শহরের এক বিলাসবহুল বাড়িতে বাস করতো একটি মাটির প্রদীপ।এখনকার এই বৈদ্যুতিক বাতির যুগে কি আর মূল্য সামান্য মাটির প্রদীপের! সে পড়ে থাকে ঘরের এক কোণায় অযত্নে আর অবহেলায়। একদিন মাটির প্রদীপ জীবনের প্রতি বিতশ্রদ্ধ হয়ে সিদ্ধান্ত নিল এই লাঞ্ছনা আর গঞ্জনার জীবন সে আর রাখবে না, সে আত্মহত্যা করবে।।
মনের দু:খে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে এল। বড় রাস্তার টিউবলাইটটি ওকে দেখে তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বললো, কি আর করবে বাছা এই দুনিয়ার মানুষের এখন আর ওমন টিমটিমে আলোর দরকার নাই। মাটির প্রদীপ আরও যেন মুষড়ে পড়ল। সে এগিয়ে চললো তার অন্তিম প্রস্থানের পথে......
হঠাত সে দেখতে পেল অপরদিক থেকে আর একটি প্রজ্বলিত মাটির প্রদীপ আসছে নাচতে নাচতে.. সে দু:খী প্রদীপকে দেখে থমকে দাড়ায়। তারপর জিঞ্জেস করে, কি ভাই প্রদীপ তোমার মন এতো খারাপ কেন? মন খারাপ করে তুমি কোথায় যাচ্ছো? দু:খী প্রদীপ তার দু:খের কথা জানায় সুখী প্রদীপকে... সুখী প্রদীপ তার সব কথা শুনে সৃষ্টির গভীরতার কথা তাকে বুঝায় আরও বলে পৃথিবীতে প্রতিটি সৃষ্টিই গুরুত্বপূর্ণ, নিশ্চয়ই তাদের জীবনেরও দাম আছে। এবার সুখী প্রদীপ তার নিজের আলো দিয়ে দু:খী প্রদীপ জ্বালিয়ে দেয়। আর তখন দু:খী প্রদীপও খুশি হয়ে যায়।
সেও আবার বাড়ির পথ ধরে.. পথে আসতে আসতে দেখতে পায় আরও কিছু মাটির প্রদীপ মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে... সে তাদেরকে জ্বালিয়ে দেয়.. আবার খানিক দূরে আরও কিছু প্রদীপ পড়ে আছে... সে তাদেরকে জ্বালিয়ে দেয়... এভাবে বাতি জ্বালাতে জ্বালাতে যখন প্রদীপটি তার বাড়ির দোরগোড়ায় পৌছালো তখন হঠাৎ বৈদ্যুতিক বিভ্রাটে শহরের সব কারেন্টের বাতি নিভে গেল। আর হাজার হাজার প্রদীপের বাতিতে সারা শহর আলোকিত হয়ে রইল।।
গল্পটি নিছক গল্পও ভাবা যায় আবার এখান থেকে চিন্তার কিছু খোরাকও নেয়া যেতে পারে। আসুন আমরা সবাই মিলে এই পৃথিবীটাকে আলোকিত করি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




