ভাব নি‌য়ে কা‌ছে আ‌সে। মুখ অন্য‌দি‌কে ঘু‌রি‌য়ে রিক্সা থে‌কে একটু দু‌রে দাড়ায়।
-‌"দুধ চিতই কই পাই‌লি?" মুকুল জি‌ঙ্গেস ক‌রে।
-"মামায় আন‌ছে।" মুড অফ ক‌রে ব‌লে জেবা।
-ঝাল গুড়া তুই বানাইছস?"
জেবা মাথা‌ ঝাকায়।
-"ঝাল গুড়াটা অ‌নেক স্বাদ হই‌ছে এবং আমি ম‌নে মনে এইটা খুজ‌ছিলাম।" মুকুল ব‌লে।
জেবা কথা কয়না।
-‌রিক্সায় ঘুরবি?
জেবা চুপ থা‌কে।
মুকুল এ‌গি‌য়ে গি‌য়ে চাল‌কের সীটে ব‌সে, ব‌সে জেবার দি‌কে তাঁকি‌য়ে ইশারা দি‌য়ে রিক্সার গ‌দিটা দে‌খি‌য়ে দি‌য়ে ব‌লেঃ
-উঠ!!
জেবা মুকুলকে অ‌নেক সময় দে‌খে‌ছে রিক্সায় ক‌রে পে‌সেঞ্জার নি‌য়ে যে‌তে। চাল‌কের আস‌নে মুকুলকে বসা দেখলেই জেবার যাত্রীর আস‌নে বসার ই‌চ্ছে হ‌তো। সে সী‌টে ব‌সে থাকবে আর মুকুল প্যা‌ডেল দি‌বে এভাবনা তা‌কে শিহ‌রিত কর‌তো। কিন্তু মুকুল তাঁ‌কে সহ্য কর‌তে পা‌রেনা তাই কখনও বলার সাহস হয়‌নি। আজ‌কে মুকুল নি‌জে থে‌কে বলায় জেবা অ‌ভিমান ভু‌লে যায়।
একটা মুচকী হা‌সি দি‌য়ে রিক্সায় উ‌ঠে ব‌সে। মুকুল রিক্সার প্যা‌ডেল দেয় আর হা‌সি হা‌সি মুখে জেবার দিকে তাঁকায়। জেবা হা‌সে,মুকুল হা‌সে। রিক্সা এ‌গি‌য়ে চ‌লে শে‌খের টে‌কের এগ‌লি থে‌কে ও গ‌লি। নিম্ম‌বিত্ত প‌রিবা‌রের দুজন তরুণতরুণীর ম‌ধ্যে জীব‌নের প্রথম ডে‌টিং চ‌লে। এ ডে‌টিং এ তা‌দের ম‌ধ্যে কোন শারী‌রিক স্পর্শ হয়না, কোন আ‌বেগ‌ি কথা হয়না। অথচ দুজনেই শিহ‌রিত বিশুদ্ধ ভালবাসার স্বর্গীয় সু‌খে!!
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৫
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×