বর্তমান কোরবানী মানে প্রতিযোগিতা, কে কার চেয়ে বড় পশুটা বেশী দামে কিনে কোরবানী দেবে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে তারা ঠিক পশু নয় টাকার কোরবানী দিচ্ছে। বাদ দিন এসব কথা এখানে প্রসঙ্গিক নয়।
আল্লাহর নামে পশু কোরবানি হচ্ছে এটাই বড় কথা। কথিত আছে পশুর প্রতিটি লোমে একটি নেকী হাসিল হবে(এর সঠিক রেফারেন্স জানা নেই,স্থানীয় হুজুর হতে সংগ্রহীত) সুতরাং যত বড় পশু তত বেশী লোম তত বেশী নেকি। আলহামদুলিল্লাহ বেহেস্তের পথ ততই সুগম।
কিন্তু কেন কোরবানীর নামে পশু হত্যা?
মুর্খ নাস্তিকগণ কহে, "আল্লাহর কি পশুর রক্ত মাংস চামড়ার খুব বেশী দরকার, তাই কি লাখ লাখ পশু আল্লাহর নামে হত্যা করতে হয়"?
জ্ঞানী মুমিনগণ ও এর দাঁত ভাঙা জবাব দেন,"আল্লাহর কাছে রক্ত মাংস চামড়া কিছুই যায় না যায় শুধু কোরবানীর(হত্যা নয়)তাকওয়া"।
মুর্খ নাস্তিকগণ তাতেই চুপ হয়ে যায়,তারা জানেই না তাকওয়া কি। আর তর্ক করবে কিভাবে?
আসুন জেনে নেই তাকওয়া কি, বিভিন্ন ইসলামী পন্ডিতগণের আলোচনা অনুযায়ী তাকওয়া বিভিন্ন ভাবে সঙ্গায়িত হয়েছে। যেমন -
ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহ আনহু তাকওয়া
অর্জনকারী মুত্তাকীর সংজ্ঞায় বলেছেন: “মুত্তাকী তারা, যারা আল্লাহ ও তার শাস্তিকে ভয় করে।”
.
তালক ইবনে হাবীব বলেছেন:
“তাকওয়ার অর্থ: আল্লাহর নির্দেশমতো তুমি তার আনুগত্য কর ও তার সাওয়াবের আশা রাখ এবং তার নির্দেশমতো তার নাফরমানী ত্যাগ কর ও তার শাস্তিকে ভয় কর।
.
ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন - “তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যথাযথ ভয়। এপ্রসঙ্গে আরো বলেন: তাকওয়া হচ্ছে আল্লাহর আনুগত্য
করা তার নাফরমানী না করা, আল্লাহকে স্মরণ করা তাকে না ভুলা, তার শোকর আদায় করা তার কুফরী না করা।
এবার বুঝতে পারছেন তাকওয়া কি? তাকওয়া হলো একটি আন্ডারগ্রাউন্ডের বা মনের ব্যপার স্যাপার। এটার সাইনবোর্ড আপনি গলায় ঝুলিয়ে রাখলে আপনার তাকওয়া বা আল্লাহর প্রতি আপনার আনুগত্য প্রমান হবে না। আপনার তাকওয়া প্রমাণ করতে হলে আপনাকে পশু হত্যা করতে হবে।
এখন যদি প্রসঙ্গক্রমে কোন নাস্তিক প্রশ্ন করে,"আল্লাহ তো অন্তর্যামী, পৃথিবীর কারো মনের কথাই তার অজানা নয়। কে কতটা আল্লাহ ভীরু তা পশু হত্যা করে প্রমান করতে হবে কেন"?
তবে জ্ঞানী মুমিনগণ কি জবাব দেবে তা আমার অজানা।
((কারো রিপোর্টের জন্য সামু কর্তৃপক্ষ যদি আমায় ব্যানও করে তাতেও দুঃখ নাই))
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:০৪