কথায় আছে," যে দেবতা যেই নৈবেদ্যে সন্তুষ্ট তাকে সেটাই ভোগেই দিতে হয়। নয়তো রুষ্ট হয়ে ভক্তের অকল্যাণ করে"।
কিছুদিন পূর্বে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর "চ্যাম্পিয়ন অব দি আর্থ"পুরুস্কারে ভূষিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে ফেসবুকের স্টেটাস দেওয়ার পর কিছু দলকানা লীগারের ইনবক্সে যাচ্ছেতাই ভালবাসা বর্ষণের পরিপেক্ষিতে আজকের এই সমালোচনা করতে বাধ্য হলাম।
প্যারিসে বসেছে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন, যাতে বিশ্বের প্রায় সকল রাষ্ট্রপ্রধানই উপস্থিত। পৃথিবীর বর্তমানে পরিবর্তিত জলবায়ু পরিস্থিতি বিবেচনায় এই সম্মেলনের এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। সেই দিক বিবেচনা করে সম্মেলন আরো একদিন বর্ধিত করা হয়েছে। বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশ গুলোর সাথে চলছে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর দর কশাকশি।
তাদের ব্যপক শিল্পায়নের ফলে তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলোতে পড়ছে এর বিরুপ প্রভাব। এর ক্ষতিপূরণ করতে শিল্পোন্নত দেশ গুলো বাধ্য। এই প্রস্তাবনার পক্ষে জোড়ালো অবস্থানের জন্যই আমাদের প্রধানমন্ত্রী পেয়েছেন এক পুরুস্কার।আর এই দর কশাকশিতে এই বছরের "চ্যাম্পিয়ন অব আর্থের"উপস্থিতি ছিলো অবশাম্ভী। কিন্তু ওনি তা করেন নি। সেখানে তাঁর প্রতিনিধি হয়ে উপস্থিত আছেন দেশের বন ওপরিবেশ মন্ত্রী।
কেউ হয়তো বলবেন তাঁর প্রতিনিধি তো সেখানে উপস্থিত আছেনই ওনার যাওয়া না যাওয়াতে কি এমন এলো গেলে।
না তেমন কিছু এলো গেল না, তবে তার উপাধিটা একটা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। যাতে বঞ্চিতদের অধিকার প্রাপ্তিতে প্রভাব ফেলতো।
তিনি হয়তো এই কষ্টটুকু করতে চান নি,আর কষ্ট করার দরকারই বা কি, ওনার যা চাওয়া তা পেয়েছেন। এখন সেখানে যাওয়া না যাওয়াতে কিছুই আসে যায় না। যেই ক্ষতিপুরন শিল্পোন্নত দেশ গুলো দেবে তার একটা ভাগ এমনিতেই দেশে চলে আসবে। উপরি হিসাবে ট্রফিটা তো পেলেনই।
আর শুধু জাতিসংঘ না পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই জানে তার এই ট্রফির প্রতি দূর্বলতার কথা। তাই একটা ট্রফি হাতে ধরিয়ে দিয়েছে বিশ্ব চালাকেরা আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী একদম চুপ।
দেবতা সন্তুষ্ট!!
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৩১